ইউএস ওপেন ট্রফি নিয়ে ইয়ানিক সিনার। ছবি: এক্স (টুইটার)।
ডোপিংয়ের অভিযোগ থেকে ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন। মানসিক চাপ সামলে টেনিস কোর্টে সাফল্য। বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের পর ইয়ানিক সিনারের মুখে কঠিন সময়ের কথা। পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানালেন নিজের টিমের সদস্যদের।
বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড়ের গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্যে চমক নেই। যদিও এ বারের প্রতিযোগিতা সিনারের কাছে সহজ ছিল না। টেনিস দক্ষতার পাশাপাশি নিজের স্বচ্ছতা প্রমাণ করার তাগিদ ছিল তাঁর। স্বভাবতই এ বারের ইউএস ওপেন জয়ের তাৎপর্য সিনারের কাছে আলাদা। ফাইনালের পর সে কথাই উঠে এসেছেন তাঁর মুখে। সিনার বলেছেন, ‘‘এই ট্রফিটা আমার কাছে অনেক কিছু। টেনিসজীবনের শেষ কয়েকটা সপ্তাহ সহজ ছিল না। সেই কঠিন সময় প্রতিদিন আমার টিমের সদস্যদের পাশে পেয়েছি। কাছের মানুষেরা সঙ্গে ছিলেন। টেনিস আমার ভালবাসা। এই ধরনের মঞ্চে খেলার জন্য কঠোর অনুশীলন করি।’’
কিছু দিন আগে সিনারের বিরুদ্ধে ডোপিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ইন্টিগ্রিটি এজেন্সি (আইটিআইএ) গত ১৫ অগস্ট সেই অভিযোগের শুনানি করেছিল। তাতে সিনারকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ক্রীড়াবিদদের একাংশ প্রশ্ন তোলেন সিনারকে নির্দোষ ঘোষণা করায়। কারণ তাঁর নমুনায় নিষিদ্ধ ওষুধের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল।
ইটালির খেলোয়াড় সেই বিতর্কিত অধ্যায় ভুলতে চাইছেন। টেনিসে থাকতে চাইছেন। বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়। সিনার বলেছেন, ‘‘এই জয় সত্যিই আমাকে স্বস্তি দিচ্ছে। এমন বড় খেতাব জেতার জন্যই তো আমরা পরিশ্রম করি। বড় মঞ্চে বড় ম্যাচ খেলতে কে না চায়। ট্রফিটা বাড়ি নিয়ে যেতে পারব। খুব ভাল লাগছে। এখানে বেশ কিছু কঠিন ম্যাচ খেলেছি। কার্লোস আলকারাজ়, আলেকজান্ডার জেরেভদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। তবে ইউএস ওপেনের কোর্ট আমার খেলার সঙ্গে বেশ মানানসই। আমি শুধু উন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যাই। কখনও পরিশ্রম করা থামাই না। এখন আমার দলের সকলের উৎসব করার সময়।’’
বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি সিনার। তিনি বলেছেন, ‘‘মনে হয়, বেশ ভাল খেলেছি। আমরা প্রতিটি দিন নিয়ে আলাদা করে ভেবেছি। যে দিন খেলা থাকত না, অনুশীলনে গুরুত্ব দিতাম। টেনিসে মানসিক শক্তি কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা বুঝলাম এ বার। সাফল্যটা দলের সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারছি। এটাই আমার আনন্দ, গর্ব। অনেকে বাড়িতে বসে টেলিভিশনেও আমার খেলা দেখেছেন। যাঁরা যাঁরা সমর্থন করেছেন, প্রত্যেককে ধন্যবাদ। আমি কৃতজ্ঞ।’’
সিনারের নমুনায় নিষিদ্ধ ড্রাগের উপস্থিতি নিয়ে আইটিআইএর শুনানিতে তাঁর দলের এক সদস্য বলেছিলেন, ক্ষত সারানোর জন্য ত্বকের উপর একটি ওষুধ (স্প্রে) ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই স্প্রেতে ক্লোস্টবোল ছিল। পরে সিনারকে ম্যাসাজ করার সময় অসাবধনাতাবশত তা ত্বকের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। শক্তিবদ্ধির জন্য ইচ্ছাকৃত করা হয়নি। সিনার কোনও নিষিদ্ধ ওষুধও খাননি।