আর মাত্র ৪০ দিনের অপেক্ষা। যার পরেই দেশের জার্সিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে মাঠে নামবেন মেসি, রোনাল্ডোরা।
কিন্তু যত দিন এগোচ্ছে, ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ আরও ঢাকা পড়ছে বিতর্কে। প্রশ্ন উঠছে ফুটবলারদের নিরাপত্তা নিয়ে। বিশ্বকাপ শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে আবার ভুল কারণে শিরোনামে চলে এল ব্রাজিল। রিও-তে যে হোটেলে থাকতে চলেছে ইংল্যান্ড, তার সামনেই পুলিশের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী। এমনকী দু’দলের মধ্যে গোলাগুলির লড়াইয়ে একজন অপরাধী নিহত হন। যার কাছে থেকে উদ্ধার হয় নিষিদ্ধ মাদক ও পিস্তল। ঘটনার পরেই ব্রিটিশ প্রচারমাধ্যাম উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় ইংল্যান্ড দলের নিরাপত্তা নিয়ে। যে এলাকায় ইংল্যান্ডের হোটেল, সেই জায়গা পরিচিত অপরাধীদের আড্ডা হিসাবে। বৃহস্পতিবার রিওতে গ্রেফতার করা হয় এডুয়ার্ডো হারকিউলানো দা সিলভাকে, যিনি এক নামী অপরাধী ছিলেন। শোনা যাচ্ছে, ইংল্যান্ড ফুটবল সংস্থার কর্তারা ইতিমধ্যেই চিন্তিত দলের নিরাপত্তা নিয়ে। তার উপর আবার ব্রাজিলের এক গোষ্ঠী পিসিসি আগাম হুমকি দিয়ে রেখেছে যে বিশ্বকাপ তছনছ করে দেবে তারা। ইংল্যান্ড কোচ রয় হজসন আগেই বলেছিলেন, “আমার মনে হয় দেশের নিরাপত্তারক্ষীরা এখন থেকেই চিন্তিত ব্রাজিলের ঘরোয়া ঝামেলা নিয়ে। কিন্তু আশা করছি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে সব সমস্যার সমাধান করতে পারবে ব্রাজিল।”
এ ছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই ব্রাজিলে প্রতিবাদ চলছে। প্রায় হাজার হাজার সমর্থক প্রতিবাদ জানাচ্ছে, যে কেন এত টাকা খরচ করছে ব্রাজিল সরকার যেখানে দেশের প্রায় অর্ধেক লোক দারিদ্রতার শিকার। বিশ্বকাপের জন্য সব জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে ব্রাজিল সরকার। পাশাপাশি এখনও অনেক স্টেডিয়ামের কাজ বন্ধ পড়ে আছে। অনেক রাস্তা তৈরি হয়নি। তার সঙ্গে আবার বিশ্বকাপের অর্ধেক স্টেডিয়ামে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না সর্মথকরা। এক ব্রাজিল নেতা বলেন, “বারোটার মধ্যে এখনও ছ’টা স্টেডিয়াম কোনও চুক্তি সই করেনি ওয়াই-ফাই ব্যবহার করার ব্যপারে।”
সারা বিশ্বের সংশয় যখন ব্রাজিল বিশ্বকাপ নিয়ে, স্বয়ং দেশের কোচ লুইজ ফেলিপে স্কোলারি ঝামেলা শেষ করার জন্য আবেদন জানালেন ব্রাজিল সমর্থকদের। “প্রতিবাদ জানানোর একটা সময় থাকে। যদি শান্ত ভাবে প্রতিবাদ জানানো হয় তাহলে ঠিক আছে। কারণ আমরা গণতন্ত্র। কিন্তু জানি না এটা ঠিক সময় কিনা প্রতিবাদ জানানোর,” বলেন স্কোলারি। ব্রাজিল কোচের সঙ্গে একমত নেইমার। তাঁর বক্তব্য, “আমার মত হচ্ছে যখন কেউ প্রতিবাদ করে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু তা হিংসাত্মক হওয়া উচিত নয়।”