হরিদ্বার থেকে ফেরার পর চুপ সাক্ষীরা। ছবি: পিটিআই
যন্তর মন্তরে ধর্না দেওয়ার সময় প্রতিদিন একাধিক বার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যেত কুস্তিগিরদের। কিন্তু হরিদ্বারে পদক বিসর্জন দেওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করার পর থেকেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাঁরা। এমনকি কে কোথায় রয়েছেন, সে সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। কুস্তিগিরদের এই নীরবতা দেখে অনেকেই অবাক। প্রশ্ন উঠছে, আন্দোলনে কি তবে ছেদ পড়ল?
কুস্তিগিরদের দলে থাকা এক সদস্যের খবর, হরিদ্বার থেকে প্রত্যেকেই যে যাঁর বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। একমাত্র সাক্ষী মালিক রয়েছেন দিল্লিতে। কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়া পাঁচ দিন সময়ের দু’দিন অতিক্রান্ত। তার পরে দিল্লিতে আমরণ অনশনে বসার কথা রয়েছে তাঁদের। যন্তর মন্তরে আর তাঁদের প্রতিবাদ করতে দেবে না বলে আগেই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
কুস্তিগিরদের দলের এক সদস্য বলেছেন, “মঙ্গলবার সকাল থেকেই ওরা কাঁদছিল। জেলাস্তরে পাওয়া পদকও ফেলে দেওয়া খুব কঠিন ব্যাপার। সেখানে আন্তর্জাতিক স্তরে জেতা পদক ছুড়ে ফেলতেও ওদের কোনও আপত্তি ছিল না। এতটাই আঘাত পেয়েছিল যে মুখ দিয়ে কোনও কথাই বেরোচ্ছিল না। মঙ্গলবার থেকেই ওরা নীরবতা পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই হরিদ্বারে গিয়ে বা ফেরার পথে কারও সঙ্গে কথা বলেনি।”
হরিদ্বারে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে দেখা না গেলেও, কুস্তিগিররা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছেন। কিন্তু প্রকাশ্যে কেউই মুখ খুলতে রাজি হননি।
কুস্তিগিরদের প্রতি পুলিশের আচরণ নিয়ে সরব আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটিও। কড়া বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, কুস্তিগিরদের প্রতি পুলিশের আচরণ হতাশাজনক এবং উদ্বেগের।