ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন ভাবে বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল দ্রাবিড়, বীরেন্দ্র সহবাগ এবং ভিভিএস লক্ষ্মণের নাম। সংক্ষেপে যাঁদের ফ্যাভ ফাইভ নামে চেনে ক্রিকেট বিশ্ব। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক সেই ফ্যাভ ফাইভের স্মরণীয় টেস্ট ইনিংসগুলি।
ভিভিএস লক্ষ্মণ: নিজের কেরিয়ারের অন্যতম স্মরণীয় ইনিংসটি লক্ষ্মণ খেলেছিলেন ইডেন গার্ডেন্সে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। হারা ম্যাচ প্রায় একক দক্ষতায় জিতিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ওই টেস্টে ৪৫২ বলে ২৮১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ভিভিএস। ঐতিহাসিক এই টেস্ট ভারত জিতেছিল ১৭১ রানে। ওই টেস্টকে টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম মাইলফলক হিসাবে দেখে ক্রিকেট বিশ্ব।
রাহুল দ্রাবিড়: ২০০৩-০৪ সালে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে অ্যাডিলেড ওভালে অজি বাহিনীর বিরুদ্ধে ৪৪৬ বলে ২৩৩ রানের ইনিংস খেলেন ‘দ্যা ওয়াল’। অস্ট্রেলিয়ার ৫৫৬ রানের জবাবে ৮৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। সেই জায়গা থেকে খেলা দ্রাবিড়ের এই ইনিংস ভারতকে অসাধারণ কামব্যাকে সাহায্য করে। টেস্টটি ৪ উইকেটে জিতে নেয় ভারত।
সচিন তেন্ডুলকর: ১৯৯৯ সালে চেন্নাইয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৭৩ বলে ১৩৬ রানের ইনিংস খেলেন মাস্টারব্লাস্টার। সাকলিন মুস্তাকের স্পিনের সামনে যখন নাস্তানাবুদ ভারতীয় ব্যাটিং, তখন একা হাতে ভারতকে প্রায় জিতিয়ে দেন সচিন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি সচিনের এই ইনিংস। টেস্টটি ১২ রানে জিতে নেয় পাকিস্তান।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়: একার হাতে বহু ম্যাচে ভারতকে জয় এনে দিয়েছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। সেই রকমই একটি ইনিংস সৌরভ খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ব্রিসবেনে ২০০৪ সালে। অস্ট্রেলিয়ার ৩২৩ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ৬২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। এর পর ভারতীয় ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন সৌরভ। ১৯৬ বলে ১৪৪ রানের ইনিংস খেলেন ভারত অধিনায়ক। ম্যাচটি ড্র হলেও ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন সৌরভ।
বীরেন্দ্র সহবাগ: ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬৮ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন নজফগড়ের নবাব। সেঞ্চুরি না পেলেও এই ইনিংসের গুরুত্ব ছিল অনেকখানি। ম্যাচটি ৬ উইকেটে জিতে নেয় ভারত। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন বীরু-ই।