প্রতীকী ছবি।
শীতের ছুটি কয়েক দিনেরই। কিন্তু নষ্ট করা কি যায়? দু’-এক দিনের জন্য একটু বেরিয়ে আসতেই পারেন কাছেপিঠে। তেমন পরিকল্পনা থাকলে পৌঁছে যান কোচবিহার। ‘সিটি অফ বিউটির’ নামে পরিচিত এই জায়গা। রয়েছে রাজ আমলের বহু নিদর্শন, রয়েছে পৌরাণিক মন্দির এবং পাশাপাশি হাল্কা মনে সময় কাটানোর জন্য রয়েছে উদ্যানও।
কী করে যাবেন
কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গগামী বেশ কয়েকটি ট্রেন চলাচল করে, পদাতিক এক্সপ্রেস বা উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস চেপে নিউ কোচবিহার স্টেশনে পৌঁছে যান। সেখান থেকে অটো বা টোটো নিয়ে যেতে হবে কোচবিহার শহরে।
কী দেখবেন
কোচবিহারে দর্শনীয় স্থানের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কোচবিহারের রাজপ্রাসাদ। ‘আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া’র তত্ত্বাবধানে রয়েছে এই রাজপ্রাসাদ। ১৮৮৭ সালে মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের রাজত্বকালে এই রাজপ্রাসাদের নির্মাণ হয়। বর্তমানে কোচবিহারে রাজার রাজত্ব না থাকলেও রাজ ঐতিহ্য বহন করে চলেছে সেই রাজপ্রাসাদ।
এ ছাড়াও কোচবিহারের মদনমোহন মন্দির কোচবিহারের রাজ ঐতিহ্যও বহন করে চলেছে। ১৮৮৯ সালে কোচবিহারের মহারাজার নিপেন্দ্র নারায়ণের আমলেই এই মন্দিরের স্থাপন হয়। ঐতিহ্যবাহী এই মদন মোহন মন্দিরে প্রতি দিন নিষ্ঠার সঙ্গে পূজিত হন মদনমোহন। কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর মদনমোহনকে নিয়ে আবেগ জড়িয়ে রয়েছে সাধারণ মানুষের।
প্রতীকী ছবি।
শহর থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বানেশ্বর শিব মন্দির কোচবিহার জেলার প্রাচীন মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম। প্রাচীন এই মন্দিরের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত একটি পুকুরে মোহন নামের কচ্ছপকে ঘিরে রয়েছে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় আবেগ। প্রতি বছর হাজার হাজার দর্শনার্থী এই মন্দিরে আসেন পুজো দিতে এবং মন্দির দর্শনে।
কোচবিহার থেকে ৩৫ কিলোমিটারের মধ্যে তুফানগঞ্জে রয়েছে রসিকবিল মিনি জু। সেখানে বহু পাখির আগমন হয় প্রতি বছর। রসিকবিলের চিড়িয়াখানায় রয়েছে হরিণ, লেপার্ড সহ নানা পশুপাখি। প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্য ওয়াচ টাওয়ারে যেতে পারেন।
কোথায় থাকবেন
এখানে আপনি থাকার জন্য পেয়ে যাবেন অনেক বেসরকারি হোটেল এবং সরকারি অতিথি নিবাস যা জেলা পরিষদ পরিচালিত।