পরপর জয় নিয়ে গর্বিত কোহালি

চ্যালেঞ্জের মুখে ফেললেও বিরাট-রথ থামাতে পারল না নিউজিল্যান্ড। ঘরের মাঠে একের পর এক সিরিজ জিতে চলেছে ভারত।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:১৯
Share:

উল্লাস: নিউজিল্যান্ড বধের কোহালি-রোহিত। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই

একটা সময় বিরাট কোহালিও নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন! একটু আগেই বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। মেঘে ঢাকা পরিবেশ। এর মধ্যে টস হারতে হয় ভারতকে। যা নিয়ে ম্যাচের পরে কোহালি বলছেন, ‘‘ম্যাচটা হয়েছে, এটাই বড় ব্যাপার। একটা সময় এ রকম স্যাঁতস্যাতে পিচে শুরু করার সময় একটু নার্ভাসই হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানতাম, ওরা আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।’’

Advertisement

চ্যালেঞ্জের মুখে ফেললেও বিরাট-রথ থামাতে পারল না নিউজিল্যান্ড। ঘরের মাঠে একের পর এক সিরিজ জিতে চলেছে ভারত। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে-র পরে এ বার টি-টোয়েন্টি সিরিজও কোহালিরা জিতে নিলেন ২-১ ফলে। তিরুঅনন্তপুরমে ম্যাচের সেরা হলেন যশপ্রীত বুমরা। সিরিজ সেরাও তিনি। আরও একটা সিরিজ জিতে কোহালি বলছেন, ‘‘পর পর বেশ কয়েকটা সিরিজ জিতলাম। এর জন্য আমরা গর্বিত।’’

বিরাট বলছিলেন, ‘‘আমরা ঠিক করেছিলাম, নিউজিল্যান্ডের আস্কিং রেটটা যতটা সম্ভব বাড়িয়ে দিতে হবে। তা হলে ওরা চাপে পড়ে যাবে। ধোনি, রোহিত পরামর্শ দিয়েছিল বুমরাকে শেষ ওভারের আগের ওভারটা করাতে।’’ শেষ ওভারটা করেছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। কিন্তু তাঁকে নিয়েও চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন কোহালি। ভারত অধিনায়ক বলছেন, ‘‘শেষ ওভারটা করতে করতে হার্দিক চোট পায়। তখন আমি ভাবছিলাম, আমাকে না শেষ চার বল করতে হয়।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ভারতকে সিরিজ দিল চহাল-বুমরা যুগলবন্দি

ম্যাচের সেরা বুমরা বলে যান, ‘‘প্রথম ইনিংসে দেখছিলাম, স্লো বলটা আরও থেমে থেমে আসছে। কী ভাবে ওদের বল করব, সেটা আমি আর ভুবি আলোচনা করে নিই। তবে আমাদের স্লোয়ার বলটা সে রকম ভাবে থমকে আসেনি। আর চাপের কথা যদি ভাবেন, তা হলে কোনও সময়ই নিজের খেলাটা খেলতে পারবেন না।’’

ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘এ সব খেলায় ২-৩ বলের মধ্যেই ম্যাচের ভাগ্য বদলে যেতে পারে। দুর্দান্ত ফিল্ডিং হয়েছে। আমরা ৮ ওভারে ৬৫ রানের লক্ষ্য রেখেছিলাম। বেশি যা আসবে, সেটা বোনাস।’’

‘হেডমাস্টার’ কুম্বলে: তাঁর মাঠের জীবনের শেষ দিকে নামের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল তকমাটা— ‘হেডমাস্টার।’ কেন? কী ভাবে? মঙ্গলবার মাইক্রোসফট সিইও সত্য নাদেল্লার সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে কুম্বলে নিজেই জানান, ছোটবেলা থেকে শৃঙ্খলাপরায়ণ জীবন যাপন করার জন্যই পরবর্তী কালে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি এ রকম হয়েছে। তাঁর নামের পাশে ‘হেডমাস্টার’ শব্দটার ব্যবহার নিয়ে কুম্বলে বলেছেন, ‘‘আমার ঠাকুর্দা স্কুলের হেডমাস্টার ছিলেন। আমি জানি, এই হেডমাস্টার শব্দটা আমার পরবর্তী জীবনে বারবার ফিরে এসেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement