—ফাইল চিত্র
যুজ়বেন্দ্র চহালের অনুপ্রেরণা একজনই। তিনি শেন ওয়ার্ন। তাঁকে দেখেই লেগস্পিনার হওয়ার সাধ! ‘‘একটা সময় আমি শেন ওয়ার্ন স্যরের ভিডিয়ো দেখতে শুরু করি। লেগস্পিন কী জিনিস ওঁকে দেখেই বুঝতে পারি। উনিই আমার আদর্শ। ওঁর মতোই হতে চেয়েছি। ওঁর মতোই বোলিং করতে চেয়েছি,’’ বলেছেন চহাল। যোগ করেছেন, ‘‘সব সময়ই শেন ওয়ার্ন থাকতেন শিরোনামে। উনি যে ভাবে ব্যাটসম্যানদের ফাঁদে ফেলতেন, সেই ভিডিয়ো দারুণ উপভোগ করেছি। ওঁর বিরাট গুণ ছিল ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ করা। সেটা সব সময় ওঁর ভিডিয়ো দেখেই আমি শিখেছি।’’
বলা হয়, বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্পিনার ওয়ার্নই শতাব্দীর সেরা বলটা করেছেন। সেটা তিরানব্বইয়ের অ্যাশেজ়ে। তখন ওয়ার্নের বয়স ২৩। আউট করেছিলেন মাইক গ্যাটিংকে। সেই বল প্রসঙ্গে চহাল বলেছেন, ‘‘ওঁর সব ভিডিয়োই আমি দেখতাম। বিশেষ করে ওঁর সেই গ্যাটিংকে আউট করার বলটা। আমার তো মনে হয় যে কোনও লেগস্পিনারের কাছে ওটা একটা স্বপ্নের বল। আমারও মনে হত, একদিন ওই রকম বলে কাউকে আউট করব। হয়তো সেটা খানিকটা সত্যি হয়েছিল নিউজ়িল্যান্ডে মার্টিন গাপ্টিলের উইকেটটা নেওয়ার সময়। আমার ধারণা, ওটাই আমার জীবনের স্মরণীয় একটা বল।’’
এখানেই থামেননি ওয়ার্নের গুণমুগ্ধ চহাল। আরও বলেছেন, ‘‘ওঁকে দেখার আবেগটা থেকেই নিজের এলাকায় আমি ক্রিকেট খেলতে শুরু করি। আমার তো মনে হয় সবার ক্ষেত্রেই এ রকম হয়। পরে বাবার আইনজীবী বন্ধুরা ম্যাচের আয়োজন করলেই আমি চলে যেতাম। সেখানে এমনকি আম্পায়ারিং পর্যন্ত করতাম। আসল কথা মাঠে থাকতেই দারুণ লাগত। এ ভাবেই খেলাটার প্রতি আমার আগ্রহ ক্রমশ বেড়েছিল।’’ যোগ করেছেন, ‘‘একটা সময়ের পরে সিনিয়ররাই আমাকে খেলতে নিয়ে যেত। ওরাই নানা রকম প্রশিক্ষণ দিত। আমি যা চাই তা করতে দিত। আমার শুরু বলা যায় এ ভাবেই।’’
স্মৃতিচারণ করতে বসে চহাল জানিয়েছেন, মাত্র ১০ বছর বয়সে তিনি পটৌডি ট্রফিতে খেলেছিলেন সিনিয়রদের সঙ্গে। বড়দের অনেকে এসে না পৌঁছনোয় তিনি প্রথম এগারোয় সুযোগ পেয়ে যান। ‘‘মনে আছে সেই ম্যাচটায় আমি তিন উইকেট নিয়েছিলাম। তার পরেই অনূর্ধ্ব ১৪ দলে সুযোগ পেয়ে যাই। তখনই বুঝতে পারি, আমি ঠিকঠাক শুরু করতে পেরেছি। এবং তখন খেলাটাতেও পুরোপুরি মন দিতে পেরেছিলাম। প্রথম বার ভারতীয় শিবিরে সুযোগ পাই এনসিএ-র অনূর্ধ্ব ১৭-তে। সেই দু’মাস যা যা শিখেছিলাম, তার সবই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার সময় আমার কাজে লেগেছে,’’ বলেছেন চহাল। তখন থেকেই স্বপ্ন ছিল, দেশের হয়ে খেলার!