ভিডিয়ো দেখে পেনাল্টি নাকচ, ক্ষোভ নেমারের

উৎসবের মাত্রা আরও বেড়ে যায় ব্রাজিলের ২-০ কোস্টা রিকাকে হারানোর পরে। কিন্তু উৎসবের মধ্যেও বিঁধে থাকল একটা কাঁটা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৮ ০৪:৫৭
Share:

স্বস্তি: ব্রাজিল ভক্তদের উচ্ছ্বাস বাড়িয়ে দিয়ে এ ভাবেই দলের দ্বিতীয় গোলটি করে গেলেন নেমার দ্য সিলভা স্যান্টোস (জুনিয়র)। শুক্রবার সেন্ট পিটার্সবার্গে। ছবি: গেটি ইমেজেস

কোস্টা রিকার বিরুদ্ধে নামার আগেই চমক ব্রাজিল শিবিরে।

Advertisement

টিম বাসে সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে পৌঁছনোর পথে নাচে-গানে মেতে ওঠেন নেমাররা। সাম্বার ছন্দে নাচতে থাকেন মার্সেলো, উইলিয়ান, টাইসনরা। সুইৎজ়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ড্র করার পরে দ্বিতীয় ম্যাচে নামার আগে যে চাপ ছিল সেটা কাটাতেই হয়তো এই উদ্যোগ ব্রাজিল শিবিরের। শুধু ব্রাজিল শিবিরের উৎসবই নয়, নেমার ভক্তদের ড্রেসিংরুমের ঝলকও দেখার সুযোগ করে দেন ছবি তুলে। তাঁর কিট এবং অনান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ছবি তুলে পোস্ট করেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায়।

যে উৎসবের মাত্রা আরও বেড়ে যায় ব্রাজিলের ২-০ কোস্টা রিকাকে হারানোর পরে। কিন্তু উৎসবের মধ্যেও বিঁধে থাকল একটা কাঁটা। নেমারের পেনাল্টির আবেদন নাকচ হওয়ার কাঁটা। শুক্রবার ম্যাচের শেষ দিকে কোস্টা রিকার বক্সে নেমার পড়ে যান। প্রথমে মনে হচ্ছিল কোস্টা রিকার ডিফেন্ডার খুয়ানকার্লো গন্সালেস ফাউল করেছেন। রেফারি বিয়র্ন কুইপার প্রথমে পেনাল্টি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি এবং তিনি নিজেও রিপ্লে দেখে পেনাল্টি নাকচ করে দেন। স্বাভাবিক ভাবেই নেমাররা রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান। ঠিক এর পরে রেফারি নেমারের দিকে একটি ইঙ্গিত করেন। যার অর্থ, অভিযোগ জানানো বন্ধ করো।

Advertisement

শুধু এই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই নয়, প্রথমার্ধেও রেফারির কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে অখুশি দেখাচ্ছিল নেমারকে। এমনকি বিরতিতে টানেলেও নেমার রেফারিকে অভিযোগ জানাতে থাকেন। অবস্থা এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছিল যে মার্সেলোকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। কুইপারের কাছ থেকে তিনি নেমারকে জোর করে সরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হন। রাশিয়া বিশ্বকাপে নতুন চালু হওয়া ভিডিয়ো অ্যাসিসট্যান্ট রেফারি প্রযুক্তির এক দিকে যেমন সমালোচনা হয়েছে তেমন প্রশংসাও পেয়েছে। নেমারের পেনাল্টি নাকচ করার ক্ষেত্রেই যেমন দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় রেফারির সিদ্ধান্তের প্রশংসা। এক ফুটবলপ্রেমী লিখেছেন, ‘‘ভার-এর যথাযথ প্রয়োগ করা হয়েছে। নেমার ওই জায়গা থেকে তখন গোল লক্ষ্য করে শট মারতেও পারতেন। কিন্তু শট মারার চেয়ে সহজ বিকল্পটা বেছে নিলেন তিনি। সেটা হল, পেনাল্টির আবেদন করা।’’ অনেকে আবার নেমারের পেনাল্টি বক্সে দু’হাত ছড়িয়ে মাটিতে পড়ে যাওয়ার দৃশ্যের সঙ্গে ব্রাজিলের বিশ্বখ্যাত ‘ক্রাইস্ট দ্য রিদিমার’ মূর্তির তুলনাও শুরু করে দেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দুরন্ত ভাবে ম্যাচ জেতে ব্রাজিল। ফিলিপে কুটিনহো এবং নেমারের গোলে। কান্নায় ভেঙে পড়েন নেমার। আনন্দের কান্নায়।

সেন্ট পিটার্সবার্গে ক্রেস্তোভস্কি স্টেডিয়ামে পৌঁছনোর সময় নেমারদের টিম বাসের দৃশ্যের সঙ্গে ম্যাচ শেষের মেজাজ দারুণ ভাবে মিলে যায় এই জয়ে। কয়েক দিন আগেই নেমারের দলের অনুশীলন থেকে খোঁড়াতে খোঁড়াতে বেরিয়ে যাওয়া দেখে ব্রাজিল সমর্থকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। শুক্রবার মাঠে ফিরে নেমার শুধু আশ্বস্তই করলেন না ভক্তদের, সঙ্গে গোল করে বুঝিয়ে দিলেন— তিনি আছেন ছন্দেই।

আজ বিশ্বকাপে:

বেলজিয়াম বনাম টিউনিশিয়া (বিকেল ৫.৩০),

দক্ষিণ কোরিয়া বনাম মেক্সিকো (রাত ৮.৩০),

জার্মানি বনাম সুইডেন (রাত ১১.৩০)।

সব ম্যাচ সরাসরি সোনি ইএসপিএন, সোনি টেন টু, সোনি টেন থ্রি চ্যানেলে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement