পাকিস্তানের টিম হোটেলে ভূত! তার ধাক্কা খেয়ে জ্বরে কাঁপতে শুরু করে দিলেন ২৬ বছর বয়সি বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান হ্যারিস সোহেল। এমন জ্বর যে, দু’দিন লাগল তা ছাড়তে। বোর্ডের দেওয়া অবাঞ্ছিত চুক্তিপত্র নিয়ে এমনিতেই মেজাজ খারাপ বিশ্বকাপে খেলতে আসা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। তার উপর হোটেলে ভূতের উপদ্রব। বিশ্বকাপের আগে পাক দলে এ সব হচ্ছেটা কী!
ক্রাইস্টচার্চে টিম হোটেলে নিজের ঘরে শুয়েছিলেন সোহেল। মাঝরাতে হঠাত্ ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। কেন? সোহেলের অভিযোগ, এক ভয়াবহ ভূত নাকি তাঁকে ধাক্কা মারে। সেই ধাক্কাতেই নাকি কেঁপে ওঠেন ঘুমন্ত সোহেল। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, তুমুল চেঁচামেচি জুড়ে দেন পাক ক্রিকেটার। দলের সঙ্গে থাকা কর্তা, সাপোর্ট স্টাফ দৌড়ে আসেন অন্যান্য ঘর থেকে। ততক্ষণে ভয়ে কাঁপতে শুরু করে দিয়েছেন। তাঁর গায়ে হাত দিয়ে দেখা যায়, জ্বর এসে গিয়েছে। পরের দু’দিন দলের সঙ্গে প্র্যাকটিসও করতে পারেননি সোহেল। রবিবার পাকিস্তানের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচেও খেলতে পারেননি। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য খেললেন। পাকিস্তান এক উইকেটে জেতে।
ক্রিকেটারদের ভূতের পাল্লায় পড়ার ঘটনা অবশ্য এটাই প্রথম নয়। এর আগে এক বার ইংল্যান্ডের পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড এবং পরে আরও এক বার অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন অতিপ্রাকৃতিক ঘটনার শিকার হয়েছিলেন।
লন্ডনের ল্যাংহ্যাম হোটেলের ৩৩৩ নম্বর ঘর এমনিতেই ভূতের উপদ্রবের জন্য কুখ্যাত। গত বছর সেখানে থাকার পর ব্রড বলেছিলেন, “হঠাত্ বাথরুমের কল থেকে জল পড়তে শুরু করে। ঘরের আলো জ্বালাতে নিজে নিজেই কল বন্ধ হয়ে যায়। ফের আলো নেভাতে জল পড়া শুরু হয়ে যায়। ফের জ্বালাতে আবার বন্ধ হয়ে যায়।” ওয়াটসন তো ভূতের তাড়া খেয়ে ভুল করে ব্রেট লির ঘরেই ঢুকে পড়েছিলেন ২০০৫-এ তাদের ইংল্যান্ড সফরের সময়। টিম বাসের ড্রাইভার নাকি ভূতের গল্প শুনিয়েছিলেন তাঁকে। বাস থেকে নেমে ওয়াটসনের মনে হয়েছিল কে যেন তাঁর পিছনে রয়েছে। ওখানকার ভৌতিক পরিবেশে ভয় পেয়ে যান বলে পরে দাবি করেন ওয়াটসন।