—প্রতীকী ছবি।
আইফোন থেকে কি নতুনত্ব হরিয়ে যাচ্ছে? উদ্ভাবনে শূন্য পাবে আইফোন ১৬ সিরিজ়? আইফোন ১৬ সিরিজ় আসতে আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। মোবাইল জগতের সেলিব্রিটি এই আইফোন। যথারীতি, সেলিব্রিটি আসার আগে বিভিন্ন খবর আসছে, গুজব ছড়াচ্ছে। সেই সব খবর থেকে জানা যাচ্ছে এ বার আইফোনে চারটি মডেলই থাকবে— আইফোন ১৬, আইফোন ১৬ প্লাস, আইফোন ১৬ প্রো আর আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স। কিন্তু এ বার প্রো মডেলের ডিসপ্লের আকার বেড়ে হচ্ছে যথাক্রমে ৬.৩ ইঞ্চি এবং ৬.৯ ইঞ্চি। মজার বিষয়, ডিসপ্লের আকার বাড়লেও ফোনের আকার খুব একটা বাড়বে না। বিষয়টা করা হবে ডিসপ্লের বেজেল আরও পাতলা করে। তবে নন প্রো মডেল ১৬, ১৬ প্লাসের আকার বা বেজেলে কিন্তু কোনও পরিবর্তন নেই। নন প্রো আইফোনপ্রেমীদের জন্য আরও খারাপ খবর, এ বারও সম্ভবত ডিসপ্লের রিফ্রেশ রেট থাকছে ৬০ হার্ৎজ়। এই ১৬ আর ১৬ প্লাস মডেলে কিছুই কি পাল্টায়নি? পাল্টেছে তো। উল্টে দেখলেই নজরে আসবে পাল্টে যাওয়া ক্যামেরার লেন্সের সজ্জা। দুটো ক্যামেরাই থাকছে, তবে পাঁচ বছর আগের আইফোনের মতো লেন্স দুটো থাকবে লম্বালম্বি ভাবে। যে লেন্সের একটা ৪৮ মেগাপিক্সেলের মেন সেন্সর অন্যটা ১২ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড লেন্স। এ বার প্রশ্ন, আইফোন ১৬ প্রো আর প্রো ম্যাক্সের ক্যামেরায় কী কী পরিবর্তন পাব আমরা? প্রো মডেল দুটোতেই থাকছে গত বারের মতো তিনটি ক্যামেরা। ৪৮ মেগাপিক্সেলের মেন ক্যামেরা, ৪৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড আর একটা ৫ এক্স অপটিকাল জুম লেন্স।
এ বার ব্যাটারির কথায় আসা যাক। চারটি মডেলেই ব্যাটারির ক্ষমতা সামান্য বাড়ছে। সঙ্গে প্রো মডেল দু’টিতে ৪০ ওয়াটের চার্জিং সাপোর্ট, ২০ ওয়াটের ম্যাগসেফ চার্জিং তো থাকছেই। নন প্রো মডেলে থাকছে যথাক্রমে ২৭ ওয়াট আর ১৫ ওয়াট চার্জিং সাপোর্ট।
আর হ্যাঁ, প্রসেসর। প্রতি বারের মতোই এ বারও আপগ্রেড হচ্ছে প্রসেসর। আইফোন ১৬ আর ১৬ প্লাসে থাকবে বায়োনিক এ১৮ চিপ আর ১৬ প্রো, ১৬ প্রো ম্যাক্সে বায়োনিক এ ১৮ প্রো৷
এ বার এর নাম যদি হয় পরিবর্তন, তা হলে অ্যাপল এ বার নতুন ফোনের মার্কেটিং করবে কী নিয়ে? সব সংস্থা এআই নিয়ে উত্তেজনা তৈরি করছে। অ্যাপলও কি তাই করবে? হ্যাঁ, অ্যাপল এ বার তাদের ফোনে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে আসছে ঠিকই। কিন্তু সবার মতো অ্যাপলও যদি একই কাজ করে তা হলে আর সে অ্যাপল হল কী ভাবে? অতএব অ্যাপল সম্ভবত এ বার তাদের চারটি আইফোন মডেলেই যে ক্যাপচার বাটন দেবে সেটা নিয়েই সবচেয়ে বেশি প্রচার করবে। ক্যাপচার বাটন হল স্মার্টফোনের ফ্রেমে, পাওয়ার বাটনের কিছুটা নীচে ক্যামেরার জন্য একটা ডেডিকেটেড বাটন। যেটা এ বার আইফোন ১৬ সিরিজ়ের সবচেয়ে আলোচিত উন্নয়ন।
হ্যাঁ, আইফোন ১৬ সিরিজ় খুব ভাল মোবাইল হবে আশা করা যায়। বিক্রিও হবে অনেক। কিন্তু আজ যেখানে টিম কুকের স্বপ্নের ভিশন প্রোর বিক্রি তলানিতে, হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করার পরও অ্যাপল কার প্রজেক্ট বাতিল করতে হয়েছে, সেখানে নতুন আইফোনে ইনোভেশনের নামে ডিএসএলআর ক্যামেরার মতো একটা ক্যাপচার বাটন দিলে চারদিকে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাবে এটা প্রত্যাশিত। সমালোচনা হবে, যেমন সেলিব্রিটিদের সমালোচনা হয়। কিন্তু আর তো মাত্র কয়েক সপ্তাহ। আমরা বরং একটু অপেক্ষা করে দেখি শেষ মুহূর্তে কোনও তুরুপের তাস বার করে শেষ হাসিটা অ্যাপলই হাসে কি না৷