হুগলি জেলা নকআউট ভলিবল প্রতিযোগিতার সিনিয়র পুরুষ ও মহিলা— দুই বিভাগেই খেতাব জিতে নিল ভদ্রেশ্বরের ইউনাইটেড অ্যাথলেটিক ক্লাব (ইউএসি)। মেয়েদের বিভাগে রানার্স মগরা অ্যাকাডেমি। ছেলেদের বিভাগে রানার্স ভদ্রেশ্বরেরই ভবানি সঙ্ঘ।
কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ফাইনাল, সব খেলাই হয় ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়ার বৈদ্যনাথ পার্কে। মেয়েদের সেমিফাইনালে তারকেশ্বর অ্যাকাডেমিকে হারায় ইউএসি। মগরা অ্যাকাডেমি জেতে তারকেশ্বর বটতলা ক্লাবের বিরুদ্ধে। রবিবার নৈশালোকে ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে প্রথম দু’টি সেটে পিছিয়ে পড়েও ইউএসি-র মেয়েরা ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের তিনটি সেট ছিনিয়ে নেন। শেষ সেটটি আবার টাই হয়েছিল। ফলে এক সময় ম্যাচ যে কোনও দিকে ঘুরতে পাপার পরিস্থিতি তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসে ইউএসি। তাদের পক্ষে খেলার ফল দাঁড়ায় ২৩-২৫, ১৯-২৫, ২৫-২০, ২৫-১৭, ১৭-১৫। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন বিজয়ী দলের স্ন্যাচার পিঙ্কি বাগ। ফাইনালে দল হারলেও মগরার দলটির দেবীষা বর্ধন সেরা লিবেরোর সম্মান আদায় করে নিতে পেরেছেন।
অন্য দিকে, ছেলেদের বিভাগে ভবানী সঙ্ঘ তারকেশ্বরের বটতলা ক্লাবকে এবং ইউএসি স্থানীয় ভবানী সঙ্ঘকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছয়। মেয়েদের কষ্টার্জিত জয়ের পাশাপাশি ছেলেদের বিভাগের ফাইনালে ইউএসি-কে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। স্ট্রেট সেটে তাঁরা ভবানী সঙ্ঘকে হারিয়ে দেয়। ইউএসি-র পক্ষে খেলার ফল ২৫-১৯, ২৫-২১, ২৫-১৭। চ্যাম্পিয়ন দলের স্ন্যাচার দেবাশিস রায় ম্যান অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন। সেরা লিবেরো নির্বাচিত হন তাঁর সতীর্থ রাহুল চট্টোপাধ্যায়। প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন অন্নপূর্ণা বয়েজ ক্লাবের সন্তু দাস। উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতার জুনিয়র বালক বিভাগে অন্নপূর্ণা বয়েজ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। রবিবার সিনিয়র বালক ও বালিকা বিভাগের চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলা দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চন্দননগরের বিধায়ক অশোক সাউ, ভদ্রেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান মনোজ উপাধ্যায়, প্রাক্তন জাতীয় ভলিবলার সুশীল বন্দ্যোপাধ্যায়, চঞ্চল বন্দ্যোপাধ্যায়, আভা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা তেলেনিপাড়া অন্নপূর্ণা বয়েজ ক্লাব।