ফিঞ্চের সেঞ্চুরিতে জয়ী এমসিসি, লি-র বলে হাত ভাঙল ওয়ার্নের

মাঠের বাইরে বন্ধু হলে কী হবে, মাঠে নামলে যে কেউ কাউকে ছাড়তে নারাজ, সেটাই বোঝা গেল শনিবাসরীয় লর্ডসে। এক দিকে যেমন যুবরাজকে আউট করে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়ে দিলেন সচিন তেন্ডুলকর। অন্য দিকে তেমন ব্রেট লি-র বিমারে হাত ভাঙল শেন ওয়ার্নের। লর্ডসের দুশো বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে স্মারক ম্যাচটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছিলেন ওয়ার্ন। কিন্তু অন্য কারণে ম্যাচটা মনে রাখতে হবে বিশ্ববরেণ্য স্পিনারকে। এক স্বদেশীয়র বিধ্বংসী বোলিংয়ে যেমন হাত ভাঙলেন, তেমন আর এক স্বদেশীয় অ্যারন ফিঞ্চের জবরদস্ত ব্যাটিংয়ে ম্যাচটা হারলেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৪ ০৩:৩০
Share:

যন্ত্রণায় কাতর ওয়ার্ন।

মাঠের বাইরে বন্ধু হলে কী হবে, মাঠে নামলে যে কেউ কাউকে ছাড়তে নারাজ, সেটাই বোঝা গেল শনিবাসরীয় লর্ডসে। এক দিকে যেমন যুবরাজকে আউট করে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়ে দিলেন সচিন তেন্ডুলকর। অন্য দিকে তেমন ব্রেট লি-র বিমারে হাত ভাঙল শেন ওয়ার্নের। লর্ডসের দুশো বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে স্মারক ম্যাচটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছিলেন ওয়ার্ন। কিন্তু অন্য কারণে ম্যাচটা মনে রাখতে হবে বিশ্ববরেণ্য স্পিনারকে। এক স্বদেশীয়র বিধ্বংসী বোলিংয়ে যেমন হাত ভাঙলেন, তেমন আর এক স্বদেশীয় অ্যারন ফিঞ্চের জবরদস্ত ব্যাটিংয়ে ম্যাচটা হারলেন।

Advertisement

সচিনের এমসিসি-র বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ওয়ার্নের বিশ্ব একাদশ। পাক অফ স্পিনার সইদ আজমলের (৪-৪৫) দাপটে ৬৮-৫ হয়ে যাওয়ার পর যুবরাজের (১৩২) দাপুটে সেঞ্চুরি ওয়ার্নের দলকে বড় ইনিংসের (২৯৩-৭) দিকে নিয়ে যায়। লি, গুল, টেট, আজমলরাও যখন যুবরাজকে বাগে আনতে পারলেন না, তখন সচিনকে ছয় হাঁকাতে গিয়ে লং অনে ফিল্ডারের হাতে ধরা পড়ে যান।

আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার সময় সচিনের সঙ্গে ঠাট্টা-তামাশা শুরু করে দিলেন যুবি। সচিন তো তাঁর প্রাক্তন সতীর্থকে চেনা মুডে পেয়ে আহ্লাদিত। চাপমুক্ত ম্যাচে সারা দিনই সচিন ছিলেন ফুরফুরে মেজাজে। ব্যাট হাতে নেমে ৪৫ বলে সাতটি বাউন্ডারি-সহ ৪৪ করেন। তার পর মুরলীধরনের বল কাট করতে গিয়ে ব্যাটের ভিতরের কানা দিয়ে স্টাম্পের ভিতরে টেনে নিলেন। ওয়ার্নের সঙ্গে ডুয়ালটাও লড়া হল না তাঁর।

Advertisement


সচিনের প্রথম ওভারের শেষে ‘পাজি’কে প্রণাম। সেঞ্চুরিকারী যুবরাজকে ফিরিয়েও পিঠে চাপড়।

যুবরাজ আউট হওয়ার পর ব্যাট হাতে নেমে প্রথম ওভারেই ব্রেট লি-র সামনে পড়তে হয় তাঁকে। লি তখন প্রায়ই বাউন্সার, রিভার্স সুইং দিচ্ছেন। কিন্তু ওয়ার্নকে প্রথম বলটাতেই যে বিমারটা দিলেন, তাতে মনে হল কোনও পুরনো ঝগড়ার বদলা নিতে অমন এক বিধ্বংসী ডেলিভারি দিলেন লি। সত্যিই তেমন উদ্দেশ্য থাকলে লি সফল। কারণ বিমারটা সোজা ওয়ার্নের হাতে। পরে এক্স রে করে দেখা গেল হাত ভেঙেছে তাঁর।

২৫ বল বাকি থাকতেই ওয়ার্নের দলকে সাত উইকেটে হারাতে সবচেয়ে বড় অবদান ওপেনার ফিঞ্চের। ১৮১-র বিশাল ইনিংসে ২৩টি চার ও ছ’টি ছয় এই ভিক্টোরিয়ানের।

ছবি: রয়টার্স

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement