পাহাড় ও সবুজ বনের চোখজুড়ানো বাহারের সঙ্গে দুধসাগর ফল্স।
উত্তর গোয়ায় দিন দু’য়েক কাটানো হলে চলুন দক্ষিণে যাই। ছোট রাজ্য, যেখান থেকে যেখানেই যান, লং ড্রাইভ কোনওটাই নয়। চলার পথে সময় নষ্ট হয় না বলে ঘুরে দেখার অনেক বেশি সময় পাওয়া যায়। দেশের পশ্চিম প্রান্তে সূর্য ঢলে দেরি করে। উপরন্তু দু’পাশের দৃশ্যাবলি অন্য ভাললাগায় ভরিয়ে রাখে। গ্রামগুলি পরিচ্ছন্ন, রাস্তার ধারে নজরকাড়া চার্চ, মন্দির, পর্তুগিজ স্থাপত্যের ভিলা। পথপাশে অসাধারণ অ্যাম্বিয়েন্স-যুক্ত রেস্তোরাঁ, বার, কফিশপ। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার আশ্চর্য সমন্বয়ে একুশ শতকীয় ভারতের কসমোপলিটন রূপ। সন্ধের পর অন্য অনন্য আলোকঝারি। গোয়াকে মনে হয় মহাসুন্দরী রাতপরি।
উত্তরের মতো দক্ষিণ গোয়ার মুখ্য আকর্ষণ কয়েকটি সমুদ্রসৈকত। কয়েকটি সকলের চেনা, আবার নিজের আবিষ্কার করে নেওয়ার মতো মানচিত্রের বাইরের জায়গাও কম নেই। কোলভা থেকে পালোলেম দক্ষিণ গোয়ার চেনা-অচেনা সৈকতগুলি রূপে গুণে উত্তরের চেয়ে কোনও অংশে কম যায় না। উপরন্তু ভিড় কম। এ দিকের প্রধান শহর মারগাঁও। এখান থেকে কোলভা বিচ সামান্য দূর। ঝাউবনের পাড় বসানো দক্ষিণের সবচেয়ে ব্যস্ত বিচ কোলভার আকর্ষণ অপ্রতিরোধ্য। আশপাশে পাহাড় না থাকায় দিগন্ত থেকে দিগন্তে কোলভার বিস্তার। সাতসকালে জেলেরা ডিঙি নিয়ে ভেসে পড়ে মাঝ দরিয়ায়। তার পর সারা দিন কাটে হাজার মজায় ও দিন ফুরোয় অপরূপ সূর্যাস্ত দিয়ে। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত নানারকম জলক্রীড়ার আয়োজন থাকে। অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকে কোলভা। নিরাপদে বসে থাকা যায় বিচ স্যাগে বা রেস্তোরাঁয়। পরখ করা যায় টাটকা সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়ার নানা অচেনা, কিন্তু জিভে জল আনা পদ। বর্ষা ফুরিয়ে ট্যুরিস্ট সিজন শুরু হলে জমাটি মেলা বসে বিচের পাশে। বিভিন্ন রক ব্যান্ড স্টেজ সাজিয়ে গান শোনায়। স্মারক কেনাকাটার যত দোকানপাট দক্ষিণ গোয়ায়, সবই এই কোলভা ও পালোলেম-এ।
আরও পড়ুন: আরামবোল-ভাগাতোর-আঞ্জুনা-বাগা-কালাঙ্গুট
