ছবি: এএফপি।
সার্বিয়ার বিরুদ্ধে গোল করার পরেই সুইৎজ়ারল্যান্ডের দুই গোলদাতা গ্রানিত শাকা এবং জারদান শাচিরির উৎসব নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দু’জন গোল করার আনন্দে বিশেষ একটি ইঙ্গিত করেন। যে ইঙ্গিত প্ররোচণামূলক বলে শাস্তির দাবি করেছে সার্বিয়া। তখন মনে হচ্ছিল, দু’হাত দিয়ে পাখির মতো কিছু বোঝাতে চেয়েছিলেন তাঁরা। বলা হচ্ছে, আসলে তাঁরা আলবেনিয়ার জাতীয় পতাকার প্রতীক ঈগলকেই বোঝাতে চেয়েছেন।
শাচিরির জন্ম কসোভোয়, আগে যা সার্বিয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০০৮ সালে কসোভো স্বাধীন হয়। সার্বিয়া যদিও কসোভোর স্বাধীনতা স্বীকার করে না। দু’দেশের মধ্যে সুসম্পর্কও নেই। শাকার বাবা-মা আলবেনিয়ার বংশোদ্ভূত। শাকার ভাইও খেলেন আলবেনিয়ার জাতীয় দলের হয়ে। ১৯৯৮-৯৯ সালে কসোভো যুদ্ধের পরে শাচিরি এবং শাকার পরিবারকে আশ্রয় নিতে হয় সুইৎজারল্যান্ডে।
কসোভোর স্বাধীনতাকে সমর্থন করার জন্য শাকার বাবাকে প্রায় সাড়ে তিন বছর রাজনৈতিক বন্দিও থাকতে হয়েছিল তৎকালীন য়ুগোস্লাভিয়ায়। তাই বিশ্বকাপে গোল করার পরে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তাঁরা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। আলবেনিয়ার প্রেসিডেন্ট দুই গোলদাতারই উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। কিন্তু সার্বিয়ার বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে এই ঘটনার প্রবল সমালোচনা করা হয়েছে। একই ভাবে দুই ফুটবলারের ইঙ্গিতের সমালোচনা করা হয়েছে সুইৎজারল্যান্ডের কয়েকটি সংবাদপত্রেও।
তবে শাচিরি ম্যাচের পরে বিতর্কের আঁচ পেয়েই হয়তো তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ গোল-উৎসব নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি। শুধু বলেন, ‘‘আবেগটাই বেরিয়ে এসেছিল তখন। গোলটা করার পরে আমি দারুণ খুশি।’’ ম্যাচের আগেই সার্বিয়া আর আলবেনীয় বংশোদ্ভূত সুইস ফুটবলারদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। যার জেরেই এই বিতর্ক।