কোচ ও ক্যাপ্টেন। প্র্যাকটিসে যুগলবন্দি। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
রঞ্জিতে দেখা যায়নি।
বিজয় হাজারে-তে ভেবেছিলেন। কিন্তু টিমের স্বার্থে সম্ভব হয়নি।
শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং অর্ডারে উঠে আসছেন বাংলা অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্ল। বরাবরের মতো সাত নম্বর নয়, জাতীয় টি-টোয়েন্টিতে (সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি) চার নম্বরে উঠে আসছেন তিনি। আজ, মঙ্গলবার ইডেনে টুর্নামেন্টের আঞ্চলিক পর্বের প্রথম ম্যাচে অসমের বিরুদ্ধে চার নম্বরে নামছেন লক্ষ্মী।
“টি-টোয়েন্টিটা যেহেতু আলাদা ফর্ম্যাট, তাই এ রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,” সোমবার প্র্যাকটিসের পর বলে দিলেন বাংলা অধিনায়ক। যা খবর, তাতে বাংলার হয়ে নতুন ওপেনিং জুটিকে দেখা যাবে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির প্রথম ম্যাচে। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ও বিবেক সিংহ ওপেন করবেন। তিন থেকে পাঁচেমনোজ, লক্ষ্মী ও ঋদ্ধিমান সাহা। বোলিংয়ে চার পেসারে যেতে পারে বাংলা। অশোক দিন্দা, বীরপ্রতাপ সিংহ, অধিনায়ক নিজে এবং অভিজ্ঞ সঞ্জীব স্যানালকে টিমে রাখা হয়েছে। স্পিনারদের মধ্যে খেলিয়ে দেওয়া হতে পারে অনূর্ধ্ব উনিশ ভারতের স্পিনার আমির গনিকে। তাঁর নামার সম্ভাবনা প্রবল।
এবং পিচ নিয়েও চিরাচরিত ফর্মুলা মেনেই এগোচ্ছে বাংলা। রঞ্জি, বিজয় হাজারের মতো জাতীয় টি-টোয়েন্টিতেও সবুজ উইকেটের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ইডেনে এ দিন বাংলা প্র্যাকটিসে সেটা দেখাও গেল। বাংলা অধিনায়ক বলছিলেন, “টুর্নামেন্টটা যদি আমাদের জিততে হয়, তা হলে রঞ্জি বা বিজয় হাজারের চেয়ে বেশি ভাল খেলতে হবে।” চলতি ক্রিকেট-মরসুম এখনও পর্যন্ত ভালই গিয়েছে বাংলার। রঞ্জি, বিজয় হাজারে দু’টো টুর্নামেন্টেরই সেমিফাইনালে খেলেছে লক্ষ্মীরতন শুক্ল-র টিম। এ বার সেমিফাইনালের গাঁট কাটিয়ে ওঠা যাবে? লক্ষ্মী বললেন, “আমাদের দলে ঋদ্ধিমান, দিন্দার মতো ক্রিকেটাররা আছে। সঞ্জীব ফিরেছে। ভাল ক্রিকেটার। অভিজ্ঞতাও আছে। এখন নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী খেলতে পারলে, ভাল না করার কোনও কারণ নেই।”
যাঁদের বেশ সমীহ করছে অসম। টিমের অধিনায়ক গোকুল শর্মা বলে গেলেন, “ওদের দিন্দা, লক্ষ্মীর মতো ক্রিকেটার আছে। ওরা টিম কেমন এর পর বলে দেওয়ার দরকার নেই।” এবং বাংলার ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-দের জবাবি অস্ত্র টিম অসমের কি?
একজনকেই পাওয়া যাচ্ছেপেসার আবু নাচিম।