রবিবার প্রেস কনফারেন্সে আফ্রিদি। নিজস্ব চিত্র।
কলকাতায় পৌঁছেছেন শনিবার রাতে। নানান টানাপড়েনের পর। রবিবার কলকাতায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভারতে পাওয়া আতিথেয়তা আর ভালবাসা নিয়েই অনেকটা সময় ব্যয় করলেন পাক অধিনায়ক। বললেন, ‘ভারতে এসে প্রত্যেক বারই যে ভালবাসা পাই তা দেশেও পাইনি।’
আফ্রিদিদের প্রেস কনফারেন্স শুনে একটা জিনিস বোঝা যাচ্ছিল, দেশ থেকে রীতিমতো শিখে পড়ে তৈরি হয়েই আসতে হয়েছে। হবে নাই বা কেন! যে পরিস্থিতি, যে বিতর্ক, যে অনিশ্চয়তার পাহাড় ডিঙিয়ে শেষ পর্যন্ত ভারতে খেলতে আসা গেল, মুখ ফসকে কিছু বলে ফেললেই জলঘোলা হবে তুমুল। ফলে খেলার বাইরে অন্য যে কোনও রকম প্রশ্ন বিপজ্জনক বাউন্সারের মতোই স্রেফ এড়িয়ে গেছেন। তবে নিরাপত্তা নিয়ে যে তাঁর দল পুরোপুরি সন্তুষ্ট তা জানিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ‘কোনও রকম আশঙ্কায় ভুগছি না কলকাতায় এসে পর্যন্ত’ বলেছেন আফ্রিদি।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম খেলা আগামী বুধবার, ১৬ মার্চ। সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশকেই ধরছেন সবাই। তবে গোটা সাংবাদিক সম্মেলনে সেই ম্যাচ নিয়ে প্রায় কোনও প্রশ্ন নেই। ১৯ তারিখের ভারত ম্যাচ নিয়েই যাবতীয় জিজ্ঞাসা। বিশ্বকাপ সহ আইসিসি-র যে কোনও টুর্নামেন্টে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পারফরম্যান্স গ্রাফ বেশ খারাপ। এই তথ্য একেবারেই আমল দিতে নারাজ আফ্রিদি। উল্টে তুললেন ইডেনের কথা। বললেন, ‘এই মাঠে খেলতে সব সময় দারুণ লাগে। ইডেনে পাঁচ বার খেলে চার বারই তো ভারতকে হারিয়েছি।’
আফ্রিদির সাংবাদিক সম্মেলনের পর ওপেন মিডিয়া সেশনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন শোয়েব মালিক, ওয়াহাব রিয়াজ, সরফরাজরা। এই সেশনের আগে হঠাত্ করেই সাংবাদিকদের সামনে আসেন পাক মিডিয়া ম্যানেজার। কিছুটা বিরক্তি নিয়েই তাঁর বক্তব্যের সার কথা ছিল, খেলোয়াড়রা কেউ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ নন, প্রশ্ন যেন শুধু খেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।
ক্যাপ্টেনের মতো তাঁর টিমমেটরাও আলাদা করে ভারতে পাওয়া আতিথেয়তা আর ভালবাসার কথা বললেন। শোয়েব মালিকের কথা, ‘১৯ তারিখ আমরা সেরাটা দেব। তবে ভারতকে আর পাঁচটা প্রতিপক্ষ দলের মতো করেই আমরা দেখতে চাইছি। আলাদা করে শুধু ভারত ভারত করে ভাবলে তো চাপ বেড়ে যাবে। এটা আমরা একেবারেই চাইছি না’।
আরও পড়ুন...