পালোলেম থেকে গাড়ি নিয়ে দক্ষিণ গোয়া ঘোরা সহজ। পুরো দু’টি দিন কম করে হাতে রাখতে হবে। এক দিন বিচ হপিং ও অন্য দিন পশ্চিমঘাট পর্বতের দিকে ক’টি অচিন জায়গা বেড়িয়ে আসা। এখানেও সেল্ফ ড্রিভেন ক্যাব বা বাইক ভাড়া করে জিপিএস ভরসা করে বেরিয়ে পড়া যায়। আবার কোলভার ভিড়ে না থেকে অপেক্ষাকৃত নির্জন অন্য কোনও সৈকতে রাত যাপন করা যেতে পারে। তেমন ক’টির সন্ধান দিয়ে রাখি।
সূর্যস্নানের জন্য সোনালি সৈকতে সারি সারি ডেকচেয়ার পাতা। মাথায় রঙিন ছাতা।
কোলভা থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে সেরনাবাতিম বিচ। কিন্তু দু’টির আকাশ-পাতাল পার্থক্য। সেরনাবাতিম নিরালা ও জনবিরল। ভিড় থেকে দূরে সমুদ্রস্নানের আদর্শ জায়গা। বিচের একধারে ধীবরদের গ্রাম। ভোরবেলায় তাদের ব্যস্ততার সময়। হানিমুনে গেলে দক্ষিণের বিচগুলি আদর্শ, কারণ খুবই নির্জন। কোলভা থেকে আধ ঘণ্টার দূরত্বে ট্যুইন বিচ মোবোর কাভালোসিম সম্পর্কে একই কথা প্রযোজ্য। বিচের লাগোয়া বেসরকারি রিসর্টগুলির গঠনরীতি সুন্দর ভাবে নিসর্গের সঙ্গে মানিয়ে গিয়েছে। উপরন্তু মোবোরের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে শাল নদী। সাগরে মেশার আগে নদী জায়গাটিকে উপদ্বীপের আকার দিয়েছে। এমন ভৌগোলিক বৈচিত্র্য গোয়ার আর কোনও সৈকতে দেখা যাবে না। নৌকোয় ভেসে পড়তে পারেন শাল নদীতে। ছোট গ্রাম ও নারকেল বাগানের গা বেয়ে চলতে গিয়ে মনে হবে যেন ব্যাকওয়াটারের দেশ কেরলে এসে গিয়েছেন। বিকেল হলে মোহনার দিকে মুখ ফেরানো সূর্যাস্ত দেখার আশায়।
পালোলেম। ভিড় থেকে দূরে সমুদ্রস্নানের আদর্শ জায়গা।
মোবোর বিচের পর চলুন আগোন্ডা। সবুজের বুক চিরে একফালি রাস্তা সটান নেমে গিয়েছে নিঃসীম নীলের গহনে। সেই পথ ধরে আগোন্ডায় যখন নামবেন, মনে হবে স্বর্গের আগের স্টেশনে এসে গিয়েছেন।। মুগ্ধ হবেন আরবসাগরের জলে ডুবে থাকা বিচিত্র গঠনের কটি পাথর দেখে। একপাশে পাহাড় সটান নেমে গিয়েছে সমুদ্র পর্যন্ত। আবার বিপরীত দিকে হাতছানি দিয়ে ডাকে অনেক দূরে আকাশছোঁয়া নীল পাহাড়ের তিনটি রেঞ্জ। বিচটিও সুবিস্তৃত। সূর্যস্নানের জন্য সোনালি সৈকতে সারি সারি ডেকচেয়ার পাতা। মাথায় রঙিন ছাতা। ডোবা পাহাড় থাকলেও আগোন্ডার বেশিরভাগ অংশ স্নানের জন্য নিরাপদ। হলুদ পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করা। বিচের ওপরে কতগুলি কাঠ ও বেড়ার তৈরি রিসর্ট। পিকচার পোস্টকার্ড যেন। যদি এক রাত থাকেন, চাঁদ উঠলে বুঝবেন আগোন্ডা বিচের মতো রোমান্টিক জায়গা আর হয় না।
বোম জেসাসের অন্দর।
আগোন্ডা থেকে গ্রামের পথ ধরে ৬-৭ কিমি গেলে পালোলেম বিচ। এটাই দক্ষিণ গোয়ার শেষ জনপ্রিয় সৈকত। কোলভাতে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস-সহ যা যা মজার আয়োজন আছে তা এখানেও রয়েছে। বাড়তি পাওনা পাহাড় ও ঝাউবনের পাড় বসানো পাগল করা প্রকৃতি। আর আছে সমুদ্রের বুকে নৌকাবিহারের বিরল সুযোগ। প্রায় এক ঘণ্টা সময় নিয়ে যন্ত্রচালিত নৌকা ঘুরিয়ে আনবে আরবসাগরের তিনটি ক্ষুদ্র দ্বীপ হানিমুন, বাটারফ্লাই ও মাংকি আইল্যান্ড। রূপ যেন ফেটে পড়ছে জনহীন পাহাড়ি ধরনের দ্বীপগুলির। এখানকার ক্ষুদ্র ভার্জিন বিচগুলি বিদেশি ভ্রমণকারীদের খুব প্রিয়। পালোলেম বিচ থেকে হাইওয়ে ধরে সামান্য এগিয়ে গেলে প্রতিবেশী রাজ্য কর্নাটকের সীমানা। সঙ্গে গাড়ি থাকলে রবীন্দ্রনাথের প্রিয় কারোয়ার পর্যন্ত ঘুরে আসতে পারবেন। এখানকার দেববাগ বিচ বিখ্যাত।
প্রিয়ল গ্রামে মঙ্গেশি মন্দির।
এ বার চলুন সাগর সৈকতের হাত ছাড়িয়ে অল্পচেনা পথে পাহাড়ের আঁচলে জড়ানো অন্য গোয়ায়। মারগাঁও শহর থেকে রাস্তা গিয়েছে কোলেম ও মলেম-এর দিকে। এই রাস্তায় দু’টি মন্দির অবশ্যই দেখতে হবে। প্রিয়ল গ্রামে মঙ্গেশি মন্দির। মঙ্গেশি আসলে শিব। অন্যটি ভেরনেম গ্রামে শান্তাদুর্গা মন্দির। বিরাট ঘেরা চত্বরের ভেতরে অভিনব স্থাপত্য। চার্চের আদল, রথের আদল, দক্ষিণ ভারতীয় গঠনরীতি মিলে মৌলিক ধারা। একপাশে বহুতল দ্বীপস্তম্ভ। সে-ও বিরল স্থাপত্য। বিরাট ধর্মশালা, বিরাট জলাশয়, নারকেল বাগান ইত্যাদি নিয়ে এক অন্য জগৎ। শান্তাদুর্গা মন্দির থেকে একটু এগোলে পাহাড়ি ঘাটরাস্তা শুরু হয়ে গেল। লাল পাহাড় ও সবুজ বনের চোখজুড়ানো বাহার। পাহাড়ের বুকের গহনে ফার্মাগুড়ি। টিলার মাথায় গোয়া ট্যুরিজমের অতিথিনিবাস হাইওয়ের পাশে। তার পিছন দিকে গোপাল গণপতি মন্দির আকর্ষক। ২ কিমি দূরে বান্দোডে গ্রামের মন্দির খুব সুন্দর। আবার বিপরীত দিকের পাহাড়ে কেল্লার আদলে গড়ে তোলা একটি সুসজ্জিত পার্ক। তার সর্বোচ্চ অংশে ঘোড়ার পিঠে আসীন শিবাজির পুত্র শম্ভুজির বিরাট মূর্তি স্থাপিত। এখান থেকে চারপাশের দৃশ্য মনোমুগ্ধকর।
দুধসাগরের পিছনে এক নিরিবিলি জলাশয়।
ফার্মাগুড়ির রাস্তার ধারে আরিকানাট ফার্ম। শুধু সুপারি বাগান নয়, কয়েক একর এলাকা নিয়ে ভেষজ উদ্যান। গাইডেড নেচার ওয়াকে পর্যটকদের জন্য লাইভ ডেমোর ব্যবস্থা আছে। মুক্তমঞ্চে দেখানো হয় গোয়ার লোকনৃত্য ও অর্গ্যানিক শাক-সব্জি দিয়ে বানানো খাবার খাওয়ানো হয় দুপুরে। সম্প্রতি কেরলের মতো স্পা চালু করা হয়েছে। বিদেশি পর্যটকদের ফার্মহাউসে সারা দিন কাটাতে দেখেছি।
অন্য দিকে ভগবান মহাবীর অভয়ারণ্য। মনোরম বনের ভেতর দিয়ে চলা। নানা রকমের বন্যপ্রাণী থাকলেও কেউ হিংস্র নয়। এক জায়গায় রাস্তার নীচের দিকে কলকল করে পাহাড়ি চরিত্রের নদী বয়ে চলেছে। জনবসতিহীন বিস্তীর্ণ এলাকা। এখন বনের ভেতরে পশ্চিমঘাট পর্বতের ছায়ায় তামদি সুরলা শিবমন্দির যাবার সুন্দর রাস্তা হয়েছে। আলো-ছায়ার আলপনা আঁকা পথ। গোয়ার প্রাচীনতম মন্দির আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া সংরক্ষণ করেছে। স্লেট পাথরের মন্দির কদম্ব যাদব শাসনকালের নিদর্শন। এমন গঠনের মন্দির দেশের আর কোথাও দেখিনি। কয়েকটি অভিনব খোদাই শিল্পের নিদর্শন রয়েছে। এরই আদল অনুসরণ করে পরবর্তীকালে সপ্তকোটেশ্বর, মঙ্গেশি, শান্তদুর্গা ইত্যাদি গোয়ার অন্যান্য মন্দির তৈরি করা হয়েছে। নজর কাড়ে চারদিকের মনোরম প্রকৃতি। নীচ দিয়ে একটি ছোট ঝোরা বয়ে গিয়েছে। নিরাপদ অরণ্য পাখিপ্রেমিকদের প্রিয়। শুকনো খাবার নিয়ে গেলে বনের ছায়ায় বনভোজন হতেই পারে।
রয়েছে বহু ধর্মস্থান।
অন্য সফরে কোলেম। সেখানে ছোট গাড়ি রেখে দিয়ে তিন ঘণ্টার প্যাকেজ ট্যুরে ফোর হুইল ড্রাইভে যেতে হবে রোমাঞ্চকর সফরে দুধসাগর ভিউপয়েন্টে। গাড়ি দাঁড়িয়েই থাকে স্ট্যান্ডে, পর পর ছাড়ে যাত্রী হলে। ভাড়া নির্দিষ্ট, গোয়ার কোথাও ঠকে যাওয়ার ভয় নেই। গাড়ি সামান্য এগোলেই বুঝতে পারবেন, এই রাস্তায় প্রতি পদে অন্য মজা। সব জায়গায় রাস্তাও নেই। প্রথমে গাড়িতে একটা চওড়া নদী পার হওয়া। তার পর পশ্চিমঘাটের পাদদেশে গভীর জঙ্গলে। ভগবান মহাবীর ওয়াইল্ডলাইফ স্যাঙ্গচুয়ারি তার সব রূপ রস গন্ধ নিয়ে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে। হাল্কা চড়াই বেয়ে প্রায় ৪০ মিনিট চলার পর গাড়ির স্ট্যান্ড। কয়েকটা অস্থায়ী খাবারের দোকান। এখান থেকে মনোরম বনপথ ধরে প্রায় ৪০০ মিটার হেঁটে গেলে আশ্চর্য সুন্দর পরিবেশে ভিউপয়েন্ট। বিরাট বিরাট পাথরের রাজ্যে ঝর্না নেমে আসছে, বিরাট দুধসাগর জলপ্রপাতের শাখাপ্রশাখা। দু’টি প্রাকৃতিক জলাশয় তৈরি হয়েছে। স্নান করছে তরুণ তুর্কির দল। এখানে দাঁড়িয়ে সামনে চাইলে পাহাড়ের ওপরে দুধসাগর প্রপাত। বর্ষার পরে কয়েক মাস তার ভয়ঙ্কর সুন্দর রূপের বর্ণনা ভাষায় প্রকাশের অতীত। প্রপাতের নীচে সেতু। তার ওপর দিয়ে ট্রেন চলে যায়। সে এক অসাধারণ দৃশ্য। এক ঘণ্টা বেড়িয়ে আবার কোলেম ফিরে যাওয়া। পশ্চিমঘাটের অনাঘ্রাত সৌন্দর্য প্রাণ টানলে দু’দিন পাহাড়ের ওপরে বনের আড়ালে অজ্ঞাতবাসে কাটিয়ে আসতে পারেন। ঘন সবুজের ওড়নায় ঢাকা গন্তব্যের নাম চোরলাঘাট। গোয়ার মনসুন প্যারাডাইস। বর্ষা পেরিয়ে পুজোর সময় চোরলাঘাটের রূপ এক কথায় অসাধারণ। এমন প্রাকৃতিক বৈচিত্রের জন্য গোয়ার এক বার গেলে আবার যেতে মন হয়।
কী ভাবে যাবেন: পশ্চিমবঙ্গ থেকে গোয়া যাওয়ার উপায় আগের দিন উত্তর গোয়া ঘোরা প্রসঙ্গে বলেছি। অমরাবতী এক্সপ্রেসের যাত্রীরা দক্ষিণ গোয়া থেকে ভ্রমণ শুরু করতে চাইলে মারগাঁও স্টেশনে নেমে যাবেন। সেখান থেকে গাড়িতে কোলভা বিচ ২০-২২ মিনিটের রাস্তা। আবার গাড়িতে দক্ষিণের দূরতম বিচ পালোলেম যেতে এক ঘণ্টা লাগে। কোলভা থেকে রাজ্যের রাজধানী পানাজি যেতে সময় লাগবে ৪০-৪৫ মিনিট। পানাজির মাণ্ডভি নদীতে সানসেট ক্রুজ করে সহজেই কোলভা ফেরা যায়। সেলফ ড্রিভেন কার বা বাইক ভাড়া নিলে নিজে চালিয়ে দুধসাগর ভিউপয়েন্ট ছাড়া বাকি সব জায়গাতে যেতে পারবেন।
বনের ভেতরে পশ্চিমঘাট পর্বতের ছায়ায় তামদি সুরলা শিবমন্দির যাবার সুন্দর রাস্তা হয়েছে।
কোথায় থাকবেন: দক্ষিণে গোয়া ট্যুরিজম পরিচালিত পর্যটক আবাস আছে কোলভা বিচ, মারগাঁও ও ফারমাগুডি হিলস্টেশনে। বছরের নানা সময়ে নানা রকম ভাড়া। পুজোর মরসুম মিড সিজন বলে ধরা হয়। ২০০০-৪০০০ টাকায় মাঝারি মানের ঘর পাওয়া যায়। এদের নানা রকম স্টে প্যাকেজ আছে। বিশদ তথ্য ও অনলাইন বুকিং: www.goa-tourism.com জিমটি ডি সি-র এই ওয়েবসাইট থেকে ট্যুর প্যাকেজ ও ক্রুজ বুকিং করা যায়। প্রয়োজনে কথা বলেও নিতে পারেন। যোগাযোগের ফোনঃ ০৮৩২২৪৩৭১৩২
এ ছাড়া সব বিচে রয়েছে আধুনিক মানের বহু হোটেল ও বিচ রিসর্ট। প্রতি দিনের ঘরভাড়া ১৫০০-১৫০০০ টাকা। এমনকী, কোলভা বিচের আশপাশে বাঙালি পরিচালিত থাকা-খাওয়ার কয়েকটি হোটেল আছে।
ছবি: লেখক।