দিনটা শুরু হয়েছিল স্ত্রীকে জন্মদিনের কেক খাইয়ে। দিনটা শেষ হল স্ত্রীকে জয় উপহার দিয়ে।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারানোর পরে টিভি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বিরাট কোহালি বলে গেলেন, ‘‘আজ আমার স্ত্রীর জন্মদিন। এই জয়টা ওর জন্মদিনে একটা ছোট্ট উপহার।’’ ক্যামেরায় তখনই ধরা পড়ল, ভিআইপি গ্যালারিতে থাকা অনুষ্কা শর্মার হাসি মুখ।
মঙ্গলবার রোহিত শর্মার দলের বিরুদ্ধে এই জয় আইপিএলের প্লে-অফে ওঠার দৌড়ে এখনও রেখে দিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। আট ম্যাচ খেলে কোহালিদের পয়েন্ট এখন ছয়। অন্য দিকে মুম্বই আট ম্যাচ খেলে রয়েছে ৪ পয়েন্টে। প্লে-অফ থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে মুম্বই।
চিন্নাস্বামীতে প্রথমে ব্যাট করে আরসিবি তোলে ১৬৭-৭। সর্বোচ্চ রান মনন ভোরার (৪৫)। এর পর রান তাড়া করতে নেমে মুম্বই থেমে যায় ১৫৩-৭ স্কোরে। হার্দিক পাণ্ড্য ৫০ রান করেও দলকে জেতাতে পারেননি। দু’টি করে উইকেট নেন টিম সাউদি, উমেশ যাদব এবং মহম্মদ সিরাজ। ম্যাচে জিতে কোহালি বলে দেন, ‘‘আমরা কিন্তু এখনও প্লে-অফে ওঠার দৌড়ে আছি। বিশ্বাস করি এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।’’
চিন্নাস্বামীর পিচে অবশ্য ব্যাট করা খুব সহজ হয়নি। দিনের শুরুতেই জেপি ডুমিনির একটা বল অনেকটা ঘোরে। তখনই বোঝা যাচ্ছিল, এই পিচে দ্রুত রান করা মোটেই সোজা কাজ হবে না। ঠিক তাই হল। মুম্বই ব্যাটিংয়ের সময় যুজবেন্দ্র চহালের বল অনেকটা করে ঘুরতে শুরু করে। এতটাই ঘুরছিল যে আরসিবি উইকেটকিপার কুইন্টন ডিকক দু’বার বল ফস্কে চারটি করে রান বাই দিয়ে দেন। চলতি আইপিএলে মুম্বই ব্যাটিংকে টানছিলেন সূর্যকুমার যাদব, এভিন লুইস, ঈশান কিসান, রোহিত শর্মা। এই ম্যাচে লুইস চোটের জন্য খেলেননি। বাকি তিন জনই ব্যর্থ হলেন।
আরসিবিকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে উমেশের একটি ওভার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে পরপর দু’বলে তিনি তুলে নেন সূর্যকুমার এবং রোহিতের উইকেট। এখানেই শেষ নয়। এর পর ১২ নম্বর ওভারে ডিপ পয়েন্ট থেকে দুর্দান্ত থ্রোয়ে ডুমিনিকে রান আউটও করে দেন উমেশ। রান তাড়া করতে নেমে ১২ ওভারে ৮৪ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট পড়ে যায় মুম্বইয়ের। সেখান থেকে তারা আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি।
ম্যাচের পরে রোহিত শর্মা বলছিলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য ছিল এক জন ব্যাটসম্যান যতটা বেশি সম্ভব খেলে যাবে আর রান রেটটা ঠিক রাখবে। কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি। আরসিবি বোলাররা খুব ভাল বল করে গেল।’’