গম্ভীরকে আগেই বলেছিলাম আমাকে দিয়ে ওপেন করাও

মিডল অর্ডারে সে ভাবে রান পাননি। কিন্তু ওপেন করার পর থেকেই সফল। ওপেনার হিসেবে তিনটে ইনিংসে এসেছে ৪৭, ৬৫, ৪৭। অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে পর পর দুটো সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ। যা আইপিএলের ইতিহাসে আগে হয়নি। দিল্লি জয়ের পরের দিন আনন্দবাজারে একান্ত সাক্ষাৎকারে রবিন উথাপ্পা যা বললেন....

Advertisement

চেতন নারুলা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৪ ০৩:২৯
Share:

সফল জুটি। গম্ভীর-উথাপ্পা।

মিডল অর্ডারে সে ভাবে রান পাননি। কিন্তু ওপেন করার পর থেকেই সফল। ওপেনার হিসেবে তিনটে ইনিংসে এসেছে ৪৭, ৬৫, ৪৭। অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে পর পর দুটো সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ। যা আইপিএলের ইতিহাসে আগে হয়নি। দিল্লি জয়ের পরের দিন আনন্দবাজারে একান্ত সাক্ষাৎকারে রবিন উথাপ্পা যা বললেন....

Advertisement

প্রশ্ন: পর পর চারটে হারের পর অবশেষে জয়। কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে?

Advertisement

উথাপ্পা: কোথায় যেন একটু তাল কেটে যাচ্ছিল। ক্লোজ ম্যাচগুলো জিততে পারছিলাম না। কিন্তু একটা জয় আবার আমাদের ঠিক রাস্তায় ফিরিয়ে এনেছে। দিল্লির বিরুদ্ধে ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল। আশা করি এর পরেও থাকবে।

প্র: দেশে ফিরে আসার পরে কী কী বদল হয়েছে? স্ট্র্যাটেজিতেই বা কী বদল এনেছেন?

উথাপ্পা: আমাদের দলে এত সব ভাল ক্রিকেটার আছে...একবার করে হারলে মনে হত, কোথায় গণ্ডগোলটা হচ্ছে। আমাদের ব্যাটিং এখন ছন্দে ফিরছে। ফিল্ডিংটা অসাধারণ হচ্ছে। গ্রুপের মধ্যে একটা দারুণ এনার্জি কাজ করছে। ক্লোজ ম্যাচে কয়েকটা ওভার ছাড়া বোলিংটাও ভাল হচ্ছে। মাঝে মাঝে আমাদের একটু তাল কেটে গিয়েছিল কয়েকটা ম্যাচে। সেটা ঠিক করতে হবে।

প্র: ওপেনারের ভূমিকা আপনি কতটা উপভোগ করছেন?

উথাপ্পা: দারুণ লাগছে। আমি ওপেনার হিসাবেই সবচেয়ে স্বচ্ছন্দ। সারা বছর তো ওপেনই করি। আমি গৌতম (গম্ভীর) এবং সাপোর্ট স্টাফকেও একই কথা বলেছিলাম। ওদের সঙ্গে এই নিয়ে একপ্রস্থ কথাও হয়েছিল। আমার খুব ভাল লেগেছে যে ওরা আমাকে একটা সুযোগ দিয়েছিল আর আমি সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে পেরেছি।

প্র: আপনি কী ভাবে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাট করাটা সামলান?

উথাপ্পা: অবশ্যই এটা একটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু টি-টোয়েন্টি খেলতে নামলে আপনাকে অনেক নমনীয় হতে হয়। নিজের ব্যাটিংকে পরিস্থিতি অনুযায়ী বদলাতে হয়। যে পজিশনেই আপনাকে নামানো হোক না কেন, চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে। তবে আমি সাপোর্ট স্টাফকে বলেছিলাম, ওপেন করলে আমি আরও ভাল কিছু করতে পারব টিমের জন্য। আমি খুশি যে টিম ম্যানেজমেন্ট আমার উপর আস্থা রেখেছিল আর আমি সে আস্থার মর্যাদা দিতে পেরেছি।

প্র: আর উইকেটকিপিংটা? বিশেষ করে সুনীল নারিনের বিরুদ্ধে?

উথাপ্পা: প্রথম ম্যাচে তো আমি বুঝতেই পারছিলাম না কী করব। তারপর নেটে আমি ওর বোলিং মন দিয়ে দেখেছি। এখন বুঝতে পারি কোন বলটা কোন দিকে যাবে। ফলে যত ম্যাচ এগোচ্ছে কাজটা সহজ হচ্ছে। তবে এটা বলব, কিপিং আমার প্লাস পয়েন্ট নয়। আমি কিপিং থেকে ফিল্ডিংটা ভাল করি। কিন্তু টিমের প্রয়োজনে যখন যা দরকার করব।

প্র: ইডেনে কেকেআরের চারটে ম্যাচ (তখনও জানা যায়নি মুম্বই ম্যাচ কটকে চলে যাচ্ছে)। টিমের পক্ষে কতটা গুরুত্বপূর্ণ হবে ব্যাপারটা?

উথাপ্পা: আমি আত্মবিশ্বাসী যে ধারাবাহিক জয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে পারব। আর ইডেনে কেকেআর বরাবরই ভাল খেলে। প্লেয়াররা ভালই মানিয়ে নিয়েছে ইডেনের সঙ্গে। টুর্নামেন্টের শেষ দিকটা আমাদের ভালই কাটবে বলে আমি নিশ্চিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement