জোকোভিচকে ঘিরে সরগরম অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতি। ছবি: টুইটার।
সরগরম অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতি। বিতর্কের কেন্দ্রে নোভাক জোকোভিচ। ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিককে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া নিয়ে চড়ছে পারদ। সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারেন অ্যান্ড্রুস।
কোভিড টিকা না নেওয়ায় জোকোভিচের উপর অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পূর্বতন সরকার। গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে গিয়েও ফিরে আসতে হয় বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড়কে। ২০২৫ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের ক্ষেত্রে জোকোভিচের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আগের সরকারের সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা জানিয়েছে বর্তমান সরকার। তা হলে আগামী অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে কোনও বাধা থাকবে না জোকোভিচের।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অ্যান্ড্রুস বলেছেন, ‘‘এমন কিছু হলে অস্ট্রেলিয়া সেই সব মানুষদের গালে চড় মারবে, যাঁরা কোভিড বিধি যথাযথ ভাবে মেনেছেন এবং টিকা নিয়েছেন।’’ একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘শুধু জোকোভিচের কথা কেন বলা হচ্ছে? কোভিড টিকা না নেওয়ায় বহু মানুষের ভিসার আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। টিকা না নিলে কেউই ২০২৫ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়েছিল আমাদের সরকার। শুধু জোকোভিচের জন্য কেন নিয়ম শিথিল করার কথা ভাবা হচ্ছে?’’
তিনি আরও বলেছেন, ‘‘জোকোভিচের বিষয়টি আলাদা করে বিবেচনা করা হচ্ছে, যেহেতু ও বিশ্বের প্রথম সারির টেনিস খেলোয়াড়। ও খেললে আয়োজকরা প্রচুর বেশি অর্থ আয় করতে পারবেন। তা হলে কি সকলের জন্য এক রকম আইন থাকবে আর জোকোভিচের জন্য আর এক রকম আইন?’’ তাঁর সমালোচনার কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে। বিবৃতি দিয়ে শুধু বলা হয়েছে, ‘দফতর কারও ব্যক্তিগত প্রশ্নের উত্তর দেবে না।’
অস্ট্রেলিয়ার সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছিলেন জোকোভিচ। অস্ট্রেলিয়ার নতুন সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগতও জানান। উল্লেখ্য, কোভিড টিকা না নেওয়ায় গত ইউএস ওপেনেও খেলতে পারেননি জোকোভিচ। শেষ বার অস্ট্রেলিয়ার ওপেন খেলেছেন ২০১৯ সালে।