রিয়ালের জার্সিতে এনজো। ছবি: এএফপি।
প্যারিস সাঁ জাঁর বিরুদ্ধে রিয়াল মাদ্রিদের খেলা। গ্যালারিতে উৎকন্ঠায় জিনেদিন জিদান। রিয়াল মাদ্রিদের সহকারি কোচের পক্ষে দৃশ্যটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু এই জিদান সহকারি কোচ নন গ্যালারিতে হাজির ছিলেন বাবা হিসেবে। রিয়াল টিমে তাঁর ছেলে এনজো ফার্নান্ডেজ আছেন যে।
উয়েফা যুব লিগের খেলায় ঘণ্টাখানেক পর নামেন ১৮ বছর বয়সি এনজো। দ্বিতীয়ার্ধের কিছুক্ষণ পরই আবার ১০ জনে হয়ে গিয়েছিল রিয়াল। শেষ পর্যন্ত জিদানের ছেলের টিম হাড্ডাহাড্ডি লড়ে জেতে ১-০। তবে তিনি গোল পাননি।
জুভেন্তাসে কেরিয়ার শুরু করার চার বছর পরই রিয়ালে যোগ দেন এনজো। ২০০৪-এ যেখানে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ডে সই করেছিলেন তাঁর বাবা। ফ্রান্সে জন্ম হলেও স্পেনে ছোটবেলার চলে যাওয়ায় দু’দেশেরই নাগরিকত্ব রয়েছে এনজোর। এমনকী স্পেনের অনূর্ধ্ব-১৫ টিমেও ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু গত মাসের শেষের দিকে এনজো জানিয়ে দেন তিনি স্পেন নয় ফ্রান্সের হয়েই খেলতে চান। যা শুনে জিদান বলেছিলেন, “ছেলে যে দেশের হয়েই প্রতিনিধিত্ব করার সিদ্ধান্ত নিক সে ব্যাপারে আমি কোনও চাপে নেই।” তবে ফ্রান্স আর রিয়াল মাদ্রিদের জন্য ভাল খবর শুধু এনজো জিদানই নন, আরও তিন জিদান খেলছেন বের্নেবাউয়ের বিভিন্ন যুব দলে ১৫ বছরের লুকা, ১১ বছরের থিও আর ৮ বছরের এলিয়াজ। তারাও বাবার মতো মাঠ কাঁপাতে তৈরি হচ্ছে।