জেসি-তে ইস্টবেঙ্গলের জয়ের দুই নায়ক ঋতম ও সৌরভ। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
চব্বিশ ঘণ্টা আগেই ইস্টবেঙ্গল কোচ প্রণব নন্দী বলেছিলেন, টি-টেয়েন্টিতে কাগজে-কলমে শক্তিশালী বলে কিছু হয় না। যার দিন, সেই জেতে। ইস্টবেঙ্গল কোচের কথাটা যে একেবারে ঠিক তার প্রমাণ পর দিনই পাওয়া গেল ইডেনে।
না হলে লক্ষ্মীরতন শুক্ল, বীরপ্রতাপ সিংহ, ইরেস সাক্সেনা, সঞ্জীব সান্যালদের তারকাখচিত মোহনবাগানের দাপটের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল শুধু টিম স্পিরিট দিয়ে ম্যাচ বার করে নিতে পারে?
জে সি মুখোপাধ্যায় ট্রফির সেমিফাইনালে মরসুমের প্রথম ক্রিকেট ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গল জিতল ১২ রানে। ইস্টবেঙ্গল কোচ বললেন, “এটা আমাদের টিম স্পিরিটের জয় ছাড়া আর কিছুই না।”
ঋতম পোড়েল (৫৪ বলে ৮৭ ন.আ), বিদ্যুত্ অধিকারীদের (২৮ বলে ৪০) দাপটে ১৯৬-৩ তোলে ইস্টবেঙ্গল। এত রান আশা করেনি ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের পর ঋতম নিজেই স্বীকার করে নেন সে কথা। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে তিন ওভারে ৪৩ তুলে ফেলেছিল মোহনবাগান। কিন্তু শুভময় দাসের রান আউটের পরই ছবিটা পাল্টাতে শুরু করে। চুম্বকে মোহনবাগানের হারের আরও দুটো কারণ উঠে আসছে।
এক, পাওয়ার প্লে-তে পঞ্চম ওভারে পেসার রবিকান্ত সিংহকে অরিন্দম দাসের মেডেন দেওয়া। দুই, ডেথ ওভারে আর এক পেসার সৌরভ মণ্ডলের ঘাতক স্পেল। দেবব্রত দাসকে (১৭ বলে ২৯) ফেরানোর পরের ওভারেই লক্ষ্মী (১৬ বলে ২৭) আর ক্যাপ্টেন সঞ্জীব সান্যালও তাঁর শিকার। মোহনবাগান ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড এতেই ভেঙে যায়।
মোহনবাগান অধিনায়ক সঞ্জীবের ব্যাখ্যা, “বোলিং ভাল হয়নি। টি-টোয়েন্টিতে ১৯৭ তাড়া করা কঠিন। তার উপর দলের ছ’টা প্লেয়ার ভিশন ২০২০-র সেশন করে তার পর ম্যাচ খেলতে নেমেছে। ওদের দোষ দেওয়া যায় না।” ময়দানে গুজব রটে ম্যাচের পর তাঁদের ড্রেসিংরুমে প্রায় দু’ঘন্টা ধরে হার নিয়ে তকবিতর্কে সঞ্জীব নাকি নেতৃত্ব ছাড়তে চান। রাতে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ম্যাচের পর এই প্রসঙ্গই ওঠেনি।” শুক্রবার ইডেনে ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের সামনে মনোজ, দিন্দার কালীঘাট। যারা এ দিন ছ’উইকেটে হারাল টাউনকে। টাউনের ১০২-৮ এর জবাবে কালীঘাট ১৭.২ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ৩১ বলে ৩৮ আর মনোজ তিওয়ারি ১৪ বলে ২০ করেন।