বক্সিং ডে টেস্টে অভিষেক হতে চলেছে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের। তিনি হতে চলেছেন কর্নাটকের ২৬তম টেস্ট ক্রিকেটার। সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে দুই ওপেনার মুরলী বিজয় ও লোকেশ রাহুলের ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে মেলবোর্নে প্রথম এগারোয় এসেছেন তিনি।
২৭ বছর বয়সী ডানহাতি মায়াঙ্কের পরিচিতি আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান হিসেবে। দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকতার সঙ্গে রান করে চলেছেন তিনি। তাঁকে জাতীয় দলের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি উঠেছে অনেকদিন আগেই।
২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথমবার ত্রিশতরান করেন মায়াঙ্ক। কর্নাটকের হয়ে এখনও পর্যন্ত ৪৬ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ও ৭৫ লিস্ট এ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। দুই ফরম্যাটেই তাঁর গড় ৫০-এর বেশি। মায়াঙ্ক খেলেছেন ১১১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচও।
এই বছরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতের টেস্ট স্কোয়াডে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু খেলেননি। পৃথ্বী শ চোট পাওয়ায় অস্ট্রেলিয়া সফরে শেষ দুই টেস্টের দলে এসেছেন মায়াঙ্ক। এবার অবশ্য তিনি খেলছেন টেস্ট।
২০১৩ সালের নভেম্বরে কর্নাটকের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ঘটিয়েছিলেন মায়াঙ্ক। বিপক্ষে ছিল মহীশূর। তার আগে, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তামিলনাডুর বিরুদ্ধে লিস্ট এ ক্রিকেটে অভিষেক ঘটিয়েছিলেন তিনি।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্ট, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলেছেন মায়াঙ্ক। এখন তিনি রয়েছেন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবে।
গত দুই বছরে দুরন্ত ধারাবাহিক তিনি। গত বছরে ঘরোয়া ক্রিকেটে এক মাসে করে ফেলেন ১০০০ রান। যা করতে লেগেছিল ঠিক ২৭ দিন। মায়াঙ্ক ভাঙেন ৯০ বছরের পুরনো রেকর্ড। ২০১৭-১৮ মরসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি করেন ২১৪১ রান।
মায়াঙ্ক গভীর ভাবে প্রভাবিত হয়েছেন বীরেন্দ্র সহবাগের দ্বারা। বীরুর মতোই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে ভালবাসেন। বীরুর আদর্শেই নিজেকে গড়ে তুলেছেন তিনি।
কর্নাটক ও অনূর্ধ-১৯ ভারতীয় দলে মায়াঙ্কের সতীর্থ লোকেশ রাহুলেরও টেস্ট অভিষেক হয়েছিল মেলবোর্নে, বক্সিং ডে টেস্টে। কর্নাটকের সেই ব্যাচের করুণ নায়ারও খেলে ফেলেছেন টেস্ট। সেই ব্যাচের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অভিষেক করতে চলেছেন মায়াঙ্ক।
ভারত ‘এ’ দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে রান করেছেন মায়াঙ্ক। শুধু সেঞ্চুরি করেননি, টানা সেঞ্চুরিও করেছেন। ঘরের মাঠে বিদেশি দলের বিরুদ্ধে ডাবল সেঞ্চুরিও রয়েছে।
ভারতের হয়ে ২৫৯তম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে অভিষেক হতে চলেছে তাঁর। আর সেটাও এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। ওপেনারদের ব্যর্থতায় সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে ভুগেছে দল। এই আবহে মায়াঙ্ক নতুন বলের পালিশ তুলে দলকে ভরসা জোগাতে তিনি পারেন কিনা, সেটাই দেখার।