সুয়ারেজের পাশে দাঁড়ালেন না পেলে

সুয়ারেজ ইস্যুতে দুই মেরুতে ফুটবলের দুই কিংবদন্তি! বিশ্বকাপ থেকে উরুগুয়ের তারকা স্ট্রাইকার নির্বাসিত হওয়ার পর তাঁর পাশে যখন দাঁড়িয়ে পড়েছেন ফুটবল রাজপুত্র দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা, ঠিক সে সময়ই মারাদোনার উল্টো পথে হাঁটলেন পেলে। ফুটবল সম্রাট বলেছেন, “ফিফা সঠিক শাস্তিই দিয়েছে সুয়ারেজকে।” পেলের মতো ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটারেরও অভিমত, “চিয়েলিনিকে কামড়ে ঠিক কাজ করেনি সুয়ারেজ।”

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৪ ০৪:১৫
Share:

সুয়ারেজ ইস্যুতে দুই মেরুতে ফুটবলের দুই কিংবদন্তি! বিশ্বকাপ থেকে উরুগুয়ের তারকা স্ট্রাইকার নির্বাসিত হওয়ার পর তাঁর পাশে যখন দাঁড়িয়ে পড়েছেন ফুটবল রাজপুত্র দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা, ঠিক সে সময়ই মারাদোনার উল্টো পথে হাঁটলেন পেলে।

Advertisement

ফুটবল সম্রাট বলেছেন, “ফিফা সঠিক শাস্তিই দিয়েছে সুয়ারেজকে।” পেলের মতো ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটারেরও অভিমত, “চিয়েলিনিকে কামড়ে ঠিক কাজ করেনি সুয়ারেজ।”

তবে উরুগুয়ের ‘দুষ্টু ছেলে’ সুয়ারেজের পাশে প্রবল ভাবে রয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট হোসে মেহিকা। তাঁর কথায়, “সুয়ারেজ নয়। ফিফার সিদ্ধান্তই ফুটবলের ‘চিরকালীন লজ্জা’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকল।” এখানেই না থেমে মেহিকা আরও বলেন, “আমরা, ইতালি, ইংল্যান্ডইউরোপের দুটো পাওয়ার হাউজকেই বিশ্বকাপ থেকে ছুটি করে দিয়েছি। তাই হয়তো এই মাশুল গুণতে হল।” উরুগুয়ের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেই সুর মিলিয়ে লাতিন আমেরিকার আর এক দেশ ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট দিওসদাদো কাবেয়োও দাঁড়িয়ে পড়েছেন সুয়ারেজের পাশে। বলছেন, “সুয়ারেজকে বীর যোদ্ধার সম্মান দেওয়া হোক। ফিফা সুয়ারেজের কামড় বড় করে দেখিয়ে বিশ্বকাপে ওর পা থেকে বল কেড়ে নিল। আর ফিফার দংশনে যে গোটা ফুটবল বিশ্ব প্রতিনিয়ত ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে? ওদের কে নির্বাসিত করবে।”

Advertisement

ফিফা সুয়ারেজকে নির্বাসন দেওয়ায় ইতিমধ্যেই ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার স্ট্র্যাটেজিক কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন উরুগুয়ের কোচ অস্কার তাবারেজ। কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে নামার আগে কড়া ভাষায় তিনি বলেন, “এটা খুব দুঃখজনক ব্যাপার যে ইংরেজিভাষী মিডিয়া এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ইন্ধন দিল ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থাকে। আর সেটাই মেনে নেওয়া হল। বলির পাঠা হল সুয়ারেজ।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “নিজে যে মূল্যবোধ নিয়ে চলি তার সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত মেলে না।”

উরুগুয়ে প্রেসিডেন্টও মনে করিয়ে দেন, সুয়ারেজ ইতালি ম্যাচে আদৌ চিয়েলিনিকে কামড় দিয়েছিল কি না তা এখনও ধোঁয়াশার মধ্যেই রয়েছে। জানা গিয়েছে, ফিফার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে সুয়ারেজ আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য যে লিখিত বিবৃতি পাঠিয়েছিলেন, তাতে লেখা ছিল, “এটা কে কোনও মতেই কামড়ানোর ঘটনা বলা যাবে না। কারণ ওই মুহূর্তে হঠাৎ দেহের ভারসাম্য হারিয়ে যাওয়ায় আমি ইতালি ডিফেন্ডারের ঘাড়ে গিয়ে পড়ি। ইতালির ওই ডিফেন্ডার বরং তাঁর কাঁধ দিয়ে আমার মুখে ধাক্কা মারে। তাতে আমার দাঁতেই আঘাত লেগেছিল।”

তবে সুয়ারেজের এই বক্তব্যে সমর্থন জানাননি পেলে। তাঁর কথায়, “একদম ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। না হলে এই ঘটনা এর পরেও ফুটবল মাঠে ঘটার সম্ভাবনা থাকত। আর দর্শকরা ফুটবল মাঠে যায় ভাল খেলা দেখতে। কামড় দেখতে নয়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement