yashasvi jaiswal

ফুচকা বিক্রি করে ক্রিকেট শেখা, তাঁর ব্যাটে ভর করেই ফাইনালে ভারত

২০১৫ সালে স্কুল ক্রিকেটে তাঁর ৩১৯ রানের ইনিংস এবং ৯৯ রান দিয়ে ১৩ উইকেট জায়গা করে নেয় লিমকা বুক অব রেকর্ডসে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২১:০৫
Share:

যশস্বী জয়সওয়ালের শতরান ভারতকে এনে দিল দাপুটে জয়। ছবি: পিটিআই

সেমি ফাইনালে যশস্বী জয়সওয়ালের শতরান ভারতকে এনে দিল দাপুটে জয়। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালেও উঠল ভারত। পাকিস্তান দাঁড়াতেই পারল না ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে। যশস্বীর ১১৩ বলে ১০৫ রানের ইনিংস নজর কাড়ল ক্রিকেটপ্রেমীদের।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের সুরিয়া এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন যশস্বী। দশ বছর বয়সে মুম্বই চলে আসেন তিনি। চোখে স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। দোকানে কাজ নিলেও ক্রিকেট প্র্যাকটিসের কারণে সময় পাননি। কাজ চলে যায় কিছু দিনের মধ্যেই। সারাদিন প্র্যাকটিসের শেষে ফুচকা বেচতেন পেট চালাতে। ময়দানে এক মাঠ কর্মীর সঙ্গে তাঁবুতেই রাত কাটাতেন।

তাঁর চেষ্টা বিফলে যায়নি। ২০১৫ সালে স্কুল ক্রিকেটে তাঁর ৩১৯ রানের ইনিংস এবং ৯৯ রান দিয়ে ১৩ উইকেট জায়গা করে নেয় লিমকা বুক অব রেকর্ডসে। সুযোগ চলে আসে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৬ দলে। ধীরে ধীরে জায়গা করে নেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও।

Advertisement

আরও পড়ুন: যশস্বীর সেঞ্চুরি, ১০ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত

২০১৮ সালের এশিয়া কাপে যশস্বী ছিলেন সর্বাধিক রান সংগ্রাহক (৩১৮ রান)। দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে তাঁর ২২০ বলে ১৭৩ রান দলে পাকা করে দেয় ভারতীয় দলে তাঁর জায়গা।

রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বইয়ের হয়ে অভিষেক ঘটে গত মরসুমে। এই বারের বিশ্বকাপে তাঁর পরিণত পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। ভারতীয় সিনিয়র দলে কড়া নাড়তে পারে এই পারফরম্যান্স। ডোপিং-এর জন্য নির্বাসিত হওয়া পৃথ্বী শ যদি কিউয়িদের বিরুদ্ধে ব্যর্থ হন তবে দেখা যেতেই পারে যশস্বীকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement