প্রতীকী ছবি।
আইপিএলে বিতর্কের ঝড় উঠে বিদায় নিতে হয়েছে চিনা স্পনসরকে। তার জায়গায় রাতারাতি টাইটেল স্পনসর পেয়ে গেলেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ভারতীয় বোর্ডকে।
আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হিসেবে এ বছরের জন্য ‘ড্রিম ইলেভেন’ নামে একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করছে বোর্ড। তবে বোর্ডের অন্দরমহলে এবং ক্রিকেট মহলে বেশ চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা নিয়ে। কথা ওঠে, ফ্যান্টাসি গেমিংয়ের জন্য পরিচিত এই সংস্থাকে আনা ঠিক হচ্ছে কি না। কিন্তু বিডিং প্রক্রিয়ায় যে-হেতু কোনও বিধিনিষেধ ছিল না, তাই পাল্টা কেউ কেউ বলেন, তাদের সর্বোচ্চ দরপত্র জমা দেওয়াকে অস্বীকার করাই বা আইনত কী ভাবে সম্ভব?
এই সংস্থার মধ্যে চিনা সংস্থার অংশীদারিত্ব আছে বলেও খবর চাউর হয়েছে। তা নিয়ে নতুন বিতর্ক উঠেছে। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি) বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠিও দিয়েছে। যদিও ভারতীয় বোর্ডের এ দিনের পাঠানো ই-মেলে তাদের ভারতীয় সংস্থা বলেই বর্ণনা করা হয়েছে।
এই সংস্থা বোর্ডের কাছে প্রস্তাব দেয়, এ বছরের জন্য চুক্তির পাশাপাশি পরের দু’বছরের স্পনসর হওয়ার ব্যাপারেও তাদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হোক। পরের দু’বছরে আবার চিনা স্পনসর ‘ভিভো’-র ফেরার দরজা খোলা রয়েছে। এ বছরের জন্য আসা সংস্থা দিচ্ছে ২২২ কোটি টাকা। চিনা সংস্থা দিচ্ছিল বছরে ৪৪০ কোটি।ওয়াকিবহাল মহল ধরিয়ে দিচ্ছে, সারা বছর প্রচার পাওয়ার ব্যাপার নেই, এ বারের স্পনসর আসছে মাত্র চার মাসের জন্য। ৩১ ডিসেম্বর তাদের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। আইপিএল নিলামও তারা পাচ্ছে না। তাই রাতারাতি এই চুক্তিতে আর্থিক ক্ষতি নয়, লাভই করছে বোর্ড।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, সামনের দু’বছরের জন্য বোর্ড মনে করছে, পুরনো পরিস্থিতি ফিরতে পারে এবং তখন আইপিএলের টাইটেল স্পনসরশিপের মূল্য আগের মতোই বছরে সাড়ে চারশো কোটির আশেপাশে হবে। শোনা যাচ্ছে, চিনা সংস্থা তিন বছরের নতুন চুক্তির জন্য ১৪০০ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়ে বসে আছে। সেই তুলনায় এ বছরের জন্য আসা সংস্থার প্রস্তাব কম টাকার ছিল। এক বোর্ড কর্তার কথায়, ‘‘এই কোভিড পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদি নতুন চুক্তিতে প্রবেশ করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হত না। তা ছাড়া লোকসান করে কেনই বা আইপিএলের স্পনসর আনা হবে?’’ চিনা পণ্য বর্জন নীতি শিথিল হলে কী হবে, সেই প্রশ্নও থাকছে। কর্তাটি যোগ করছেন, ‘‘বছরে ৪৪০ কোটির জায়গায় ২২০ কোটিতে কেন দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করতে যাবে বোর্ড? তাড়াহুড়ো তো নেই।’’