পরিকল্পনা ছিল দশ দিনের। কিন্তু মাত্র দু’দিনের মাথায় খবরটা পেয়েই ম্যাডাগাস্কারের জঙ্গলে মধুচন্দ্রিমা মুলতুবি রেখে মহানন্দে দেশে ফিরছেন অনির্বাণ লাহিড়ী! যত দ্রুত সম্ভব ব্রিটিশ ওপেন গল্ফে নামার তোড়জোড় শুরু করে দিতে।
সুদূর ম্যাডাগাস্কারে বসেই বিশ্বের একাশি নম্বর গল্ফার আসন্ন ব্রিটিশ ওপেনে নামার অপ্রত্যাশিত সুযোগের কথাটা জেনেছেন। সর্বোচ্চ বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে যে দশ জন ‘নন একসেম্পট’ গল্ফার এ বার ব্রিটিশ ওপেনে সুযোগ পেয়েছেন তাঁদের অন্যতম অনির্বাণ। আগামী ১৭-২০ তারিখ হয়লেক-এর রয়্যাল লিভারপুল গল্ফ ক্লাবে অনুষ্ঠেয় টুর্নামেন্টে তিনি ভারতীয় গল্ফের একমাত্র প্রতিনিধি।
জীবনের দ্বিতীয় মেজর টুর্নামেন্টে নামার আচমকা সুযোগে উচ্ছ্বসিত সাতাশ বছরের অনির্বাণ বলেছেন, “দশ দিনের মধুচন্দ্রিমার সবে দু’দিন হয়েছে। ম্যাডাগাস্কারের রেন ফরেস্টে আছি এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারতে ফেরার চেষ্টা করছি। সব কিছু গোলমাল হয়ে গেল। তবে আমি নিজে অসম্ভব এক্সাইটেড!” এ-ও মানছেন, মধুচন্দ্রিমা ভেস্তে যাওয়ার ব্যাপারটা স্ত্রী ইপশার কাছে পরে “দারুণ ভাবে পুষিয়ে দিতে হবে।” তবে আপাতত তাঁর একটাই লক্ষ্য, ব্রিটিশ ওপেন। অনির্বাণের কথায়, “কোন রাস্তায় ফিরলে ব্রিটিশ ওপেনের প্রস্তুতি তাড়াতাড়ি শুরু করা যাবে, আপাতত শুধু সেটাই ভাবছি।”
অনির্বাণের আগে দু’বার ব্রিটিশ ওপেনে নেমেছেন ভারতের আর মাত্র তিন জন, জীব মিলখা সিংহ, জ্যোতি রণধাওয়া এবং শিব কপূর। ২০১২-য় অনির্বাণ নিজের প্রথম ব্রিটিশ ওপেনে হোল-ইন-ওয়ান করে তাক লাগানোর পর শেষ করেছিলেন একত্রিশ নম্বরে। চলতি বছরটাও দারুণ কাটছে তাঁর। এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়ায় বিদেশের মাটিতে প্রথম খেতাব জিতেছেন। আরও চার টুর্নামেন্টে সেরা দশে শেষ করে এশীয় ট্যুরের অর্ডার অব মেরিট তালিকায় আছেন এক নম্বরে। দুর্দান্ত এই ফর্ম ব্রিটিশ ওপেনেও ধরে রাখতে পারেন কি না, সেটাই এখন দেখার।