একান্ত সাক্ষাৎকারে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সোনোয়াল

‘খেলার মাঠে রাজনীতির রং ও দলবাজিকে প্রশ্রয় দেব না’

এক দিকে সফল পাওয়ার লিফটার। অন্য দিকে ক্রিকেটার। ছাত্র নেতা থেকে আজ কেন্দ্রের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ বিভাগের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী। সর্বানন্দ সোনোয়াল। একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন ‘আনন্দবাজার’-কে।

Advertisement

শম্ভু মজুমদার ও রাজীবাক্ষ রক্ষিত

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৪ ০৩:১৬
Share:

ছবি: রাজীবাক্ষ রক্ষিত।

এক দিকে সফল পাওয়ার লিফটার। অন্য দিকে ক্রিকেটার। ছাত্র নেতা থেকে আজ কেন্দ্রের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ বিভাগের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী। সর্বানন্দ সোনোয়াল। একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন ‘আনন্দবাজার’-কে।

Advertisement

প্রশ্ন: ক্রীড়া বিভাগের দায়িত্ব পাওয়ার পর আপনার মোবাইলে নামী খেলোয়াড়দের ফোন বা এসএমএস এসেছে?

Advertisement

সোনোয়াল: পশ্চিমবঙ্গের সাংসদ ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, ধ্যানচাঁদের পুত্র অশোক কুমার আর কলকাতা ময়দানের প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ফুটবলার দেবাশিস রায় ছাড়া আর কারও মেসেজ বা ফোন পাইনি।

প্র: দুঁদে রাজনৈতিক নেতা, হিন্দুত্ববাদী থেকে ক্রীড়ামন্ত্রী। ‘কমফোর্ট জোন’ থেকে বেরিয়ে এসে সমস্যা হবে না?

সোনোয়াল: রাজনীতি তো পরের কথা, প্রথমে আমি মনেপ্রাণে ক্রীড়াবিদ। কানৈ কলেজ, ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ভারোত্তোলন, কুস্তি করতাম। চুটিয়ে ক্রিকেটও খেলেছি। গত বার সাংসদ থাকার সময়, সংসদীয় ক্রিকেট দলের প্রতিনিধি হয়ে চেতন চৌহানের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডে গিয়েছি। সেই দলে সিধু, কীর্তি আজাদের মতো খেলোয়াড়রা ছিলেন। খেলা আমার রক্তে।

প্র: ভাইচুং ভুটিয়া উত্তর-পূর্বে অ্যাকাডেমি খোলার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছেন। আপনার সাহায্য তিনি পাবেন?

সোনোয়াল: সবে দায়িত্ব পেলাম। উত্তর-পূর্বের ফুটবল বিকাশে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। অদূর ভবিষ্যতে আগ্রহী খ্যাতনামা ফুটবলারদের নিয়ে উত্তর-পূর্বে কিছু একটা করার কথা ভাবছি।

প্র: এশিয়ান গেমস ২০১৮ ভিয়েতনামে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা সম্প্রতি পিছিয়ে এসেছে। জুলাইয়ে সেই গেমসের বিডিং। ভারত কি বিড করবে?

সোনোয়াল: এশিয়ান গেমস বিশাল ব্যাপার। সেই ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করে এগোতে হবে।

প্র: ভারত মানেই সব ক্রিকেট-কেন্দ্রিক। বাকি সব খেলা অবহেলিত। আপনিও কি ক্রিকেটে বেশি নজর দেবেন?

সোনোয়াল: মোটেই না। সব খেলায় সমান গুরুত্ব দেব। ৫২ টি ফেডারেশন রয়েছে দেশে। যদি সামগ্রিক ভাবে উন্নতি করতে হয়, সব খেলায় সমান নজর দিতে হবে।

প্র: এআইএফএফ, বিসিসিআই, আইওএ-র মতো বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থাকে তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় আনবেন?

সোনোয়াল: আমার মনে হয়, দেশবাসীর জানার অধিকারকে সম্মান দেওয়া উচিত। এতে ভুল কোথায়? গণতন্ত্রে, সংবিধানে এটা তো মানুষের অধিকার।

প্র: বহু ক্রীড়া সংস্থায় কোনও নির্বাচন বা বদল হয় না। সেখানে বহু প্রবীণ কর্তা, সুদীর্ঘকাল পদ আঁকড়ে রয়েছেন। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কাউন্সিলেরও এতে আপত্তি রয়েছে। এই সিস্টেমে বদল আনতে চান?

সোনোয়াল: অবশ্যই। আমি মনে করি, ক্রীড়া ক্ষেত্রে যে কোনও সংগঠন বা কমিটিতে যোগ্য মানুষদেরই ঠাঁই হওয়া উচিত। তা তিনি কর্মকর্তাই হোন বা কোচ। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক রং, পক্ষপাতিত্ব, দলবাজি বা অন্য কোনও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিতে চাই না। ক্রীড়া সংগঠনের ক্ষেত্রে ক্যানভাসিং, স্বজনপোষণ চলবে না।

প্র: ২০১৭-র যুব বিশ্বকাপ ফুটবল ভারতে হবে। কিন্তু এ রকম এক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য এখানকার পরিকাঠামো পর্যাপ্ত নয়।

সোনোয়াল: অবিলম্বে পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে। অভিযোগের সুযোগ কেন দেব? কেবল আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় তৈরি করলেই চলবে না, সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম ও অন্যান্য পরিকাঠামোও গড়ে তুলতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement