প্রত্যয়ী: নিজস্ব দক্ষতার ওপরে আস্থা রয়েছে টেলরের। ফাইল চিত্র
এক বছর আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছিল নিউজ়িল্যান্ডের। রস টেলরদের দেখতে হয়েছিল, বিশ্বকাপ হাতে অইন মর্গ্যানদের উল্লাস। হয়তো সে কারণেই আরও এক বার অধরা বিশ্বকাপ জেতার লক্ষ্যে ঝাঁপাতে চান টেলর। নিউজ়িল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যানের চোখ এখন ২০২৩ বিশ্বকাপে। তবে আগামী বছরের শেষে তিনি কী অবস্থায় থাকেন, তা দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন টেলর।
ভারতের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজে ভাল ফর্মেই ছিলেন ৩৫ বছর বয়সি এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু পরের বিশ্বকাপের সময় তাঁর বয়স হবে ৩৮। তখনও কি খেলে যাওয়া সম্ভব হবে? টেলর বলেছেন, ‘‘২০২৩ বিশ্বকাপ খেলার ব্যাপারটা আমার মাথায় আছে। তবে এখনও সেটা অনেক দূরের ব্যাপার। প্রথম লক্ষ্য হল, পরের বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা। তার পরে ঘরোয়া মরসুম আছে। যেটা শেষ হলে বুঝতে পারব ঠিক কোন জায়গায় আছি।’’ টেলর যোগ করেন, ‘‘কতগুলো শর্ত পূরণ হওয়া দরকার। যদি দেখি আমি সমান ক্ষুধার্ত আছি, দক্ষতায় মরচে ধরেনি, ফিটনেস নিয়ে সমস্যা নেই আর দলে জায়গা হচ্ছে, তা হলে অবশ্যই ২০২৩ বিশ্বকাপ খেলার কথা ভাবব।’’
তবে পরের বিশ্বকাপের কথা মাথায় থাকলেও নিজের উপরে অহেতুক চাপ তৈরি করতে চান না টেলর। তাঁর মতে, ‘‘সবাই সব সময় ভাল কিছু করতে চায়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে চাপও তৈরি হয়ে যায়। যেটা ঠিক নয়। মাঠে নেমে খেলাটাকে উপভোগ করতে হবে। আশা করব, দলের জন্য কিছু অবদান রাখতে পারব।’’
ভারতের বিরুদ্ধে ২১ তারিখ থেকে শুরু প্রথম টেস্টে নামতে পারলেই ১০০ টেস্ট ক্লাবের সদস্য হয়ে যাবেন টেলর। যে তালিকায় নিউজ়িল্যান্ড থেকে আছেন স্টিভন ফ্লেমিং, ড্যানিয়েল ভেত্তোরি, ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। নিজের সাফল্যের জন্য টেলর কৃতিত্ব দিতে চান তাঁর এক সময়কার মেন্টর, প্রয়াত মার্টিন ক্রোকে। টেলর বলেছেন, ‘‘ক্রো আমার মধ্যে এমন কিছু দেখেছিলেন, যা আমিও দেখিনি। আমি একটা টেস্ট খেলতে পারলেই খুশি হতাম। আর এখন ১০০টা টেস্ট খেলতে চলেছি। সত্যিই এটা একটা বিশেষ অনুভূতি।’’
টেলর যেখানে ১০০তম টেস্ট খেলার চৌকাঠে দাঁড়িয়ে, সেখানে নিজের প্রথম টেস্ট খেলার অপেক্ষায় রয়েছেন নিউজ়িল্যান্ডের ছ’ফুট আট ইঞ্চির পেসার কাইল জেমিসন। ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে ভাল বল করার পরে টেস্ট দলে রাখা হয়েছে জেমিসনকে। নিজের সম্পর্কে জেমিসন বলেছেন, ‘‘আমি কিন্তু খুব আগ্রাসী একটা চরিত্র। মাঠে নামলে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতেই ভালবাসি। মাঠে এমন কিছু করে বসি মাঝে মাঝে, পরে যা নিয়ে নিজেরই অনুতাপ হয়। খেলার পরে হয়তো নিজেকেই বলি, কেন ও রকম করলাম।’’
অকল্যান্ডে জন্ম হলেও জেমিসন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন ক্যান্টেবেরির হয়ে। কিন্তু সেখানকার পরিবেশ তাঁর সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নিউজ়িল্যান্ডের একটি ওয়েবসাইটে এ দিন জেমিসন বলেছেন, ‘‘ক্যান্টেবেরিতে আমি একটা নেতিবাচক পরিবেশের মধ্যে পড়েছিলাম। যা মাঠে আমার আচরণের উপরে প্রভাব ফেলেছিল।’’ জেমিসন মনে করেন, অকল্যান্ডে চলে আসার পরে তাঁর খেলায় অনেক উন্নতি হয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে অভিষেকে ম্যাচের সেরা হওয়া এই ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘ক্রিকেটটা এখন খুব উপভোগ করছি। বছর দুয়েক আগেও যে কথা বলতে পারতাম না।’’
ভারতের বিরুদ্ধে ওয়েলিংটনে প্রথম টেস্টে হয়তো খেলা হবে না জেমিসনের। প্রথম তিন পেসার হতে পারেন বোল্ট, টিম সাউদি এবং নিল ওয়্যাগনার। যদিও নিউজ়িল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিড ইঙ্গিত দিয়েছেন, জেমিসনের উচ্চতার কথা ভেবে তাঁকে খেলানো হতেই পারে।