৫-৫-০-৪!
বাংলার স্পিন-সংসারে যখন দু’এক জন বাদে পরবর্তী প্রজন্ম সে ভাবে নেই বললেই চলে, তখন বাংলারই এক বাঁ হাতি স্পিনার এ ভাবেই উড়িয়ে দিলেন কেরলকে। কোচবিহার ট্রফির ম্যাচে পাঁচ ওভার বল করে পাঁচটাই মেডেন দিলেন। উইকেট নিলেন চারটে।
এবং বাঁ হাতি স্পিনার অনুরাগ তিওয়ারির একটা উইকেটও টার্নারে আসেনি। এসেছে কেরলের সবুজ উইকেটে।
ছোটবেলা থেকে ড্যানিয়েল ভেত্তোরি হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন অনুরাগ। জন্মসূত্রে উত্তরপ্রদেশের হলেও বহু দিন ধরে তিনি বাংলায়। শনিবার কেরল থেকে ফোনে অনুরাগ বলছিলেন, “আমি শুধু ঠিকঠাক জায়গায় বলটা ফেলে গিয়েছিলাম। বাঁ হাতি স্পিনারের যেটা স্টক বল হয়, আমি সেটাই বেশি করি। আজও করেছি।” তবে একেবারে শুন্য রানে যে চার উইকেট আসবে, ভাবতে পারেননি। “আগেও অনেক উইকেট পেয়েছি, কিন্তু কোনও রান না দিয়ে যে চার উইকেট নিয়ে চলে যাব, ভাবিনি।” কেরলের বিরুদ্ধে তাঁর এমন দুর্ধর্ষ বোলিং রেকর্ড কি না, জানেন না অনুরাগ। “রেকর্ড কি না বলতে পারব না। তবে আমার এই পারফরম্যান্স উত্সর্গ করতে চাইব টিমের কোচদের।”
মূলত, অনুরাগের শুন্য রানে চার উইকেট এবং অনন্ত সাহার ১৫ রানে তিন উইকেটে কেরলকে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৩ রানে খতম করে দিল বাংলা। ডান হাতি মিডিয়াম পেসার অনন্তের বোলিং হিসেবও যথেষ্ট আকর্ষণীয়: ৭-৩-১৫-৩। গত ম্যাচে কর্নাটকের বিরুদ্ধে সাত উইকেট নিয়েছিলেন অনন্ত। বললেন, “আমি তিন বছরের মধ্যে সিনিয়র বাংলায় খেলতে চাই। সেটাই আমার লক্ষ্য এখন।”
সিনিয়র ক্রিকেটে বর্তমানে আবার দু’টো প্রশ্ন। এক, কল্যাণীতে বাংলার পরবর্তী ম্যাচে পিচের চরিত্র-পরিবর্তন হবে কি না? আর দুই, বাংলার প্রধান নির্বাচক রাজু মুখোপাধ্যায়কে কেন বিজয় হাজারে ট্রফির প্রথম ম্যাচে দেখা গেল না?
ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচে বাংলার নির্বাচক প্রধানকে দেখা যায়নি। যা নিয়ে সিএবি-র কোনও কোনও মহলে প্রশ্ন উঠেছে। জিজ্ঞেস করা হলে রাজু বললেন, “আমি অসুস্থ। ফ্লু হয়েছে। গত সাত দিন ধরেই তাই আমি যেতে পারছি না। আরও দু’এক দিন লাগবে সুস্থ হতে।” উল্টো দিকে কল্যাণীতে বাংলার পরবর্তী ম্যাচ আবার ১৩ নভেম্বর। ত্রিপুরার বিরুদ্ধে। শোনা যাচ্ছে, সেই ম্যাচেও পিচে পরিবর্তন হওয়ার খুব সম্ভাবনা নেই।
শনিবার সিএবি-তে যুগ্ম সচিব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন বাংলা অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্ল। পরে বললেন, “চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে পিচ নিয়ে এত ভাবলে চলবে না। সকাল সাড়ে আটটায় ম্যাচ শুরু হয় ওখানে। তখন টসটা গুরুত্বপূর্ণ হয় ঠিকই। কিন্তু সেটা নিয়ে আমাদের ভেবে লাভ নেই।”