আইপিএলে চ্যাম্পিয়নদেরই জয় অধরা

আইপিএল সাতে গত বারের চ্যাম্পিয়নরাই এখনও অবধি জয়-হীন। শুক্রবার তাদের তৃতীয় ম্যাচে প্রথম জয়ের মুখ দেখে ফেলল সানরাইজার্স হায়দরাবাদও। কিন্তু তিনটে ম্যাচ খেলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এখনও জয়-হীন। আট ফ্র্যাঞ্চাইজির টুর্নামেন্টের একমাত্র দল হিসাবে। দুবাইয়ের মাঠে প্রথম ম্যাচে যখন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে উত্তেজক শেষ ওভারে চার রানে হারাল সানরাইজার্স, তখন পরের ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে সহজেই সাত উইকেট আত্মসমর্পণ করল মুম্বই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:২৪
Share:

হারের হ্যাটট্রিকে মাথায় হাত। শুক্রবার নীতা অম্বানী। ছবি: পিটিআই।

আইপিএল সাতে গত বারের চ্যাম্পিয়নরাই এখনও অবধি জয়-হীন। শুক্রবার তাদের তৃতীয় ম্যাচে প্রথম জয়ের মুখ দেখে ফেলল সানরাইজার্স হায়দরাবাদও। কিন্তু তিনটে ম্যাচ খেলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এখনও জয়-হীন। আট ফ্র্যাঞ্চাইজির টুর্নামেন্টের একমাত্র দল হিসাবে। দুবাইয়ের মাঠে প্রথম ম্যাচে যখন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে উত্তেজক শেষ ওভারে চার রানে হারাল সানরাইজার্স, তখন পরের ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে সহজেই সাত উইকেট আত্মসমর্পণ করল মুম্বই।

Advertisement

অধিনায়ক রোহিত শর্মা হাফসেঞ্চুরি (৫০) করলেও ভারতীয় টি-টোয়েন্টি আর ওয়ান ডে দলের এই ওপেনারের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে ব্যাখ্যাহীন চার নম্বরে নামা এ দিনও বহাল থাকল। ওপেনার মাইক হাসি (১) এবং মিডল অর্ডারে পাওয়ারহিটার কায়রন পোলার্ড (১২) ফের ব্যর্থ। সিএসকের তরুণ পেসার মোহিত শর্মা (৪-১৪) দুর্ধর্ষ স্পেল করে মুম্বইকে ২০ ওভারে ১৪১-৭-এ আটকে রাখার পর ব্রেন্ডন ম্যাকালামের ৫৩ বলে অপরাজিত ৭১ রানের দাপটে এক ওভার বাকি থাকতেই ধোনির দল তিন উইকেটে টার্গেট পেরিয়ে যায়। তারা করে ১৯ ওভারে ১৪২-৩। হতাশ রোহিত শর্মা বলেছেন, “পরপর তিনটে ম্যাচে আমরা ১৪০-এর আশপাশে থেমে গেলাম। তার মানে ব্যাটিং নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।”

আগের ম্যাচে সানরাইজার্স অধিনায়ক শিখর ধবন আগে ব্যাটিং নেওয়ার কারণ হিসেবে বলেন, “একটা ভাল টোট্যাল তুলে বিপক্ষের রান তাড়া করার কাজটা কঠিন করতে চাই।” ২০ ওভারে ১৮৪-১ তুলেও সেটা অবশ্য পুরোপুরি করতে পারেননি ধবনরা। কেভিন পিটারসন-সহ দিল্লি ডেয়ারডেভিলস দুর্ভাগ্যবশত টার্গেটের মাত্র পাঁচ রান দূরে এসে থেমে যায়। তারা করে ১৮০-৪।

Advertisement

ডান হাতে মোটা ব্যান্ডেজ বেঁধে এ বারের টুর্নামেন্টে প্রথম নামা কেপি-র বড় ভুল টিমের সবচেয়ে ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান জেপি দুমিনিকে অনেক নীচে নামানো। পাঁচ নম্বরে নেমে মাত্র সাত বল খেলার সুযোগ পান দুমিনি। তা-ও ২০তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারকে ওভার বাউন্ডারি মেরে শেষ বলে টার্গেটকে ছয়ে নামিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু উপর্যুপরি দ্বিতীয় ছক্কাটি আর দুমিনির (২০ নঃআঃ) ব্যাটে আসেনি। তবে এ-ও প্রশ্ন উঠছে যে, অপর নট আউট ব্যাটসম্যান বাংলার মনোজ তিওয়ারি ১৩ বলে ২৩ করলেও আরও একটু সিঙ্গলসের প্রতি যত্নবান হয়ে দুমিনিকে বেশি স্ট্রাইক দিলে হয়তো দিল্লির ভাল হত। ফিল্ডিংয়ে ডেয়ারডেভিলরা তিনটি ক্যাচ গলায়। যার মধ্যে দু’টি ফস্কান মনোজ। দিল্লি দলে বাংলার আরও দুই ক্রিকেটারের এ দিন অবদান মহম্মদ শামি ৪ ওভারে ০-৩৬ এবং লক্ষ্মীরতন শুক্ল ২ ওভারে ০-২১।

সানরাইজার্সের দুই ওপেনার প্রথম সাত ওভারের মধ্যে ৫৬ (ধবন ৩৩) যোগ করার পর ১৩.৪ ওভারে অবিচ্ছেদ্য দ্বিতীয় উইকেটে দুই অস্ট্রেলীয় তারকা অ্যারন ফিঞ্চ (৫৩ বলে ৮৮ নঃআঃ) ও ডেভিড ওয়ার্নার (৪৫ বলে ৫৮ নঃআঃ) তোলেন আরও ১২৯। ফিঞ্চ প্রথম ৩৫ বলে ৪১ রান করলেও তিন বার জীবন পেয়ে পরের ৪৭ রান করেন মাত্র ১৮ বলে। যার মধ্যে দুমিনিকে এক হাতে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে মারা অসাধারণ ছয়ও আছে! হারলেও পিটারসেন (১৭ বলে ১৬) বলেন, “আমার হাত সোনার মতোই সুন্দর আছে। ওভার বাউন্ডারি মারতে গিয়ে আমার আউট হওয়াতেই সেটা স্পষ্ট!”

সংক্ষিপ্ত স্কোর

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ২০ ওভারে ১৮৪-১।

দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ২০ ওভারে ১৮০-৪।

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ২০ ওভারে ১৪১-৭।

চেন্নাই সুপার কিংস ১৯ ওভারে ১৪২-৩।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement