তরুণ প্রতিভাদের জন্য অঁরির টোটকা

আমার ছেলে থাকলে বলতাম মুলার-রিবেরিকে দেখে শেখো

তাঁরা একটা গোল করলে বা কোনও নতুন স্কিল দেখালেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ওঠে ঝড়। তাঁদের হেয়ারস্টাইল অথবা নতুন ট্যাটু হয়ে ওঠে ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। তরুণ ফুটবলারদের প্রশ্ন করা হলে একটাই উত্তর আসে-- এই দু’জনের জন্যই ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। এই দুই অর্থাৎ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং লিওনেল মেসি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৪ ০৩:৩৮
Share:

তাঁরা একটা গোল করলে বা কোনও নতুন স্কিল দেখালেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ওঠে ঝড়। তাঁদের হেয়ারস্টাইল অথবা নতুন ট্যাটু হয়ে ওঠে ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। তরুণ ফুটবলারদের প্রশ্ন করা হলে একটাই উত্তর আসে-- এই দু’জনের জন্যই ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। এই দুই অর্থাৎ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং লিওনেল মেসি।

Advertisement

এবং এখানেই আপত্তি থিয়েরি অঁরির। ফ্রান্সের প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পরিষ্কার বলে দিচ্ছেন, রোনাল্ডো বা মেসি নয়, কাউকে দেখে যদি ফুটবলার হতে চাও তবে বেছে নাও টমাস মুলার, ফ্রাঙ্ক রিবেরিকে।

আর্সেনালের কিংবদন্তি ফুটবলার অঁরি বলে দিচ্ছেন, “নতুন প্রজন্মকে আমার পরামর্শ যে তোমরা মেসি বা রোনাল্ডোকে অনুকরণ কোরো না। ওরা প্রকৃতির অদ্ভূত একটা সৃষ্টি। ওরা যা করে তা অনুসরণ করা সম্ভব নয়। তাই ওদের কেউ টুকতে পারবে না।” এরপর একটু ঘুরিয়েই অঁরি ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও মুলার যথাযথ প্রচার পান না। “মুলার খুব ভাল ফুটবলার। কমপ্লিট প্লেয়ার। সব কিছুই করতে পারে,” বলেন অঁরি। এর পর তাঁর মন্তব্য, “ফুটবল মানে স্টেপওভার বা পায়ের কাজ দেখানো নয়। ফুটবল মানে যা টমাস মুলার বা ফ্রাঙ্ক রিবেরি এখন করছে। আমার নিজের ছেলে থাকলে তাকে বলতাম, তুমি মুলার বা রিবেরির মতো ফুটবলার হও।” অঁরি আরও বলছেন, “মুলার যা করেছে বিশ্বকাপে, সেটা নিয়ে কেউ কোনও কথা বলে না। কিন্তু সবার প্রশংসা করা উচিত ওকে। ও সঠিক পদ্ধতিতে ফুটবলটা খেলে। ও রক্ষণ সামলায়। আক্রমণে যোগ দেয়। যখন দরকার বল বাড়িয়ে গোল করায়। আবার যখন দরকার তখন নিজেও গোল করে।”

Advertisement

মুলার: বিশ্বসেরা হয়েও আড়ালে।

যে মুলার ও রিবেরির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন অঁরি, তাঁদের ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখকে এ দিন ২-১ হারাল যুক্তরাষ্ট্রের ঘরোয়া লিগ (এমএলএস)-এর অল স্টার টিম। অল স্টারের ছিলেন অঁরি নিজেই। ম্যাচ শুধু মাত্র প্রাক্ মরসুম প্রস্তুতি হলেও বিতর্কের রেশ ছড়িয়ে পরে নব্বই মিনিট শেষে। যার কেন্দ্রে ছিলেন বায়ার্ন কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা। ম্যাচে তাঁর দলের ফুটবলারদের উপরে কড়া ট্যাকল করায় বহু বার চতুর্থ রেফারির কাছে অভিযোগ জানান প্রাক্তন বার্সা কোচ। দল হারায় ক্ষুব্ধ বায়ার্ন কোচ সটান হাটা লাগান ড্রেসিংরুমের দিকে। বিপক্ষ কোচ হাত মেলাতে চাইলেও তাঁকে এড়িয়ে চলে যান গুয়ার্দিওলা। যদিও ম্যাচ শেষে গুয়ার্দিওলা বলেন, “একটু রেগে গিয়েছিলাম। এখন ঠিক আছি। বিপক্ষে অনেক ভাল ভাল ফুটবলার ছিল। অঁরি বিশেষ করে। ও আজও খুব ভাল খেলেছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement