নতুন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন চেয়ারম্যানের। বার্বেডোজে আইসিসি বৈঠকে। ছবি: টুইটার।
আইসিসি প্রেসিডেন্ট হলেন পাকিস্তানি কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান জাহির আব্বাস। বাংলাদেশের মুস্তাফা কামালের জায়গায় পাকিস্তানের এই প্রাক্তন অধিনায়ক এক বছরের জন্য এই পদে নির্বাচিত হলেন বার্বেডোজে চলতি আইসিসি-র বার্ষিক সম্মেলনে।
ইংল্যান্ডের স্যর কলিন কাউড্রে (১৯৮৯-১৯৯৩) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্যর ক্লাইড ওয়ালকটের (১৯৯৩-১৯৯৭) এই প্রথম কোনও বড় মাপের ক্রিকেটারকে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে বসানো হল। এশিয়ার কোনও ক্রিকেটারকে এই প্রথম এই সম্মান দেওয়া হল। শ্রীনিবাসনের সঙ্গে ঝামেলার জেরে কামাল ইস্তফা দেওয়ার পর এই পদের জন্য বেশ কয়েকটা নাম উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত বেছে নেওয়া হল এক প্রাক্তন ক্রিকেটারকে।
কাউড্রে ও ওয়ালকট যদিও ছিলেন চেয়ারম্যান। কিন্তু তখন আইসিসি-র সর্বোচ্চ পদ ছিল এটিই। ১৯৯৭-এ আইসিসি-র প্রেসিডেন্ট পদের প্রচলন হয় এবং সেই আসনে বসেন জগমোহন ডালমিয়া। গত বছর থেকে ফের আইসিসি-র চেয়ারম্যানের পদ ফেরানো হয় এবং এই পদে নির্বাচিত হন নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন।
আইসিসি-র নতুন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের পদ এখন নেহাতই আলঙ্কারিক হলেও এই সম্মান পেয়ে বেশ খুশি জাহির। বার্বেডোজে আইসিসি বৈঠক থেকে বেরিয়ে বলেন, ‘‘আমার উপর আস্থা রেখে আমাকে এই আসনে বসানোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আমার দেশের ক্রিকেট বোর্ডকেও ধন্যবাদ এই পদের জন্য আমাকে মনোনীত করায়।’’ জাহিরের পর আগামী বছর কোনও দক্ষিণ আফ্রিকানকে এই পদে বসানো হবে। ২০২৭ পর্যন্ত কোন কোন দেশের প্রতিনিধিরা এই পদে বসবেন, তা ঠিক হয়ে রয়েছে আইসিসি-তে। এই তালিকা অনুযায়ী আইসিসি কোনও ভারতীয় প্রেসিডেন্ট পাবে ২০২২-এ। প্রাক্তন পাক অধিনায়ক জাহির আব্বাসের টেস্ট ব্যাটিং গড় ৪৪.৭৯ হলেও ভারতের বিরুদ্ধে ১৯টি টেস্টে তাঁর গড় ছিল ৮৭.০০। ভারত যে বার চ্যাম্পিয়ন হয়, সেই ১৯৮৩-তেই শেষ বিশ্বকাপ খেলেন জাহির।