আরসিজিসি-তে অর্জুন। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র
পুরো তেরো বছর পর ঘরে ফেরা।
এক যুগের ব্যবধানে নিজের শহরে খেলতে নামাকে এ ভাবেই দেখছেন তিনি। বুধবার রয়্যাল ক্যালকাটা গল্ফ কোর্সের সবুজ ঘাসে দাঁড়িয়ে বেশ আপ্লুত কণ্ঠস্বর। অর্জুন অটওয়াল বলে দিলেন, “অসাধারণ লাগছে। পুরো তেরো বছর পর হোম কোর্সে নামব। পরিবারের সবাই আর বন্ধুরা আসবে সমর্থন করতে। সব মিলিয়ে বছরের শেষ সপ্তাহটা আমার জন্য একদম স্পেশ্যাল হতে চলেছে!”
লম্বা সময় পর বৃহস্পতিবার আবার নামবেন পিজিটিআই-এর বর্ষশেষের টুর্নামেন্টে। ম্যাকলিয়ড রাসেল ট্যুর চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর আগের দিন আরসিজিসি-র পান্না-সবুজ কোর্সে গা ঘামাতে নেমে বাকিদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত অর্জুন বলছিলেন, “আমরা যখন খেলতাম, পিজিটিআই-এ এত পেশাদারিত্ব ছিল না। এত জন ফিট গল্ফারও ছিল না। নতুনদের দারুণ লাগল। এরা তো এক এক মাইল লম্বা হিট করছে!” ভারতীয় গল্ফের তরুণ তুর্কিদের সে ভাবে চেনেন না। তবে আলাপ জমিয়ে নিতে চান আগামী চার দিনে। ব্যক্তিগত লক্ষ্য, পিজিএ ট্যুরের পুরো কার্ড ফিরে পাওয়া। গত সপ্তাহে দুবাইয়ে জেতার পর এ বার উপস্থিতি টের পাওয়াতে চান এশীয় ট্যুরেও। বললেন, “দুবাইয়ে অভিজ্ঞতাটা কাজে দেয়। যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী খেলি। এখানেও ভাল করাটাই লক্ষ্য।”
গতবারের চ্যাম্পিয়ন অনির্বাণ লাহিড়ী এ বার না থাকায়, আরসিজিসি-র অন্যতম আকর্ষণ অর্জুন। বড় নামেদের মধ্যে দুই ঘরের ছেলে শিবশঙ্কর প্রসাদ চৌরাসিয়া আর রাহিল গাঙ্গজির পাশে লড়াইয়ে কব্জির চোট সারিয়ে সদ্য ফেরা গগনজিত্ ভুল্লারও। এ দিকে, আরসিজিসি-তে মঙ্গল এবং বুধবারের প্রো-অ্যাম প্রতিযোগিতায় নিজের নিজের দলকে চ্যাম্পিয়ন করলেন পুণের মইনুদ্দিন মালাক এবং দিল্লির বিনোদ কুমার। প্রতিযোগিতায় ছিলেন মোট ২৮২ জন অপেশাদার গল্ফার।