EPFO Face Authentication

প্রভিডেন্ট ফান্ডে এ বার আধারের মুখমণ্ডল প্রমাণীকরণ প্রযুক্তি, কী কী সুবিধা পাবেন বেসরকারি কর্মীরা?

আধারের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে মুখমণ্ডল প্রমাণীকরণ প্রযুক্তি বা ফেস অথেন্টিকেশন টেকনোলজ়ি নিয়ে এসেছে কেন্দ্র। এ বার তার সুবিধা পাবেন ইপিএফওর গ্রাহকরাও।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৪৮
Share:
Representative Picture

—প্রতীকী ছবি।

এমপ্লোয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজ়েশন বা ইপিএফওর গ্রাহকদের জন্য সুখবর। কাজের সুবিধা এবং নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এ বার মুখমণ্ডল প্রমাণীকরণ প্রযুক্তি (ফেস অথেন্টিকেশন টেকনোলজ়ি) চালু করছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকা এই সংস্থা। ইতিমধ্যেই আধার নম্বরগুলিকে বাড়তি নিরাপত্তা দিতে এটি নিয়ে এসেছে সরকার। বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা ইপিএফওতে কী ভাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করবেন, আনন্দবাজার ডট কমের এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।

Advertisement

ইপিএফওর গ্রাহকদের তহবিলে অর্থের পরিমাণ জানতে বা টাকা তোলার ক্ষেত্রে ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর বা ইউএএনের প্রয়োজন হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের নিয়োগকর্তারা এটি তৈরি করে থাকেন। ফলে নামের বানান, বাড়ির ঠিকানা বা মোবাইল নম্বরের মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। নতুন প্রযুক্তিতে ইপিএফওর গ্রাহক নিজেই ইউএএন নম্বর তৈরি করতে পারবেন। শুধু তা-ই নয়, এতে ইউএএন ত্রুটিমুক্ত হবে বলে আশাবাদী কেন্দ্র।

বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা দু’টি পদ্ধতিতে মুখমণ্ডল প্রমাণীকরণ প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজের ইউএএন নিজে তৈরি করতে পারবেন। এর জন্য উমঙ্গ বা আধার ফেসআরডি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে তাঁদের। এর পর সংশ্লিষ্ট অ্যাপের ভিতরে ঢুকলে ইউএএন অ্যালটমেন্ট অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন বলে একটি বিকল্প দেখতে পাবেন তাঁরা। সেখানে গিয়ে আধার নম্বর এবং মোবাইল নম্বর লিখতে হবে। দিতে হবে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপি তৈরির অনুমতি।

Advertisement

মোবাইলে ওটিপি চলে আসার পর গ্রাহককে নিজের ফোন ব্যবহার করে নিজের ছবি তুলতে হবে। সেটি সংশ্লিষ্ট অ্যাপে আপলোড হলে মুখমণ্ডলের প্রমাণীকরণ তথ্য পেয়ে যাবে সরকার। এর পর ইউএএন তৈরির জন্য আবেদন জানালে সংশ্লিষ্ট অ্যাপেই সেটি দেখা যাবে। গ্রাহক ওই ইউএএনের মাধ্যমে ইপিএফও থেকে নিয়মিত এসএমএসও পাবেন।

গত আর্থিক বছরে (পড়ুন ২০২৪-’২৫) মোট ১.২৬ কোটি ইউএএন গ্রাহকের মধ্যে বিলি করেছে ইপিএফও। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৩৫ শতাংশ সক্রিয় হয়েছে। আধার ওটিপি তৈরি না হওয়ায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিয়েছে। নতুন প্রযুক্তিতে সেই সমস্যা মিটবে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement