নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের কি এই তা হলে শেষের নিশ্চিত শুরু? ভারতীয় ক্রিকেটে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী শ্রীনি-ধোনি জোট এ বার তা হলে অন্তিম স্টেশন দেখতে পাচ্ছে? সিএসকে কি এ বার আইপিএল থেকে বাদ হয়ে গেল?
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটমহল গোটা দিন ধরে এই তিনটে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে উদগ্রীব হয়ে থাকল। কোনও সন্দেহ নেই, ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসন তার ছিয়াশি বছরের ইতিহাসে সর্বকালের সবচেয়ে বড় বিপন্নতার মুখে দাঁড়িয়ে। অথচ সেই পরিস্থিতিতেও প্রধান চরিত্রের অনমনীয় মনোভাব ইঙ্গিত দিচ্ছে, বিপর্যয়ের বুঝি আরও কিছু বাকি রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সুপ্রিম কোর্ট শ্রীনিবাসনকে বলে, ভারতীয় বোর্ড থেকে নিজেকে বরখাস্ত করতে। তার বারো ঘণ্টা পরেও স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ার কোনও রকম ইঙ্গিত দেখাননি তিনি। দুপুর দুপুর একটা মন্তব্য করেছিলেন, “আদালতের কাগজপত্র হাতে না পাওয়া অবধি কিছু বলতে পারছি না।” পরে দেখা যায়, তা হাতে পেয়েও তিনি কিছু বলতে অনিচ্ছুক। বরাবরের মতো জেদি হয়ে রয়েছেন। পদ তিনি ছাড়বেন না। সে সুপ্রিম কোর্ট তো কী! রাতে আনন্দবাজার থেকে তাঁকে ফোন করা হলে মোবাইল বেজে যায়। শ্রীনি ফোন তোলেননি।
শ্রীনির নিশ্চেষ্টতার মতোই বিস্ময়কর, ভারতীয় ক্রিকেটে এত বড় বিস্ফোরণের পরেও বোর্ড সদস্যরা এ নিয়ে দিনভর ন্যূনতম তৎপরতা দেখাননি। এই সব পরিস্থিতিতে কালবিলম্ব না করে জরুরি কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ডাকা হয়। শ্রীনিকে যেখানে বিচারপতি এ কে পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বোর্ড প্রধানের পদ থেকে সরার জন্য মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা সময় দিয়েছে, সেখানে সভা ডাকাটা আরও স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু সেটা ডাকার তোড়জোড় দূরে থাক, মেম্বাররা এই নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলতেই নারাজ। সবার ভয়, বেশি প্রশ্ন-টশ্ন করলে পাছে শ্রীনি-বিরোধী হিসেবে ছাপ পড়ে যায়।
ভারতীয় ক্রিকেটে একটা সময়ে সর্বময় কর্তৃত্ব করেছেন রাজস্থানের রুংতা-রা। বহু বছর একচ্ছত্র ছিলেন জগমোহন ডালমিয়া। কিন্তু এঁদের কর্তৃত্ব এই পর্যায়ে কখনও পৌঁছয়নি, যেখানে সুপ্রিম কোর্টের এত কড়া সব মন্তব্য এবং শাস্তিমূলক সিদ্ধান্তের তীব্র আশঙ্কার মুখেও বাকি সদস্যরা আনুগত্যে অবিচল থাকছেন। উত্তরাঞ্চলের প্রভাবশালী কর্তা বললেন, “বৃহস্পতিবার আদালতে কী হয় দেখি। তার পর কথা বলব।” জগমোহন ডালমিয়া বললেন, “কথা বলার সময় আসেনি। মাস দুয়েকের মধ্যে মুখ খুলব।” কিছু কিছু বোর্ড সদস্য ফোনই ধরেননি। পাছে মুখ ফস্কে কিছু বলে ফেলেন! গোটা শ্রীনি-অধ্যায়ের মতো তাঁর সবচেয়ে বড় বিপন্নতার দিনেও ঘোষিত বিরোধী বলতে একমাত্র ভারতীয় মিডিয়া। তাঁর এমন বিপর্যয়ের দিনেও অন্তত জনা পাঁচেক বোর্ড সদস্য ব্যক্তিগত ভাবে বললেন, “ওকে যদি এখন যেতেও হয়, সেপ্টেম্বরে আবার ফিরবে। কী দরকার শহিদ হওয়ার?”
অথচ ভারতীয় খেলাধুলোর ইতিহাসে আজ পর্যন্ত কোনও ক্রীড়া সংস্থার কর্তাকে আদালতে এ রকম ধমক খেতে হয়নি, যা শ্রীনিকে এ দিন খেতে হল। আদালত বলল— আমাদের মতে, বেটিংয়ের অভিযোগ সম্পর্কে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়ার জন্য শ্রীনিবাসনের সরে দাঁড়ানো উচিত। এখনও যে বিসিসিআই প্রধান হিসেবে তিনি থেকে যাচ্ছেন সেটা একটা জঘন্য, ঘিনঘিনে ব্যাপার। ক্রিকেটকে পরিচ্ছন্ন করতে হলে ওঁকে যেতেই হবে। উনি নিজে না গেলে আমরা বাধ্য হব রায় দিতে।
বিচারপতি মুদগল যে বন্ধ খামটা সুপ্রিম কোর্টকে দিয়েছিলেন, সেটা খুলে আরও উত্তেজিত হয়ে যান বিচারপতি পট্টনায়ক। বোর্ডের আইনজীবীকে ডেকে বলেন, “এটা শুধু এক বার দেখুন। বোর্ডের থেকে টাকা পাওয়া আইনজীবী হিসেবে নয়। নিছক একজন সৎ মানুষ হিসেবে বলুন এর পরেও কি ওঁকে রেখে ক্রিকেটকে পরিষ্কার করা সম্ভব?”
আদালতের বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো। নতুন জল্পনা শুরু হয়ে যায়, বন্ধ খামের ভিতরে কী এমন রয়েছে যে বিচারপতিরা এমন অগ্নিশর্মা হয়ে গেলেন? কোন কোন প্লেয়ারের নাম আছে? নাকি প্লেয়ার ছাড়াও গড়াপেটায় জড়িত বড় কারও নাম আছে?
বাইরের পৃথিবীতে এ সব যখন ঘটছে, বোর্ড সদস্যরা তখন দ্রুতই বুঝিয়ে দেন, তাঁদের বাস অন্য জগতে। দেখিয়ে দেন, তাঁরা উদাসীন। বাকি পৃথিবী যা-ই বলুক, শ্রীনি-সহ তাঁরা ৩১ জন সে সব শুনবেন না। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে বোর্ড সদস্যরা কখনও যে টাকা আয় করেননি, শ্রীনির আমলে তাই করেন। শ্রীনির আমলে ওয়ার্কিং কমিটিতে বিশেষ আমন্ত্রিতের সংখ্যা কুড়ি গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সভায় যাঁরা আছেন তাঁরা তো বটেই, বিশেষ আমন্ত্রিত হয়ে যাঁরা আসছেন তাঁরাও এক-একজন টিএ-ডিএ পান ষাট-সত্তর হাজার টাকা। পদাধিকারীরা যে কোনও বৈঠকে দৈনিক অ্যালাওয়েন্স বা ভাতা পান চল্লিশ-পঞ্চাশ হাজার টাকা। এর সঙ্গে বিজনেস ক্লাস টিকিট। বোর্ডের উচ্চ পদাধিকারী, যেমন ভাইস প্রেসিডেন্ট, সচিব, কোষাধ্যক্ষ— এ সব হলে টাকার অঙ্ক আরও বেশি। আইপিএল প্রধান করে দেওয়া হয়েছে ওড়িশার রঞ্জীব বিসওয়ালকে। দেশে-বিদেশে আইপিএলের যে কোনও মিটিংয়ে তিনি যান ফার্স্ট ক্লাসে। অ্যালাওয়েন্স তেমনই আকাশছোঁয়া। ঝাড়খণ্ডের অমিতাভ চৌধুরির জন্য নতুন পদ হয়েছে— সিকিউরিটি ইনচার্জ। তাঁরও বিরাট অ্যালাওয়েন্স। আর হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সচিব এন শ্রীধরকে প্রায় এক কোটি টাকা মাইনেতে ক্রিকেট অপারেশনসের কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থা কুম্বলের সময় শ্রীনির সঙ্গে ছিল। এখন বিরোধী ব্রিজেশ পটেলরা এসেছেন। আসা মাত্র বিরোধীকে কাছে আনার চেষ্টায় ব্রিজেশকে ঢাকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের ম্যানেজার করে দেওয়া হয়েছে। সেখানেও প্রশাসনিক ম্যানেজারের বিশাল অ্যালাওয়েন্স। সব ক্রিকেট সংস্থার ভর্তুকি বাড়িয়ে দিয়েছেন শ্রীনি। সহজ কথায়, সবাইকেই এত দিয়ে-থুয়ে রাখা যে, এত বড় ক্রিকেট কেলেঙ্কারির দিনেও এক-দু’জন ছাড়া সবাই নির্বাক।
যাঁরা মুখ খুলেছেন তাঁরাও না খোলার মতোই। বিভিন্ন সময়ে বোর্ডের কাছে উপকৃত, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, হায়দরাবাদের শিবলাল যাদব বলেছেন, “আইন তো মেনে চলতেই হবে। আদালত যখন বলছে শুনতে হবে।” মুম্বই থেকে বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট রবি সবন্তও একই কথা বলেছেন। ক্রিকেটমহলের মত হল, এটা বলার মধ্যে আর বীরত্ব কী আছে? এ তো সবাই বলতে পারে। ক্রিকেটার চেতন চৌহান বহু দিনই প্রশাসনে। তিনি বলেছেন, “শ্রীনি এখনকার মতো আদালতের নির্দেশ মানুন। তার পর তো উনি ফিরে আসতেই পারবেন।” বকলমে সেই আনুগত্য।
শশাঙ্ক মনোহর, মুথাইয়া বা ললিত মোদী যে তীব্র শ্রীনি-বিরোধী কথা বলবেন তার মধ্যে বিস্ময়ের কিছু নেই। এঁরা ঘোষিত বিরোধী। কিন্তু সরাসরি ওই ত্রিশ সদস্যের মধ্যে নেই। যাঁরা শ্রীনির ভোটার। ভোটারদের মধ্যে এক জনও বলেননি, ‘অনেক হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটের ভাবমূর্তির অনেক ক্ষতি করেছেন। এ বার আপনি যান।’
ক্রিকেটারদের মধ্যে মুখ খুলেছেন বেদী, বেঙ্গসরকর ও মোহিন্দর। বাকি ক্রিকেটমহল নিশ্চুপ। এঁদের মধ্যে অনেকেই শ্রীনির বদান্যতায় জীবন নির্বাহ করছেন। আর বাকিরা অনেকেই ভয় পাচ্ছেন, আবার যদি ফিরে আসে!
শ্রীনির ঘনিষ্ঠ মহলের ধারণা, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে যদি আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি জানিয়েও দেন— ‘আমি সরে দাঁড়াচ্ছি’, তা হলেও তিনি আসলে সরে দাঁড়াচ্ছেন না। শিবলাল যাদবের মতো কাউকে প্রেসিডেন্ট করে দেবেন। তাঁকে শিখণ্ডী করে পিছন থেকে বোর্ড চালাবেন। তার পর সেপ্টেম্বরে আবার পূর্বাঞ্চলের কোনও রাজ্য থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার চেষ্টা করবেন। আর এখনকার মতো জুনে চলে যাবেন আইসিসিতে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর— আইসিসি প্রধান হিসেবে কাজ চালাবেন। আইসিসি সংবিধানে যদিও রয়েছে, তার পদ অলঙ্কৃত করা কেউ দুর্নীতি-বিষয়ক কোনও ধারায় অভিযুক্ত হলে আর পদে থাকতে পারেন না। শ্রীনি ও সব নৈতিক নিয়মের থোড়াই কেয়ার করেন। আর আইসিসি এ দিন ইঙ্গিতও দিয়েছে, যাবতীয় বিতর্ক সত্ত্বেও শ্রীনিকে স্বাগত জানাতে তারা প্রস্তুত।
শ্রীনির সম্ভাব্য মনোভাব কী, সে সম্পর্কে ঐকমত্য থাকলেও কেউ ভেবে পাচ্ছেন না, সিএসকে-র ভবিষ্যৎ কী হবে? আইপিএল এত কাছে না এলে তাঁদের ধারণা, শ্রীনি সিএসকে-কেও সরিয়ে নিতেন। একটা নৈতিক উঁচু শৃঙ্গে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতেন। কিন্তু এর মধ্যে সূচি হয়ে গিয়েছে। এই পর্যায়ে এসে সিএসকে বা রাজস্থান রয়্যালস বাদ দিলে কি আইপিএল হবে? নাকি হবেই না?
কেউ জানে না। আগে শ্রীনি নিজেকে দেখবেন। নিজের গদি বাঁচাবেন। তার পর না এই সব নিয়ে প্রশ্ন।
গোলার মুখে
• পড়ে দেখুন কী গুরুতর অভিযোগ।
(বোর্ডের কৌঁসুলিকে কাছে ডেকে মুখবন্ধ খামের রিপোর্ট পড়তে দিয়ে)
• আমরা কি বলতে পারি না যে, বোর্ড তার তদন্ত রিপোর্টে প্রভাব খাটিয়েছিল?
• এ সব ঘটল কারণ বোর্ডে যাঁরা ক্ষমতায়, তাঁরা কিছু করছেন না।
• বেটিংয়ের অভিযোগের যথাযথ তদন্ত হতে গেলে শ্রীনিবাসনকে সরতেই হবে।
• শ্রীনিবাসন এখনও কেন চেয়ার আঁকড়ে পড়ে আছেন? এটা খুবই ঘিনঘিনে।
• উনি সরে না গেলে আমরা বাধ্য হব রায় দিতে।
• জেনে আসুন উনি সরবেন কি না। আমরা বৃহস্পতিবার শুনব।
বিচারপতি এ কে পট্টনায়ক এবং বিচারপতি ইব্রাহিম কলিফুল্লার বেঞ্চ
নাটকের নানা দৃশ্য
২০১৩
১৬ মে: আইপিএলে জোচ্চুরি, গড়াপেটার দায়ে শ্রীসন্ত, অঙ্কিত চহ্বাণ, অজিত চান্ডিলা গ্রেফতার।
২১ মে: আইপিএল প্লে অফ বন্ধ করার পিটিশন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে।
২৪ মে: মুম্বইয়ে গ্রেফতার গুরুনাথ মইয়াপ্পন। মইয়াপ্পন সিএসকে-র মালিক বা সিইও নয়, জানাল ইন্ডিয়া সিমেন্টস।
২৬ মে: মইয়াপ্পনকে সাসপেন্ড করল ভারতীয় বোর্ড। শ্রীনিবাসনের প্রতিশ্রুতি, নিরপেক্ষ তদন্ত হবে।
৩১ মে: ভারতীয় বোর্ডে নিজের নিজের পদ থেকে ইস্তফা সঞ্জয় জাগদালে এবং অজয় শিরকের।
১ জুন: আইপিএল চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা রাজীব শুক্লর।
২ জুন: সাময়িক সরে দাঁড়ালেন শ্রীনিবাসন। বোর্ডের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া। তবে আইসিসি-তে বোর্ডের প্রতিনিধি শ্রীনি-ই।
৯ জুন: বেটিং করেছেন, স্বীকার করার পর রাজ কুন্দ্রাকে তদন্তসাপেক্ষ সাসপেন্ড করল বোর্ড।
১১ জুন: জেল থেকে ছাড়া পেলেন শ্রীসন্ত, চহ্বাণ।
২৮ জুলাই: ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের কোনও ‘অপরাধ’ খুঁজে পেল না বোর্ডের তদন্ত কমিটি।
৩০ জুলাই: বোম্বে হাইকোর্টের রায়, বোর্ডের তদন্ত কমিটি অবৈধ। পুলিশ চার্জশিটে শ্রীসন্ত-সহ তিন রাজস্থান রয়্যালস ক্রিকেটারের নাম।
৩০ অগস্ট: বিসিসিআই, শ্রীনিবাসন, ইন্ডিয়া সিমেন্টস, রাজস্থান রয়্যালসকে নোটিস জারি করল সুপ্রিম কোর্ট।
১৩ সেপ্টেম্বর: সাওয়ানি রিপোর্টে চার ক্রিকেটারকে ম্যাচ গড়াপেটায় দোষী সাব্যস্ত। শ্রীসন্ত, চহ্বাণকে আজীবন সাসপেন্ড করল বোর্ড।
২১ সেপ্টেম্বর: বেটিং চার্জশিটে মইয়াপ্পনের নাম।
৮ অক্টোবর: শ্রীনিবাসনকে বোর্ডের দায়িত্ব নিতে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি।
২০১৪
১০ ফেব্রুয়ারি: মুদগল কমিটির রিপোর্ট পেশ। বক্তব্য, গুরুনাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত। আদালতে মুখবন্ধ খাম জমা পড়ল।
৭ মার্চ: আইপিএল দুর্নীতি নিয়ে পরবর্তী শুনানির (২৫ মার্চ) দিন ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের।
১৪ মার্চ: মরুশহরে আইপিএলের প্রথম পর্ব করার সিদ্ধান্ত।
১৮ মার্চ: গড়াপেটা অভিযোগ নিয়ে সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলের বিরুদ্ধে ধোনির একশো কোটি টাকার মানহানির মামলা।
২৫ মার্চ: শ্রীনিবাসনকে সরে যেতে বলল সুপ্রিম কোর্ট।