ঋদ্ধি নেই কেন, ক্ষুব্ধ লক্ষ্মীরতন

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম টেস্টেই দশ ক্যাচ নিয়ে রেকর্ড করেছিলেন শিলিগুড়ির পাপালি, ভারতীয় ক্রিকেট দলের উইকেটকরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা। কিন্তু শনিবার থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে তাঁকে দলে রাখা হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:০৫
Share:

উইকেটকরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা।—ফাইল চিত্র।

ঋদ্ধিমান কেন প্রথম এগারোতে নয়, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা রাজ্যের ক্রীড়া দফতরের প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্ল। শনিবার কোচবিহারের রাজবাড়ি স্টেডিয়াম সংলগ্ন যুব আবাস দেখতে এসে এ কথা জানান তিনি।

Advertisement

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম টেস্টেই দশ ক্যাচ নিয়ে রেকর্ড করেছিলেন শিলিগুড়ির পাপালি, ভারতীয় ক্রিকেট দলের উইকেটকরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা। কিন্তু শনিবার থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে তাঁকে দলে রাখা হয়নি। তা নিয়েই ক্ষুব্ধ লক্ষ্মীরতন। তাঁর কথায়, “যদি চোটের কারণে ঋদ্ধিমান বাইরে থাকেন তাহলে আলাদা বিষয়। কিন্তু সুস্থ অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও যদি তাঁকে বাদ দেওয়া হয় তাহলে তা ঠিক হয়নি। বিশ্বের সেরা উইকেট কিপারদের মধ্যে একজন ঋদ্ধিমান। একদিনের পারফরম্যান্সে সব বিচার হয় না।” ঋদ্ধির জায়গায় দলে নেওয়া হয়েছে পার্থিব পটেলকে।

এ দিন কোচবিহারে এসে অনেকটা আবেগবিহ্বল হয়ে পড়েন শুক্ল। তিনি জানান, অনূর্ধব-১৬ ও অনূর্ধব-১৯ প্রতিযোগিতায় তিনি দু’বার কোচবিহার রাজবাড়ি স্টেডিয়ামে খেলেছেন। ১৯৯৬-৯৭ সাল নাগাদ তিনি খেলেন। একবার জেলার দলের হয়ে আরেকবার বাংলার হয়ে খেলেছিলেন। তাঁর কথায়, “আমার মনে আছে এই মাঠে খেলেছি। ভাল মাঠ রাজবাড়ি স্টেডিয়াম। এখানে বড় খেলার আয়োজন করা যেতে পারে। ভাল পরিকাঠামো রয়েছে। আমরা চেষ্টা করব যাতে এই মাঠে বড় খেলার আয়োজন করা হয়।”

Advertisement

এ দিন লক্ষ্মী গোটা মাঠ ঘুরে দেখেন। সেই সঙ্গে পাশে থাকা যুব আবাসেও যান তিনি। ওই আবাস আট মাসের বেশি সময় আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করে যান। ৬ কোটি টাকা খরচ করে তিনতলা ভবন তৈরি করা হয়। সেখানে ৪৭টি ঘর রয়েছে। একসঙ্গে ২০০ জনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। তবে অভিযোগ, ওই ভবন এখনও চালু করতে পারেনি যুব দফতর। বিয়ের জন্য হল ঘর ভাড়া দেওয়া হলেও সেখানে ঘরগুলি থাকার ব্যবস্থা করতে পারেনি।

যুব দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ঘরে আসবাবপত্র নেই। আসবাবপত্রের জন্যে দরপত্র ডাকা হলেও একজনের বেশি অংশগ্রহণ করেনি। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভাবে কলকাতা থেকেই ফের দরপত্র ডাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে জন্যেই ঘর চালু করতে দেরি হচ্ছে। মন্ত্রী ওই আবাস ঘুরে দেখার পরে আশ্বাস দেন, ওই দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নির্দেশেই তিনি এসেছেন। তিনি বলেন, “খুব শীঘ্রই ওই ভবন চালু হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement