পরীক্ষা: একটি ম্যাচ জিতলেই পদক পাচ্ছেন মেরি। ফাইল চিত্র
ছয় বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মেরি কম ৫১ কেজি বিভাগে সেরা হন কি না, সে দিকে তাকিয়ে পুরো বিশ্ব। মেয়েদের বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে এই বিভাগে কখনও সোনা জেতেননি মেরি। আজ, বৃহস্পতিবার কোয়ার্টার ফাইনালে ছত্রিশ বছরের সোনার মেয়ে জিতলেই পদক নিশ্চিত করে ফেলবেন। তাঁর প্রতিপক্ষ কলম্বিয়ার ভিক্টোরিয়া ভ্যালেন্সিয়া।
গত বছর এই প্রতিযোগিতায় চারটি পদক জিতেছিল ভারত। এ বার মেয়েদের বিভাগে মোট পাঁচ জন বুধবার পর্যন্ত শেষ আটে পৌঁছেছেন। এঁরা হলেন, মেরি কম, মঞ্জু রানি, কবিতা চাহাল, যমুনা বোড়ো এবং লভলীনা বড়গোহাঞি। এর মধ্যে কবিতা লড়াই ছাড়াই উঠে এসেছেন।
গতবারের ব্রোঞ্জজয়ী লভলীনা ৬৯ কেজি বিভাগে জিতলেন। তিনি হারালেন মরক্কোর ঔমেইমা বেল আহাবিবকে। ৫-০ জিতলেন তিনি। কিন্তু এ দিন চমকে দিলেন অসমের আর এক মেয়ে যমুনা বোড়ো। মেয়েদের ৫৪ কেজি বিভাগে তিনি হারিয়ে দিলেন পঞ্চম বাছাই আলজিরিয়ার কুইদাদ সফুথকে। আফ্রিকান গেমসে সোনাজয়ী কুইদাদকে হারনোর পরে শেষ আটে যমুনার প্রতিপক্ষ বেলারুশের উলিয়া আপনাশোভিক। যমুনা এ দিন জিতলেন ৫-০ তে। আজ বৃহস্পতিবার কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যাচ জিতলেই পদক নিশ্চিত করে ফেলবেন যমুনা। বিশ্বমঞ্চে এটাই হবে তাঁর প্রথম পদক।
বাইশ বছরের যমুনা চাকরি করেন অসম রাইফেলসে। তাঁর মা সবজি বিক্রি করেন বাজারে। দরিদ্র পরিবার হওয়া সত্ত্বেও মেয়েকে বক্সার তৈরি করার জন্য তিনি দিনরাত পরিশ্রম করতেন। তার সুফলই পেতে চলেছেন যমুনা। বুধবার শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন তিনি। বিশেষ করে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় রাউন্ডে অসমের মেয়ে চমকে দেন একের পর এক ঘুষিতে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করে দিয়ে। মহিলা দলের কোচ হয়ে রাশিয়ায় গিয়েছেন আলি কামার। তিনি বলছিলেন, ‘‘আমরা ইটালিতে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি। গতবারের তুলনায় ভাল ফল করা উচিত আমাদের। ’’
ভারতীয় বক্সিং-এ মেরি কমের সাফল্য অবিশ্বাস্য। কিন্তু তাঁর একটি সাফল্য এখনও অধরা। তা হল ৫১ কেজি বিভাগে এখনও বিশ্বসেরার মুকুট ওঠেনি তাঁর মাথায়। অলিম্পিক্সে এই বিভাগে ব্রো়ঞ্জ আছে তাঁর। এশিয়ান গেমসে সোনাও আছে মেরির। তাই সংসার সামলেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের মঞ্চে চ্যাম্পিয়ন হতে মরিয়া মণিপুরের মেয়ে। আজকের লড়াই জিতলে পদক নিশ্চিত হবে তাঁর। তার পর ফাইনালে লড়াই সোনা জেতার। মেরি নিজে অবশ্য প্রত্যয়ী। মেরি বলে দিয়েছেন, ‘‘সব লড়াই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমার লক্ষ্য ফাইনালে ওঠা। তার পর পরের লক্ষ্য স্থির করব।’’
ফাইনালে শিবা: জাতীয় বক্সিং প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠলেন শিবা থাপা এবং সচিন সোয়াচ। শিবা এ দিন উত্তর প্রদেশের অভিষেক যাদবের বিরুদ্ধে জিতলেন। তাঁকে ফাইনালে খেলতে হবে সার্ভিসেসের আকাশের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে সচিন হারালেন সাগর চন্দকে ৫-০ গেমে।
নির্বাসিত নির্মলা: ডোপিংয়ের কারণে ভারতীয় মহিলা স্প্রিন্টার নির্মলা শেওরান নির্বাসিত হলেন চার বছরের জন্য। কাড়া হল দু’বছর আগে এশীয় অ্যাথলেটিক্সে পাওয়া দু’টি পদকও। বুধবার বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স সংস্থার ইন্টিগ্রিটি ইউনিট জানিয়েছে, ২০১৮ সালে জুন মাসে নির্মলার মূত্র নমুনায় নিষিদ্ধ ওযুষের উপস্থিতি ধরা পড়ে।