Cricket

আগামী আইপিএলে এই ক্রিকেটারদের খেলা উচিত? আপনি কী বলেন?

পরের বছর ইংল্যান্ডে ৫ জুন বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করছে ভারত। আর ১৯ মে ঘরের মাঠে শেষ হচ্ছে আইপিএল। কিন্তু, আইপিএলে কেউ চোট পেলে কি দুই সপ্তাহের বিশ্রামে তিনি সেরে উঠতে পারবেন? না পারার আশঙ্কাই বেশি। সেজন্যই দেখে নেওয়া যাক, আইপিএলে কোন ভারতীয় ক্রিকেটারদের অংশ না নেওয়াই উচিত বিশ্বকাপের দিকে চোখ রেখে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৮ ১১:০৫
Share:
০১ ০৮

পরের বছর ইংল্যান্ডে ৫ জুন বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করছে ভারত। আর ১৯ মে ঘরের মাঠে শেষ হচ্ছে আইপিএল। কিন্তু, আইপিএলে কেউ চোট পেলে কি দুই সপ্তাহের বিশ্রামে তিনি সেরে উঠতে পারবেন? না পারার আশঙ্কাই বেশি। সেজন্যই দেখে নেওয়া যাক, আইপিএলে কোন ভারতীয় ক্রিকেটারদের অংশ না নেওয়াই উচিত বিশ্বকাপের দিকে চোখ রেখে।

০২ ০৮

কেদার যাদব মূলত ব্যাটসম্যান। কিন্তু, মিডল ওভারে অদ্ভুত অ্যাকশনের বোলিংয়ে রীতিমতো ভরসা। ভারতের ব্যাটিং লাইন-আপে প্রথম ছয়ের মধ্যে একমাত্র তিনিই বল করতে পারেন। বিশেষজ্ঞ বোলারদের কেউ মার খেলে তিনিই একমাত্র বিকল্প। উইকেট নেওয়ারও ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। হালফিল বেশ চোটপ্রবণ দেখাচ্ছে তাঁকে।

Advertisement
০৩ ০৮

এশিয়া কাপে শুধু কেদারই একা নন। চোট পেয়েছিলেন অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ড্যও। দলে তিনিই একমাত্র পেসার অলরাউন্ডার। ইংল্যান্ডে তাই তাঁর গুরুত্ব অপরিসীম। দলে হার্দিকের উপস্থিতি ভারসাম্যও আনছে। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে তিনি খেলবেন সব ম্যাচই। যদি চোট পেয়ে যান, ভুগতে হবে ভারতকে।

০৪ ০৮

ভুবনেশ্বর কুমার বেশ কিছুদিন ধরেই পিঠের চোটে কাহিল। অতিরিক্ত ওয়ার্কলোডের জন্য বারবার ফিরেও আসছে চোট। আইপিএলে খেলেননি কিছু ম্যাচ। ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজও খেলেননি। বিশ্বকাপে তিনি অপরিহার্য। বল সুইং করানোর ক্ষমতা রয়েছে। ডেথে রান আটকাতে পারেন। ব্যাটেও নির্ভরযোগ্য। ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না।

০৫ ০৮

জশপ্রীত বুমরা আইপিএলেরই ফসল। উঠে আসা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে নিজেকে মেলে ধরেই। এই মুহূর্তে তিনিই একদিনে বিশ্বের পয়লা নম্বর বোলার। লাইন-লেংথে থাকেন অভ্রান্ত। ইয়র্কার দিতে পারেন যখন-তখন। অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ড সফরের পর তাই বিশ্রামই নেওয়া উচিত। বিশ্বকাপ একেবারে গায়ে গায়ে বলেই সতর্কতা দরকার।

০৬ ০৮

মহেন্দ্র সিংহ ধোনি বিশ্বকাপে অপরিহার্য। ব্যাট হাতে যতই ফিনিশার হয়ে উঠতে না পারলেও ক্রিকেটমস্তিষ্ককে উপেক্ষা করা যাবে না। কোহালিকে ঠিকঠাক পরামর্শ দেওয়ার জন্যও দরকার এমএসডি-কে। উপেক্ষা করা যাবে না তাঁর বিশাল অভিজ্ঞতা। যতই ফিট থাকুক, তাই আইপিএলে খেলার ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না।

০৭ ০৮

রোহিত শর্মা হলেন ওপেনিংয়ের ভরসা। ম্যাচ-উইনার। বড় ইনিংস খেলার ক্ষমতা ধরেন। নিতে পারেন বড় শট। চুরমার করতে পারেন যে কোনও বোলিং আক্রমণকে। সেজন্যই অপরিহার্য। ওভারের ফরম্যাটে তিনি দলের সহ-অধিনায়ক। সদ্য এশিয়া কাপজয়ী অধিনায়ক। আইপিএলে দু’মাসের ধকলের পর বিশ্বকাপে তরতাজা থাকা অসম্ভব।

০৮ ০৮

বিরাট কোহালি সব ফরম্যাটে ধারাবাহিক। প্রচণ্ড চাপ পড়ে যাচ্ছে তাঁর উপরে। টপ অর্ডারে রোহিতের সঙ্গে কোহালিই ভারতের প্রধানত ভরসা। মিডল অর্ডার নিয়ে সংশয় রয়েছে বলেই ক্রিজে তাঁর উপস্থিতি জরুরি। কিন্তু, চোট নিয়ে ভুগছেন তিনিও। বিশ্রামও দিচ্ছেন নির্বাচকরা। দেশের স্বার্থে আইপিএলে বিশ্রাম নিলেই ঠিক কাজ করবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement