আগেও কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন ব্রিজভূষণ। —ফাইল চিত্র।
কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন ভারতীয় কুস্তিগিরেরা। আবার পাল্টা অভিযোগ করছেন সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহও। তিনি কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। তাঁর দাবি, কুস্তিগিরেরা বার বার নিজেদের অভিযোগ বদলে ফেলছেন। বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগটের মতো কুস্তিগিরেরা ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ করেছেন। দিল্লি পুলিশের কাছে এফআইআরও করেছেন তাঁরা।
আগেও কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন ব্রিজভূষণ। এ বার তাঁর দাবি, কুস্তিগিরেরা বার বার অভিযোগ বদলে ফেলছেন। কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, “১৮ জানুয়ারি কুস্তিগিরেরা যখন যন্তর মন্তরের সামনে ধর্নায় বসলেন, তখন তাঁদের অভিযোগ ছিল এক রকম। কিছু দিন পর সেই দাবি পাল্টে গেল। আমি মহিলা কুস্তিগিরদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, আমি কোথায়, কখন তাঁদের সঙ্গে অন্যায় করেছি। কিন্তু কেউ আমাকে পরিষ্কার কোনও উত্তর দিতে পারেননি। কে কী বলছেন আমার বিরুদ্ধে, সেটা নিয়ে আমার কিছু যায়-আসে না।”
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে ব্রিজভূষণ বলেন, “পুলিশ ব্যাপারটাকে বড় করে ফেলছে। যা হচ্ছে হোক, আমি সব সামলাতে তৈরি। আমাকে দয়া করে অযৌক্তিক প্রশ্ন করবেন না।” তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণ হলে গলায় দড়ি দেবেন বলে জানিয়েছেন ব্রিজভূষণ।
মঙ্গলবার অলিম্পিক্স পদকজয়ী সাক্ষী, বজরংরা হরিদ্বার গিয়েছিলেন। সেখানে গঙ্গায় তাঁদের পদক বিসর্জন দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। তাঁদের আটকে দেন কৃষক নেতারা। কুস্তিগিরেরা পাঁচ দিন সময় দেন। এর মধ্যে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তাঁরা আবার আন্দোলনে নামবেন। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর করা হয়েছে। যদিও দিল্লি পুলিশ এখনও কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতির বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পায়নি।
ধর্নায় বসা কুস্তিগিরেরা নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিন সে দিকে মিছিল করে এগোচ্ছিলেন। তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। জোর করে আটক করা হয়। কুস্তিগিরদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করা নিয়েও সরব নানা মহল।