গত মরসুমে যথেষ্ট রান করেননি বলে জাতীয় দলে জায়গা পাননি, স্বীকার করে নেওয়ার পাশাপাশি বীরেন্দ্র সহবাগ জানালেন যে, আইপিএলে বড় রান পেলে তিনি ভারতের জার্সি ফিরে পাবেন। প্রীতি জিন্টার কিংস ইলেভেন পঞ্জাব তাঁকে ৩.২ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছে। এবং সহবাগের আশা, আইপিএলেই ফর্মে ফিরবেন তিনি।
“গত মরসুমটা ভাল যায়নি। আশা করছি আইপিএলে ভাল করব। আর আইপিএলে ভাল খেললে জাতীয় দলে ফেরার সুযোগও পেতে পারি,” বলছেন সহবাগ। আবু ধাবিতে কয়েক দিন আগে ডারহাম কাউন্টির বিরুদ্ধে এমসিসির হয়ে সেঞ্চুরি করেন তিনি। ৩৫ বছরের সহবাগ বলছেন, “শরীর ঠিক থাকলে আরও দু’তিন বছর আমি খেলতে চাই। তার পর দেখা যাবে।”
আইপিএলে গড়াপেটা বা বেটিং নিয়ে কিছু বলতে না চাইলেও নিজের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে আশাবাদী সহবাগ বলেছেন, “ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করায় ওদের বলেছিলাম, অন্য কোনও বিকল্প থাকলে আমি শুধু প্লেয়ার হিসেবেই থাকতে চাই। পরে জর্জ বেইলিকে ক্যাপ্টেন করে আমাকে বলা হয়, সিনিয়র হিসেবে আমাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। যে ভুমিকায় আমি খুব খুশি।”
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর ফেভারিট ভারত। ফর্মে না থাকা শিখর ধবন এবং যুবরাজ সিংহ নিয়ে সহবাগ বলছেন, “ধবনের বয়স কম। ওকে আরও সময় দিতে হবে। জাতীয় দলে ঢুকে আমিও প্রথম দিকে রান পাইনি, কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট আমার পাশে ছিল। যুবরাজ ম্যাচ-উইনার। ও নিশ্চয়ই সেমিফাইনাল আর ফাইনালে ফর্ম ফিরে পাবে।” একমাত্র ভারতীয় হিসেবে টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করা সহবাগ মনে করেন, তাঁর রেকর্ড ছুঁতে পারেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা বা চেতেশ্বর পূজারা। “এক থেকে চার নম্বরে নামা ব্যাটসম্যান বেশি সুযোগ পায় ট্রিপল সেঞ্চুরি করার,” বলেছেন তিনি।
২৮ মার্চ ২০০৪, ঠিক দশ বছর আগে মুলতানে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন সহবাগ। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “ওই পাকিস্তান সফর থেকে ফিরেই বিয়ে করেছিলাম। বিবাহবার্ষিকী যে ভাবে সেলিব্রেট করি, ট্রিপল সেঞ্চুরিও ঠিক সে ভাবে সেলিব্রেট করি আমরা। স্ত্রীর সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাই, বা ও রকম অন্য কিছু।” সঙ্গে যোগ করেন, “ট্রিপল সেঞ্চুরিটা করার পরেও জানতাম না যে আমিই প্রথম ভারতীয় হিসেবে টেস্টে তিনশো রান করলাম। ভেবেছিলাম গাওস্কর বা বিশ্বনাথের নিশ্চয়ই কৃতিত্বটা আছে। ড্রেসিংরুমে ফিরে জানতে পারি ব্যাপারটা।” তিনি আরও বলেছেন, “উল্টো দিকে সচিন ব্যাট করছিল। আমি ১২৫ করার পর ও বলেছিল আর ছক্কা না মারতে। বড় রান করার মোটিভেশনটা সচিনই সে দিন দিয়েছিল। ও না থাকলে আমার প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিটা হয়তো অধরাই থেকে যেত!”