এটিকে কোচ মলিনা। ছবি: এএফপি।
পরের বছর থেকেই আইএসএল খেলবে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান। তাতে বেজায় আপত্তি অ্যাটলেটিকো কলকাতার। আইএসএল-এ বাংলার আধিপত্ত চলে যাবে যে। এদিন তাই উৎসবের আবহের মধ্যেও ‘ওয়ান সিটি, ওয়ান টিম’ বলে গেলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। যদিও সেটা নিয়ে এই মুহূর্তে খুব একটা ভাবার অবকাশ নেই কারও। সবাই মেতে জয়ের উৎসবে। খাওয়া-দাওয়া, নাচ-গানের মধ্যে থেকেই কোচ মলিনাকে পাওয়া গেল বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে। উচ্ছ্বসিত অ্যাটলেটিকো কোচ কিন্তু হিউম পেনাল্টি মিস করার পরও ছিলেন বিন্দাস। সেটা মেনেও নিলেন। ‘‘হিউম পেনাল্টি মিস করায় চিন্তায় ছিলাম না। কারণ আমি জানতাম আরও চারটে শট রয়েছে আমাদের হাতে। ছেলেদের হার্ড ওয়ার্ক কাজে দিয়েছে। ওরা খুব ভাল ছাত্র।’’
আরও খবর: ‘উই ডিড ইট’ হিউমের হুঙ্কারে গলা মেলাল কলকাতা
তবে হিউমের শট মিসকে ঢেকে দিয়েছিল দেবজিতের সেভ। আইএসএল-এর শুরু থেকেই দেবজিতকে বাড়তি উৎসাহ ছিল এই দলে। আর তাতেই আস্থা রেখেছিলেন দলের বিদেশি কোচ। তাতেই বাজিমাত। তবে দেবজিৎকে যে তিনি কোনও টিপস দেননি তা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিলেন। বলেন, ‘‘আমি দেবজিৎকে কোনও টিপস দিইনি। গোলকিপার কোচ ওকে নিয়ে কাজ করত সব সময়। তবে ম্যাচের আগে ওকে ভিডিও অ্যানালিসিস করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল কেরলের প্লেয়াররা কী ভাবে পেনাল্টি শট নেন।’’ আর তাতেই বাজিমাত বাংলার এই গোলকিপারের।
কলকাতা দলের সঙ্গে একটা মরসুম কাটিয়ে উচ্ছ্বসিত মলিনা। ফিরতেও চান। কিন্তু জানিয়ে গেলেন এখনও কোনও চুক্তি হয়নি। বলেন, ‘‘এই ক’মাস খুব আনন্দে কাটিয়েছি। তবে আমাকে ছাড়া চারমাস আমার পরিবার রয়েছে। ওদের এই সমর্থন আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই জয় আমি আমার পরিবারকে উৎসর্গ করছি।’’ মলিনা না বললেও গত বছরের জন্য মৌখিক কথা প্রায় পাঁকা হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার সকালেই হয়তো চুক্তি সেরে ফেলবে দু’পক্ষ।