আইএসএল থ্রি-তে আমাদের অভিযান শুরু হওয়ার মুখে। আর আমাদের গোটা টিমও ফুটছে টুর্নামেন্টে ভাল কিছু করার জন্য। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি এ বার আমাদের টিমের ভাল কিছু করার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। আর তার জন্য আমরা চেষ্টার ত্রুটি রাখব না। বেশ কিছু ভাল প্লেয়ার আমাদের টিমে রয়েছে। গোয়ার ফুটবলপ্রেমীদের জন্যই তারা নিজেদের সেরাটা দেবে মাঠে নেমে।
আইএসএলে এটা আমার দ্বিতীয় বছর। আর আমি মনে করি গত কয়েক বছর ধরে আমাদের টিমটা একটা শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে। গত বছর আমরা আইএসএল ট্রফিটার খুব কাছে গিয়েছিলাম। ফাইনালে জিতেও যেতে পারতাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দূর্ভাগ্যবশত তা হয়ে ওঠেনি। চোখের সামনে দেখেছিলাম আমরা ফেভারিট থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে চেন্নাইয়ান আইএসএল ট্রফিটা নিয়ে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও গত বছরের টিমমেটদের ধন্যবাদ দেব তাদের দায়বদ্ধতার জন্য।
এ বার রিওতে আমাদের প্রি-সিজন বেশ ভাল হয়েছে। ওখানে বেশ কিছু শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে আমাদের পারফরম্যান্সও প্রশংসা পেয়েছে। যা টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে। আমাদের এ বারের টিমে প্রতিভার কমতি নেই। গত বারের টিমের বেশির ভাগ ফুটবলারকেই রেখে দেওয়া হয়েছে এ বার। এর সঙ্গে রিচার্লিসন ও জুলিও সিজারের মতো অভিজ্ঞ এবং রাফায়েল ডুমাস ও ট্রিনডেড গঞ্জালভেসের মতো তরুণ প্রতিভা টিমে আসায় আমাদের দল কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে পারে যে কোনও টিমকেই। বিশেষ করে শেষের দু’জনের ভবিষ্যৎ তো বেশ উজ্জ্বল।
আমাদের প্রথম ম্যাচ নর্থইস্টের বিরুদ্ধে। আর সেই ম্যাচের দিকেই আপাতত আমাদের যাবতীয় মনোনিবেশ। কারণ আমাদের প্রতিপক্ষও বেশ শক্তিশালী। তার উপর ঘরের মাঠে খেলবে ওরা। সুতরাং হোম অ্যাডভান্টেজ থাকবে না আমাদের। তার পর গোয়ায় ফিরে খেলতে হবে এফসি পুণে সিটির বিরুদ্ধে। যাদের কোচ আবার আইএসএলের অন্যতম সফল কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। আমাদের সমর্থকরা ওই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে প্রবল আগ্রহে। এখন থেকেই বুঝতে পারছি আমাদের প্রথম ওই হোম ম্যাচটা বেশ উপভোগ্য হবে এফসি গোয়া সমর্থকদের কাছে।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ঘরে বাইরে ছড়িয়ে থাকা এফসি গোয়ার সমর্থকদের কাছে আমার আবেদন—প্রতি বারের মতো এ বারও মাঠে এসে আমাদের জন্য গলা ফাটান। আমাদের পারফরম্যান্স ভাল করার জন্য সেটা খুব জরুরি। চেষ্টা করব ম্যাচের শেষে আপনাদের মুখে হাসি ধরে রাখতে।