১০ জুলাই। চোখের জলে মাঠ ছাড়া। ১০ সেপ্টেম্বর। প্রত্যাবর্তনেই গোল।
শেষ বার তাঁকে ফুটবল মাঠে দেখা গিয়েছিল ইউরো ফাইনালে। চোট পেয়ে স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়ছেন তিনি। যে ফাইনালের পর ৬২ দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু তাঁর গোলের খিদেটা যে একই রকম রয়ে গিয়েছে। তিনি— ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
৬২ দিন পর তিনি ফিরলেন। মাঠে নামলেন। প্রথম শটটা মারলেন। এবং গোলও করে গেলেন।
শনিবার লা লিগায় রিয়াল ৫-২ হারাল ওসাসুনা-কে। বিধ্বংসী জয়ের সৌজন্যে লিগ শীর্ষে থাকল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু ম্যাচের সবচেয়ে বড় শিরোনামটা তো ছ’মিনিটের মাথায় হয়ে গিয়েছে। দু’মাস চোটের জন্য বাইরে থাকলেও তাঁর ফিনিশে কোনও প্রভাব পড়েনি। ম্যাচে নিজের তিন নম্বর টাচে এবং প্রথম শটেই গোল করলেন রোনাল্ডো।
রোনাল্ডো ফেরায় রিয়ালও ছিল বিধ্বংসী মেজাজে। দানিলো, সের্জিও র্যামোস, পেপে ও মডরিচের গোলে রিয়াল ৫-০ এগোয়। জবাবে ওরিওল গার্সিয়া ও দাভিদ গার্সিয়া গোল করলেও বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচতে পারেনি ওসাসুনা।
সিআর সেভেন ফেরায় স্বাভাবিক ভাবেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেও ঝড় ওঠে। টুইটারজুড়ে সবার পোস্টেই ধরা পড়ে রোনাল্ডো-বন্দনা। একজন রিয়াল ভক্ত যেমন পোস্ট করেন, ‘‘রোনাল্ডো গোল করা সূর্য ওঠার মতোই স্বাভাবিক একটা ঘটনা।’’ আবার মেসিকে কটাক্ষ করে একজন পোস্ট করেন, ‘‘রোনাল্ডো এখনও জানে গোলটা কোথায়। কয়েকজন তো ভুলেই গিয়েছে।’’
গোল করলেও অবশ্য গোটা ম্যাচ খেলেননি সিআর সেভেন। ৬৫ মিনিটে মহাতারকাকে তুলে নেন জিদান। ম্যাচ শেষ ফরাসি কোচ জানান, ৬৫ মিনিটে রিজার্ভ বেঞ্চে ফিরে মোটেও খুশি ছিলেন না সিআর সেভেন। জিদান বলছেন, ‘‘রোনাল্ডোকে সবাই গোল করতে দেখতে ভালবাসে। ও কত মিনিট খেলবে সেই ব্যাপারে কোনও কথা হয়নি।’’ বুধবার স্পোর্টিং লিসবনের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিযান শুরু হচ্ছে রিয়ালের। সেই ম্যাচেও পুরো নব্বই মিনিট রোনাল্ডো খেলতে পারবেন কিনা, সেই ব্যাপারে প্রশ্নচিহ্ন রেখে দিলেন জিজু। ‘‘ট্রেনিংয়ে দেখব। তারপর সিদ্ধান্ত নেব বুধবার গোটা ম্যাচে রোনাল্ডো খেলবে কিনা। কারণ পরের একুশ দিনে সাতটা ম্যাচ খেলতে হবে,’’ বলছেন জিদান।
দলের জয় নিয়ে তিনি অবশ্য খুশি। বিশেষ করে মডরিচের পারফরম্যান্সে। রিয়ালের ফরাসি কোচ বলছেন, ‘‘শুধু আজকে কেন। মডরিচ সবসময় ভাল খেলে। কিন্তু ও আজ গোল পেয়েছে বলে আমি বেশি খুশি।’’