আদালতে অভিযুক্ত বায়ার্ন প্রেসিডেন্ট উলি হোয়েনেস। ছবি: এএফপি।
বিশ্বসেরা হওয়ার দিকে এগোনোর মধ্যেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বায়ার্ন মিউনিখকে। আলিয়াঞ্জ এরিনায় মঙ্গলবার আর্সেনাল ম্যাচে বায়ার্নের কিছু সমর্থক ওজিল আর ‘গানার্স’দের লক্ষ করে আপত্তিকর ব্যানার দেখানোয় শাস্তির মুখে পড়তে পারে জার্মান ক্লাব। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উয়েফা। ইংরেজ মিডিয়ার মতে, এর জন্য উয়েফা ৫০ হাজার পাউন্ড জরিমানা করতে পারে জার্মান ক্লাবকে। এর মধ্যে আবার বায়ার্নের প্রেসিডেন্ট উলি হোয়েনেস কর ফাঁকি দেওয়ার কথা স্বীকার করে নতুন করে বিতর্ক বাধিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ৩.৫ মিলিয়ন ইউরো কর ফাঁকির অভিযোগ আগেই ছিল। জার্মান মিডিয়া জানাচ্ছে আরও ১৫ মিলিয়ন ইউরো ফাঁকি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। যা নিয়ে অস্বস্তিতে বায়ার্ন।
দুরন্ত ছন্দে থাকা টিমের পারফরম্যান্সে মাঠের বাইরের এই বিতর্ক ছাপ ফেলতে পারে বলে ইতিমধ্যেই আশঙ্কায় বায়ার্ন সমর্থকরা। কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা শেষ পর্যন্ত টিমের খেলায় খুশি। ঘরোয়া লিগে গত ম্যাচে ৬-১ জিতেও টিমের দাপট ধরে রাখতে না পারা নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। এ দিন অবশ্য কোয়ার্টার ফাইনালে টিমকে তোলার পর তিনি বলে দেন, “প্রথম পর্বে ২-০ এগিয়ে থাকাটা বড় সুবিধা। আর্সেনাল প্রতিআক্রমণকেই হাতিয়ার করে নেমেছিল। তাই আমরা ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিলাম যাতে ওরা প্রতিআক্রমণের কোনও সুযোগ না পায়। প্রথমার্ধে আর্সেনাল কোনও সুযোগ পায়নি। ওখানেই ম্যাচটা শেষ হয়ে যায়। টিমের খেলায় দারুণ খুশি।”
আলিয়াঞ্জ এরিনায় মঙ্গলবার বায়ার্ন-আর্সেনাল ম্যাচ ১-১ শেষ হওয়ায় পরপর দু’বছর একই টিমের বিরুদ্ধে শেষ ষোলো থেকে ছিটকে যাওয়ায় প্রবল হতাশ আর্সেনাল। ব্যর্থতার জন্য ইংরেজ মিডিয়ার তোপের মুখে মেসুট ওজিল। ম্যাচের পর আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার আবার জানান, ওজিলের হ্যামস্ট্রিংয়ে গুরুতর চোট রয়েছে। প্রিমিয়ার লিগে খেতাব দখলের আসন্ন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোয় জার্মান ‘প্লেমেকার’ অনিশ্চিত।
ওয়েঙ্গার অবশ্য মনে করেন তাঁরা যথেষ্ট লড়াই করেছেন। “স্পিরিটের দিক থেকে আমরা শেষ পর্যন্ত সর্বস্ব দিয়েছি। আমার মনে হয় গত বার আমাদের টিম আরও ভাল ছিল। বায়ার্নের ডিফেন্সেও ফাঁক ছিল। কিন্তু আমরা সেই সুযোগটা নিতে পারিনি। হঠাৎ করে চাপেও পড়ে যাচ্ছে ওরা। কিন্তু আমাদের আক্ষেপটা যাচ্ছে না,” বলেন তিনি।
প্রথম পর্বে ০-২ হারের ম্যাচে ওজিলের পেনাল্টি ফস্কানোর পরও সমর্থকরা ভরসা হারাননি ওজিলের উপর। ওয়েঙ্গারও তো বলেছিলেন, বদলা নিতে তৈরি ওজিল। কিন্তু সে রকম কিছু হল কোথায়! আলিয়াঞ্জ এরিনায় প্রথমার্ধের শেষে প্রায় খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়েন তিনি। বিরতিতেই আর্সেনাল আর বায়ার্ন মিউনিখের চিকিৎসকরা ওজিলের চোট পরীক্ষা করেন। ওয়েঙ্গার পরে বলেন, “ওর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটটা গুরুতর বলেই মনে হচ্ছে। টটেনহ্যাম ম্যাচে ওকে পাওয়া যাবে না নিশ্চিত। স্ক্যান করে দেখতে হবে চোটটা কতটা গভীর। তবে কয়েক সপ্তাহের জন্য ওজিল যে মাঠের বাইরে চলে গেল তাতে সন্দেহ নেই।”
শেষ আটে আটলেটিকো
দিয়োগো কোস্তার জোড়া গোলে ১৭ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল আটলেটিকো মাদ্রিদ। মাদ্রিদে শেষ ষোলোয় দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে আটলেটিকো ৪-১ (দু’পর্ব মিলিয়ে ৫-১) হারায় এসি মিলানকে। প্রথম পর্বে ঘরের মাঠে দিয়োগো কোস্তার গোলে ০-১ পিছিয়ে ছিল ইতালির ক্লাব। প্রথমার্ধে কোস্তার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর মিলানকে সমতায় ফেরান কাকা। তুরান স্প্যানিশ ক্লাবকে এগিয়ে (২-১) দেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে মিলানের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন রাউল গার্সিয়া আর কোস্তা।