এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
স্ত্রী ছেড়ে চলে যাওয়ার যন্ত্রণায় দুই দুধের শিশুকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন যুবক। অভিযোগ, ১৪ মাসের যমজ শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময় বোতলে বিষ মিশিয়ে দেন বাবা। পরে নিজেকেও শেষ করে দেন তিনি। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ভাদোহি জেলার উগাপুর এলাকায়। বাবা এবং দুই সন্তানের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
উগাপুরের বাসিন্দা ওমপ্রকাশ যাদব সঙ্গম যাদবের বিয়ে হয়েছিল কয়েক বছর আগে। দম্পতির যমজ সন্তান ছিল। দু’জনেই মেয়ে। তাদের বয়স মাত্র ১৪ মাস। পুলিশ জানিয়েছে, গত ২১ নভেম্বর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন ওমপ্রকাশ। তাতে জানিয়েছিলেন, স্ত্রী তাঁদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আর খোঁজ পাচ্ছেন না স্ত্রীর। তদন্তে জানা যায় সাংসারিক অশান্তির জেরে ওই কাণ্ড করেন মহিলা। এখনও তাঁর খোঁজ চলছে।
অন্য দিকে, ওমপ্রকাশের প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে মনমরা ছিলেন ওই যুবক। গত কয়েক দিন বাড়ি থেকেও খুব একটা বেরোতে দেখা যায়নি তাঁকে। দুই মেয়েকে একা সামলাতেন ওমপ্রকাশ। কিন্তু সোমবার বাড়ির অদূরে যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। আর বাড়িতে দুই দুধের শিশুকে মৃত অবস্থায় পায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, সকালে দুধে বিষ মিশিয়ে দুই সন্তানকে খাইয়ে বাড়িতেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন যুবক। কিন্তু বিফল হন। সকাল ৭টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে কলেজ চত্বরে গিয়েছিলেন ওমপ্রকাশ। সেখানে একটি গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়েরা। স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) অজিতকুমার শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, মানসিক চাপে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওমপ্রকাশ। তিনি যখন কলেজে গিয়েছিলেন, তাঁর হাবভাব দেখে কারও কোনও সন্দেহ হয়নি। ওমপ্রকাশ এবং তাঁর দুই সন্তানের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ফরেন্সিক দলকেও খবর দেওয়া হয়েছে। শিশুদের যে দুধ খাওয়ানো হয়েছিল, তার নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হবে। তদন্ত চলবে।’’