একলা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেন ও ঊষশী চক্রবর্তী ও অন্যান্য়রা। গ্রাফিক্স: শৌভিক দেবনাথ
হইহই করে বেরিয়ে পড়ার মধ্যে যেমন আনন্দ আছে, ঠিক তেমনই একা ভ্রমণের মধ্যে আছে অবাধ স্বাধীনতা। নিজেকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা। সংসারী বা চাকরিজীবী কিংবা তারকা, একাকী মহিলারা পিঠে রুকস্যাক নিয়ে ছুটছেন দেশ থেকে দেশান্তরে। পাড়ি দিচ্ছেন সমুদ্র, দ্বীপ, জঙ্গলে।
গত কয়েক বছরে একলা ভ্রমণ ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অভিনয় জগৎ থেকে সাধারণ কর্মজীবী, মহিলা মহলে একলা বেড়ানোর চল বেড়েছে। কিন্তু এই যে একলা বেরিয়ে পড়া, তাতে কি বিপদের ভয় নেই? দেশে-বিদেশে কী ভাবে ঘুরছেন সকলে? একলা ভ্রমণ শুরুর গল্প, প্রাপ্তি, অসুবিধার কথা ভাগ করে নিলেন তারকা ও চাকরিরতা পাঁচ মহিলা। ঝুলি উপুড় করলেন ভাল-খারাপ অভিজ্ঞতার।
একলা ভ্রমণ শুরুর কাহিনি
একলা বেড়াতে যাচ্ছেন, বাড়ির লোকেরা কিছু বলেন না? বাবা-মাকে বোঝান কী করে? এমন অসংখ্য প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় বহু মহিলা পর্যটককেই। তবে এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা খানিকটা আলাদা অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেনের। জানালেন, পরিবারের পূর্ণ সমর্থন ছিল। তালিকায় রয়েছে আরও একটি নাম। মৌলীনা কুমার। পেশায় মার্কেটিং ম্যানেজার। বললেন, ‘‘একলা যাওয়ার শুরুটা হয়েছিল বাবার জন্যই।’’ বাড়ির অন্য কাউকে কিছু না বলে মেয়েকে একাই দেশের বাড়ি পুরুলিয়ায় পাঠিয়েছিলেন তিনি। প্রথম বার যখন একা পুরুলিয়ার উদ্দেশে ট্রেনে চেপে বসেছিলেন, তখন সবে নবম শ্রেণিতে পড়েন মৌলীনা। সে সময়ে হাতে মোবাইল ছিল না। সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে মৌলীনা বললেন, ‘‘ভয় নয়, উত্তেজনা ছিল। তার পর ধীরে ধীরে একা ঘোরার অদ্ভুত নেশা চেপে বসেছে।’’
বিদেশ ভ্রমণ দিয়ে একলা ঘোরা শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
একলা ভ্রমণ শুরুর নানা কাহিনি রয়েছে এক এক জনের জীবনে। ঘুরতে ঘুরতেই জীবনের অনেক শিক্ষা মিলেছে। ‘হাইওয়ে’ সিনেমাটি দেখতে দেখতেই হিমাচল প্রদেশের লাহুল, স্পিতি যাওয়ার স্বপ্ন তৈরি হয় অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেনের। সেই সময়ে সঙ্গীসাথী না পেয়ে একলাই পাড়ি দেন। তাঁকেও কিন্তু উৎসাহ দিয়েছিলেন তাঁর বাবা। কিন্তু প্রথম বার, তা-ও আবার ‘সেলিব্রিটি’। অসুবিধা হয়নি? ‘‘একেবারেই না’’, বললেন সন্দীপ্তা। তবে জানালেন, কোথায় কখন যাচ্ছেন সমস্ত তথ্য ভাগ করে নিতেন বাবা-মায়ের সঙ্গে। অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তাঁর সহাস্য উত্তর, একলা ভ্রমণে ছবি তোলা নিয়েও অসুবিধা হয়নি। গাড়ি চালকই তাঁর আবদার মতো সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে দিয়েছেন। একলা বেড়াতে গেলে কোথায় যাচ্ছেন, কোথায় থাকছেন, এমনকি গাড়ির নম্বরও স্বামী ও সন্তানদের মোবাইলে পাঠিয়ে রাখেন কলকাতার আর এক একাকী ভ্রমণার্থী নীপা রায় দাস। সন্দীপ্তা ও নীপা দু’জনেই মনে করেন, এতে নিরাপত্তার দিকটি বজায় থাকে। আর এক অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তীও মাঝেমধ্যে একলাই পছন্দের জায়গা ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। বছর কয়েক আগে, শুরুটা করেছিলেন ইউরোপ ভ্রমণ দিয়ে। বললেন, ‘‘বন্ধুবান্ধবদের কারও তখন সময় হয়নি। তাই নিজের ইচ্ছার সঙ্গে আপস না করেই পাড়ি দিয়েছিলাম বিদেশে।’’ পরবর্তী কালেও দেশেও ‘অরোভিল’-এ ঘুরেছেন তিনি। নিরাপত্তা প্রসঙ্গে উষসী বলছেন, ‘‘ইউরোপ মহিলাদের জন্য নিরাপদ। অরোভিল-ও তাই।” কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা করার সময়ে সেই জায়গাটি মহিলাদের জন্য নিরাপদ কি না, সে ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েই একলা ঘোরার পক্ষে তিনি। একই সঙ্গে উষসীর বক্তব্য, কোনও জায়গা সম্পর্কে বিশদ খোঁজখবর নিয়ে গেলে, ঘোরাটা সহজ হয়ে যায়। অজানা জায়গায় গিয়ে ঝুঁকিও কম থাকে।
একলা বেড়ানোর সময় সন্দীপ্তার ছবি তুলে দিয়েছেন গাড়িচালক থেকে স্থানীয় লোকজন। ছবি: সংগৃহীত।
সরকারি হাসপাতালের নার্স নীপা। কর্তব্য থেকে ছুটি মিললেই পাড়ি দেন পাহাড়ে। তাঁর একলা ভ্রমণের শুরুটা হয়েছিল একটু অন্য ভাবেই। পাহাড় তাঁর পছন্দ হলেও পরিবারের অন্যদের পছন্দের তালিকায় পাহাড় ছিল না। স্বামী, সন্তানদের সঙ্গে ঘুরতে গেলে কিছুটা আপস করতে হত। বললেন, ‘‘ছেলে, বরের সঙ্গে ঘুরতাম। এক বার ওরা ঠিক করল বেনারস যাবে। কিন্তু আমার ইচ্ছা ছিল না। প্রথম বার আমি বলি পাহাড়ে যাব, একা। স্বামী একটু চিন্তিত হলেও রাজি হয়ে যান। সেই প্রথম যাওয়া ছিল দার্জিলিং, সিটং।’’
একলা ভ্রমণ কিছুটা মানসিক শান্তি পেতেই শুরু করেছিলেন সানন্দা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিবাহবিচ্ছেদের পর বেড়াতে যেতে চেয়েছিলেন। প্রথমটায় বন্ধুবান্ধবদের বললেও, তাঁরা সময় করতে পারেননি। ২০২০ সালে একলাই বেরিয়ে পড়েছিলেন হিমাচল প্রদেশের উদ্দেশে।
ভয়কে জয়
প্রথম বার একলা ঘোরা, কোনও ভয়ই কি থাকে না?
জস্করের শিলা জলপ্রপাতের ধারে নীপা রায় দাস। ছবিটি তাঁকে তুলে দিয়েছিলেন গাড়ির চালক। ছবি: সংগৃহীত।
স্বামী, সন্তানদের ঘুরতেন নীপা। প্রথম বার একলা গিয়ে ভয় করেনি? নীপা বললেন, ‘‘একলা ঘরে থাকায় আর অন্ধকারে ভীষণ ভয়। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার সিটংয়ে মাঝরাতে আচমকাই বিদ্যুৎ চলে গেলেও ভয় করল না। বারান্দায় বেরিয়ে যখন দেখলাম অসংখ্য আলোয় ঝলমলিয়ে উঠেছে রাতের পাহাড়ি গ্রাম, তখন নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছিল। সেই রূপ-সৌন্দর্যের তুলনা হয় না।’’ সেই শুরু। বছর চল্লিশের মহিলা একলা ঘোরা শুরু করেছিলেন। এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দিব্যি চষে বেড়াচ্ছেন তিনি।
একলা যাওয়ায় উত্তেজনা থাকলেও ঠিক ভয় করেনি বলছেন অভিনেত্রী উষসী ও সন্দীপ্তা। উষসী বলছেন, ইউরোপ এমনিতেই মহিলাদের জন্য সুরক্ষিত। এ ছাড়াও তিনি পুদুচেরিতে ‘অরোভিল’-এ ঘুরেছেন। একলা ভ্রমণে বিভিন্ন দেশে গেলেও কখনও কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থতির মুখে পড়তে হয়নি তাঁকে। সন্দীপ্তার অভিজ্ঞতাও বেশ ভাল। হিমাচল প্রদেশ ঘোরার পরে গুজরাতেও একা গিয়েছিলেন তিনি। কচ্ছের রান, ঢোলাভিরা-সহ বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরেছেন তিনি। বিশেষত ঢোলাভিরা জায়গাটি বেশ নির্জন। তবে কোথাও ভয় হয়নি, আবার খারাপ কোনও অভিজ্ঞতাও হয়নি।
বিপদেই লুকিয়ে শিক্ষা
তবে সকলের অভিজ্ঞতা সমান নয়। ২০১৮ সালে, একা কাঠমান্ডু যাওয়ার পথে সমস্যায় পড়েছিলেন মৌলীনা। হাওড়া থেকে ট্রেনে রক্সৌল। সেখান থেকে টাঙ্গা করে বীরগঞ্জ। ট্রেন বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছনোয় তিনি যখন বীরগঞ্জে পৌঁছন তখন বিকেল গড়িয়ে গিয়েছে। কাঠমান্ডু যাওয়ার বাসও চলে গিয়েছে। মৌলীনা বললেন, ‘‘চারপাশটা দেখেই মনে হচ্ছিল ওই জায়গা একলা মহিলার জন্য মোটেই সুরক্ষিত নয়। এ দিকে ওই জায়গাটা নেপালে। তত ক্ষণে ভারতের মোবাইলের সিমও অচল হয়ে গিয়েছে। নগদ টাকা খুব বেশি ছিল না। তা ছাড়া, ওখানে নেপালের মুদ্রা প্রয়োজন। তা-ও সঙ্গে নেই। সকাল থেকে খাওয়া হয়নি। তবে তখন মনে হয়েছিল দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। কাঠমান্ডু পৌঁছতেই হবে। টাঙ্গাওয়ালাকেই বলেছিলাম গাড়ির ব্যবস্থা করে দিতে। যেখানে গাড়ি পাওয়া যাবে নিয়ে যেতে। অবশেষে বেশি টাকাতেই গাড়ি যেতে রাজি হল। গাড়িচালকের ফোন থেকে কাঠমান্ডুতে এক পরিচিতকে ফোন করে নেপালের মুদ্রার ব্যবস্থা করি।’’ মৌলীনার কথায়, ‘‘এটাই সোলো ট্রিপের শিক্ষা!’’ যে কোনও রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন একাকী যাত্রী। হাতে নেপালি মুদ্রা না থাকায় হোটেলে খাবারের বিল মেটানোর সমস্যা ছিল। সে দিন সেই গাড়িচালকই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলেন। তাঁকে খাইয়েছিলেন। পরে যদিও সমস্ত খরচ তিনি মিটিয়ে দেন। তবে বিদেশে গিয়ে অচেনা মানুষের সাহায্যই ভ্রমণের প্রাপ্তি।
একলা ভ্রমণে স্বপ্নপূরণ। নেপালের পোখরায় প্যারাগ্লাইডিং করছেন মৌলীনা কুমার। ছবি: সংগৃহীত।
প্রতিকূল পরিস্থিতি জীবনে অনেক কিছু শেখায়, বললেন সানন্দা। প্রথম বার হিমাচলে গিয়েই কিছুটা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। বললেন, ‘‘২০২০ সালে একলাই বেরিয়ে পড়ি। মণিকরণে থাকতাম। ওখান থেকে পাহাড়ি পথ ধরে হেঁটে কাসোল যেতাম। আবার সন্ধ্যার মুখে ফিরে আসতাম। এ ভাবে যেতে আসতেই স্থানীয় মানুষজন, ঘুরতে আসা লোকজনের সঙ্গে আলাপ হয়ে যায়। তার পর একাই ক্ষীরগঙ্গা ট্রেক করি। ডিসেম্বরের ঠান্ডা। ভেবেছিলাম, ক্ষীরগঙ্গা ট্রেক করে সে দিনেই নীচে নেমে আসতে পারব। কিন্তু ট্রেক করে পাহাড়ে উঠতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। তার উপর আচমকা তুষারপাত শুরু হওয়ায়, পরিস্থতি খারাপ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত আর একটি ট্রেকার্স দলের গাইডের কাছে গিয়ে সাহায্য চাই। তাঁদের সঙ্গেই ক্ষীরগঙ্গার উদ্দেশে রওনা দিই। ওদের তাঁবু ভাড়া নিয়ে সে রাতে ছিলাম।’’ সানন্দার কথায়, একলা ভ্রমণে মাঝেমধ্যে এমন পরিস্থতি হতেই পারে। তাই অন্য মানুষের উপর ক্ষেত্র বিশেষে ভরসা করতে হবে। তার চেয়ে বড় কথা, মানুষ চিনতেও হবে।
‘সোলো ট্রিপ’ নিয়ে কার কী ভাবনা?
অভিনেত্রী উষসী, নীপা ও সন্দীপ্তার বক্তব্য, যেখানেই যান, তাঁর বিস্তারিত তথ্য বাড়ির লোককে দিতে থাকেন। সোলো ট্রিপে সুরক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোথায় যাচ্ছেন, কোথায় থাবেন, সে বিষয়ে বাড়ির লোকের জানাটা প্রয়োজন।
হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় কারেরি লেকে যাওয়ার পথে সানন্দা বন্দ্যােপাধ্যায়। একলা ভ্রমণার্থীর অনুরোধে ছবিটি তুলে দিয়েছিলেন স্থানীয় গ্রামবাসী। ছবি :সংগৃহীত
তবে বিস্তারিত পরিকল্পনা না করেই বেরিয়ে পড়েন সানন্দা। মূল জায়গা বেছে নেন। সেখান থেকে কোথায় যাওয়া যেতে পারে, তালিকা করে নেন। তার পর মূল জায়গায় গিয়ে ঠিক করেন পরদিন কোথায় যাবেন, কত দিন থাকবেন। সানন্দার কথায়, একলা ঘুরতে গেলে সুরক্ষার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হয়। বেড়াতে গিয়ে অনেক মানুষ, দলের সঙ্গে আলাপ হয়। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন রকম। যদি মনে হয় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন আছে, বা মানসিক ভাবে মিলছে না, তা হলে তা অন্যদের কাছে স্পষ্ট করে দিতে হবে। সেই দলকে এড়িয়ে যেতে হবে।
একাকী ভ্রমণের প্রাপ্তিযোগ
অভিনেত্রী উষসী বলছেন, নিজেকে চেনা। নিজের সঙ্গ উপভোগ করা। প্রকৃতিকে অনুভব করা। সেটা একলা গেলে যে ভাবে সম্ভব, সঙ্গে অন্যরা থাকলে ঠিক ততটা হয় না। সোলো ট্রিপ আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে বলছেন সন্দীপ্তা। একলা গেলে বহু মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়। তাঁদেরকেও চেনা যায় বলে মনে করেন অভিনেত্রী। বাকিরাও একবাক্যে মানছেন সে কথা। একলা ভ্রমণ মানে স্বাধীনতা, একসঙ্গেই দায়িত্ব ও সিদ্ধান্ত নিতে শেখা। সানন্দার কথায়, ‘‘ভ্রমণ শিখিয়েছে মানুষ চিনতে। শিখিয়েছে বিপদের সঙ্কেত পেলে কী ভাবে তৎপরতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’’ ‘‘ক্রমাগত সোলো ট্রিপে মনন ও চরিত্রে বদল এনেছে,’’ বলছেন নীপাও। অনেক বেশি স্বাধীনচেতা, আত্মনির্ভর হয়ে উঠেছেন। একলা ভ্রমণ, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিতে শেখায়। দায়িত্বশীল করে তোলে, বক্তব্য মৌলীনার। তাঁর পরামর্শ, মাথা ঠান্ডা করে নিজের সুরক্ষার দিক মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। টাকার কথা সেই সময় না ভেবে সুরক্ষার কথা ভাবতে হবে। তা ছাড়া, একলা ভ্রমণে মানুষ যতটা মন দিয়ে আশপাশ পর্যবেক্ষণ করেন, অন্য কেউ সঙ্গে থাকলে তা হয় না। একলা ভ্রমণ আসলে নিজের ইচ্ছার উদ্যাপন, নিজেকে মর্যাদা দিতে শেখা।
তবে একলা ভ্রমণে যেতে ইচ্ছা না হলে বা সাহস না থাকলে তাঁর যে আত্মবিশ্বাস নেই, এমনটা ভাবা অবান্তর। কেউ নিজের সঙ্গ উপভোগ করেন, কেউ অনেকের সঙ্গ বেশি ভালবাসেন। এটা নিজস্ব মানসিকতা, ভাল লাগা।