স্পন্সর ও ক্লাবের সম্পর্ক নিয়ে সংশয় ময়দানে। ছবি: ফাইল চিত্র।
ইস্টবেঙ্গল ও স্পনসরের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। শোনা যাচ্ছে, দুই তরফের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। স্পনসররা নাকি ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করবে এই মরসুমেরই শেষে।
ক্লাব ও স্পনসরের সম্পর্ক নিয়ে ময়দান উত্তাল। জল্পনার সঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে জলঘোলাও। যদিও কোয়েসের কর্ণধার অজিত আইজ্যাক আনন্দবাজারকে বলেন, ‘‘এই বিষয়ে ক্লাবের শতবর্ষ অনুষ্ঠানের পরে কথা বলাই ভাল।’’ তিনি এ কথা বললেও সমর্থকরা চুপ থাকেন কী করে! শতবর্ষ অনুষ্ঠানের মধ্যেই এই খবর ছড়িয়ে পড়ায় সমর্থকদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড়।
শতবর্ষের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। রবিবারই উত্তর কলকাতার কুমোরটুলি পার্ক থেকে মশাল মিছিল বের করা হয়। শতবর্ষ অনুষ্ঠান নিয়ে কর্তাদের নানা পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যেই ক্লাব ও স্পনসরের সম্পর্ক নিয়ে জোরালো প্রশ্ন উঠেছে। ইস্টবেঙ্গলের দুই কর্তা আজ, সোমবার বেঙ্গালুরুতে। লাল-হলুদ ও বর্তমান স্পনসর প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের সহ সচিব শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত এ দিন বলেন, ‘‘স্পনসর চলে যাবে কি না, তা জানা নেই আমাদের। আমাদের কোনও চিঠিও দেয়নি ওরা। আমরা এখন এসব নিয়ে ভাবতে রাজি নই। শতবর্ষ অনুষ্ঠানকে সফল করাই আমাদের লক্ষ্য এখন।’’
আরও পড়ুন: মারাদোনার শিষ্য এবার খেলবেন কলকাতা লিগে
কিন্তু, স্পনসর যদি সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়? শান্তিবাবু বলেন, ‘‘একশো বছর পূর্ণ করতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমাদের এগোতে হয়েছে। আমরা এ সব নিয়ে ভাবতে রাজি নই। স্পনসর যদি মনে করে চলে যাবে, তা হলে চলে যাক। ওরা চলে গেলেও, ইস্টবেঙ্গল কিন্তু থেকে যাবে।’’
ক্লাব ও স্পনসরের সম্পর্কের জল এখন কোন দিকে গড়ায়, সেটাই দেখার।