দু’বারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নকে পিছনে ফেলে শটগান বিশ্বকাপে ট্র্যাপে সোনা জিতলেন মানবজিৎ সিংহ সাধু।ঁ যুক্তরাষ্ট্রের টাকসনে ৩৭ বছর বয়সি সাধুঁ কোয়ালিফিকেশনে ১২১ আর ফাইনালে ১৩ স্কোর করে পিছিয়ে দেন ১৯৯৬ ও ২০০৯ অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মাইকেল ডায়মন্ডকে। তাঁর স্কোর ১১৯ ও ৯।
সেমিফাইনালে মানবজিৎ ১৫টি টার্গেটের মধ্যে স্কোর করেন ১৪টিতে। প্রাক্তন বিশ্বসেরা শ্যুটারের এই দুরন্ত ফর্মেই তাঁর চার বছর পর ফের বিশ্বকাপে পদক জয়ের পথ পরিষ্কার হয়ে যায়। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মানবজিৎ বলেন, “মাইকেল ডায়মন্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতাটা চ্যালেঞ্জের তো বটেই তবে শেষ পর্যন্ত আসলে নিজের টার্গেটকেই হিট করতে হয়। ফাইনাল স্কোরেই সেটা পরিষ্কার। গোটা শীতকাল জুড়ে এই বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। গত কয়েক মাসে দেশেও প্রচুর চ্যাম্পিয়নশিপ আর ট্রায়াল ছিল। কোথাও শুটিং থামাইনি।”
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে কমনওয়েলথ, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ও এশিয়ান গেমসের আসর বসবে। তা ছাড়া ২০১৬ রিও অলিম্পিকের বাছাই পর্বের লড়াইও শুরু হবে এ বছরই স্পেনের গ্রানাডায়। তার আগে মানবজিতের পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে উৎসাহ জোগাবে দেশের শ্যুটারদের।
অলিম্পিক শ্যুটার জয়দীপ কমর্কার যেমন বলছিলেন, “ছেলেটা অবশ্যই প্রতিভাবান। আর যে বিশ্বকাপ জিতে এসেছে, তাকে তো অলিম্পিকে সম্ভাব্য পদকজয়ী হিসেবে দেখতেই হবে।”
বর্তমানে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ১৬ নম্বর মানবজিৎ আট বছর আগে রাজীব গাঁধী খেলরন্ত পুরস্কারও জিতেছেন। শ্যুটার ২০০৬ আর ২০১০-এ বিশ্বকাপেও সোনা জিতেছিলেন। তা ছাড়া ১৯৯৮ কমনওয়েলথ গেমসে সোনা, আট বছর পর একই টুর্নামেন্টে ব্রোঞ্জ ছাড়াও ২০০২ ও ২০০৬ এশিয়ান গেমসে চারটি রুপো জেতেন। গত মাসে ভারতীয় শটগান ওপেনে ট্র্যাপ, ডাবল ট্র্যাপ আর স্কিটে মোট স্কোরের দিক থেকে সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন।
২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে কোয়ালিফিকেশনে তিনি ১৬ নম্বরে শেষ করেন। ফাইনালে উঠতে পারেননি। সেই আক্ষেপ মেটাতে এ বার পুরোদমে প্রস্তুতি আর দুরন্ত ফর্মই ভরসা দেশের অন্যতম সেরা শ্যুটারের।