ফুরফুরে: হ্যাডলির দেশে উড়ে গেল ভারতীয় দল। অকল্যান্ড যাত্রার আগে (বাঁ দিক থেকে) রোহিত, চহাল, ঋষভ, কুলদীপ, শামি। সোমবার। টুইটার
অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পরেই নতুন অভিযানের জন্য তৈরি ভারত। সোমবার রাতে নিউজ়িল্যান্ড উড়ে যাওয়ার আগে বিরাট কোহালি জানিয়ে দিচ্ছেন দলের রণকৌশল। যা হল, কেন উইলিয়ামসন-রস টেলরদের উপরে শুরু থেকেই চাপ তৈরি করা।
রবিবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ জেতার পরে সাংবাদিক বৈঠকে এসে কোহালি বলেন, ‘‘গত বছর নিউজ়িল্যান্ড সফরে গিয়ে আমরা যথেষ্ট ভাল খেলেছিলাম। যা আমাদের আত্মবিশ্বাস জোগাবে।’’ নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি এবং তিনটি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলবে ভারত। গত বার ওয়ান ডে সিরিজ ৪-১ জেতার পরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-২ হেরে যায় ভারত। এ বার কী ভেবে নামবেন কেন উইলিয়ামসনদের বিরুদ্ধে? কোহালি বলছেন, ‘‘গত বারও আমাদের পরিষ্কার ধারণা ছিল, মাঠে নেমে কী করতে হবে, সে ব্যাপারে। বিদেশে গিয়ে যদি শুরু থেকেই বিপক্ষ দলের উপরে চাপ তৈরি করা যায়, তা হলে ক্রিকেট দারুণ উপভোগ করা যায়।’’
কোহালি মনে করেন, নিউজ়িল্যান্ড সফরের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ জয় তাঁদের মানসিক ভাবে দারুণ জায়গায় রাখবে। ভারত অধিনায়কের কথায়, ‘‘আমরা রবিবারের ম্যাচের আগে টিম হাডলে বলেছিলাম, ‘নিউজ়িল্যান্ড রওনা হওয়ার আগে এটাই আমাদের ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচ। তাই এই ম্যাচটা জিততে পারলে খুশি মনে বিদেশ সফরে যেতে পারব।’ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ দুটো ম্যাচ আমরা চাপের মধ্যে থেকে জিতেছি। এই রকম চাপের মধ্যে ম্যাচ জিতলে আত্মবিশ্বাস খুবই বেড়ে যায়। যেটা বিদেশ সফরে কাজে আসে।’’
নিউজ়িল্যান্ড সফরের আগে কোনও বিশেষ বিশেষ জায়গায় কি উন্নতি প্রয়োজন বলে মনে করেন? কোহালি বলেন, ‘‘সিরিজের শুরুতে হাল্কা দিলে সমস্যা হতে পারে। প্রথম ম্যাচ থেকেই আধিপত্য জারি রাখতে চাই। প্রথম বল থেকেই চাপ তৈরি করতে হবে।’’অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের একটিতেও টস জেতেননি কোহালি। কিন্তু সিরিজ জিতে নিলেন। যার পরে ভারত অধিনায়ক বলছেন, ‘‘আমরা ক্রমে টসটাকে হিসেবের বাইরে নিয়ে যেতে পেরেছি। আমরা এমন ভাবে তৈরি হতে চাই, যাতে প্রতিপক্ষ যে চ্যালেঞ্জ দেবে, তা যেন আমরা সামলে দিতে পারি।’’ এই সিরিজে ঋষভ পন্থ চোট পাওয়ার পরে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে সফল হয়েছেন কে এল রাহুল। অধিনায়ক এখন রাহুলকেই উইকেটের পিছনে আরও কিছু দিন দেখতে চান। বলছেন, ‘‘রাহুল কিপিং করলে আমরা এক জন অতিরিক্ত ব্যাটসম্যানকে খেলাতে পারি। যা দলের ভারসাম্য দারুণ ভাবে বাড়িয়ে দেয়। ঠিক যেমন ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে রাহুল দ্রাবিড় কিপিং করায় হয়েছিল।’’