ইপিএল-লা লিগা জ্বরের মধ্যেই মুম্বইয়ে অভিনব ফুটবল ক্লাব

মুম্বইয়ের লোয়ার প্যারেল গেলে দেখা যাবে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের একটা ক্যাফে। বায়ার্ন মিউনিখ থেকে শুরু করে আর্সেনাল। চেলসি থেকে বার্সেলোনা। প্রায় প্রতিটা ক্লাবের ফ্যান ক্লাব আছে মুম্বইয়ে। তবে আইএসএল এলেই তো রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনা মহাযুদ্ধ দূরে রেখে সবাই একজোট হয়। ইউরোপীয় ক্লাবের মোহ ভুলে তখন কেউ কলকাতার জন্য গলা ফাটান আবার কেউ কেরলের জন্য। কেউ বা পুণের উপর বাজি রাখেন।

Advertisement

সোহম দে

মুম্বই শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৫ ২০:০৩
Share:

ইপিএলের মতো এ দেশেও ফুটবলের উন্মদনা বাড়াতে হাজির ফ্যান ক্লাব।

মুম্বইয়ের লোয়ার প্যারেল গেলে দেখা যাবে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের একটা ক্যাফে। বায়ার্ন মিউনিখ থেকে শুরু করে আর্সেনাল। চেলসি থেকে বার্সেলোনা। প্রায় প্রতিটা ক্লাবের ফ্যান ক্লাব আছে মুম্বইয়ে। তবে আইএসএল এলেই তো রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনা মহাযুদ্ধ দূরে রেখে সবাই একজোট হয়। ইউরোপীয় ক্লাবের মোহ ভুলে তখন কেউ কলকাতার জন্য গলা ফাটান আবার কেউ কেরলের জন্য। কেউ বা পুণের উপর বাজি রাখেন। এ রকম এক ফ্যান ক্লাবের নাম মুম্বই সাপোর্টার্স ক্লাব। যারা ইপিএল, লা লিগায় আক্রান্ত শহরেও চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় ফুটবলের উন্মাদনা বাঁচিয়ে রাখার।

Advertisement

গত বার ছিল ৩৬০। এ বার সিজন টিকিট সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫০০। এ ছাড়াও আরও অনেকে যুক্ত রয়েছেন। মুম্বই ফ্যান ক্লাবের এক সদস্য অনুজ পালায়ে বললেন, ‘‘ভারতে ইপিএল বা লা লিগা নিয়ে যা উন্মাদনা সেটা এখানকার ফুটবল নিয়ে নেই। আমাদের লক্ষ্য সেটা কিছুটা হলেও বদলানো।’’ প্রতিটা ফ্যান ক্লাবের মতোই মুম্বই ফ্যান ক্লাবেরও নিজস্ব গ্যালারি স্ট্যান্ড আছে। যেখানে নিত্যনতুন ব্যানারও দেখা যায়। এই মরসুমে অবশ্যই সবথেকে বড় হিট, ‘‘ছেত্রী ইজ ক্লাস’’ বলে ব্যানারটা। মুম্বইয়ের নতুন নায়ক সুনীলের জন্যই বিশেষ করে বানানো। অনুজ বললেন, ‘‘ফুটবলাররা যেমন আমাদের জিতিয়ে আনন্দ দেয়। আমাদেরও দায়িত্ব তাঁদের কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার। আশা করি, ওরা এই ব্যানারগুলো দেখে আরও উত্সাহ বাড়বে ফুটবলারদের।’’

গত বার প্রায় প্রতিটা অ্যাওয়ে ম্যাচে স্ক্রিনিং আয়োজন করেছিল মুম্বই ফ্যান ক্লাব। ক্লাবের যে যে ফুটবলারের চোট থাকত তাঁরা আসতেনও দেখতে। এ বার সেটা করা সম্ভব হয়নি। কারণটা পরিষ্কার। অনুজ বললেন, ‘‘খুব বেশি লোক হয় না। সবাই ইপিএল বা লা লিগার ম্যাচ দেখতে ব্যস্ত থাকে, তাই আমরা এ বছর কোনও ম্যাচের স্ক্রিনিং করছি না।’’ মুম্বই ফ্যান ক্লাব সিজন টিকিটেরও ব্যবস্থা করেছিল। যা ভারতীয় ফুটবলে খুব কম শোনা যায়। সিজন টিকিট অর্থাত্ গোটা মরসুমের জন্য একটাই টিকিট। আলাদা করে প্রতিটা ঘরের মাঠের ম্যাচের আগে কিছু কাটতে হবে না। ‘‘আমরা নতুন নতুন জিনিস করার চেষ্টা করেছি। জানি না কতটা সফল হয়েছি। কিন্তু ভারতীয় ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর সব রকমের চেষ্টা করে যাব।’’

Advertisement

সবশেষে ক্লাবকেও ধন্যবাদ দিতে চাইছেন অনুজ। ‘‘আমাদের সব সময় সাহায্য করে মুম্বই সিটি। অ্যাওয়ে ম্যাচে জার্সি দেওয়া, ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া— সব কিছুই করে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement